জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর গত ১৩ জুন সন্ধ্যায় যশোর জেলগেট থেকে সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আব্দুল খালেককে এবং রংপুর বিভাগীয় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি জামায়াত নেতা অধ্যাপক আবুল হাশেম বাদলকে ১৩ জুন সকালে পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর জনাব মকবুল আহমাদ আজ ১৪ জুন নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-
“জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর গত ১৩ জুন সন্ধ্যায় যশোর জেলগেট থেকে সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আব্দুল খালেককে এবং রংপুর বিভাগীয় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি জামায়াত নেতা অধ্যাপক আবুল হাশেম বাদলকে ১৩ জুন সকালে ও আজ ১৪ জুন পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ইসহাক মিয়াকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। রাজনৈতিকভাবে তাদের হয়রানি করার হীন উদ্দেশ্যেই পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করেছে। তাদেরকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে জেলে আবদ্ধ রেখে তাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালানোর আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আব্দুল খালেক জামিনে মুক্তি পাওয়া সত্ত্বেও তাকে মুক্তি না দিয়ে পুনরায় মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়ে তার ওপর চরম জুলুম করা হয়েছে। তার আত্মীয় ও পরিবার-পরিজন আশা করেছিল তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে মুক্ত পরিবেশে পবিত্র রমযান পালন করতে পারবেন। কিন্তু সরকার তাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে তার মত একজন বৃদ্ধ আলেমেদ্বীনকে জেলে পাঠিয়ে অমানবিক কাজ করেছে।
রংপুর বিভাগীয় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি জামায়াত নেতা অধ্যাপক আবুল হাশেম বাদলকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে তাকে জেলে পাঠিয়েছে। জামায়াতের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রই অত্যন্ত নগ্নভাবে ফুটে উঠেছে।
গ্রেফতার নির্যাতন বন্ধ করে সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আব্দুল খালেক এবং রংপুর বিভাগীয় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি জামায়াত নেতা অধ্যাপক আবুল হাশেম বাদলসহ সারাদেশে জামায়াতের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন