ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৪

গুপ্তহত্যায় বাংলাদেশে ঘাপটি মেরে থাকা বিদেশি নাগরিক!

পাসপোর্ট ও ভোটার আইডি কার্ড জাল করে ১২ লাখেরও বেশি ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে অবস্থান করছে। এ মুহূর্তে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে সার্কভুক্ত ৬ টি দেশের প্রায় সাড়ে ১৪ লাখেরও বেশি নাগরিক বাংলাদেশে বসবাস করছে। দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পেছনে এই বিদেশি নাগরিকদের অনেকেই গুপ্তঘাতকের ভূমিকায় রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারের কাছে বাংলাদেশে অবস্থানকারী সার্কভুক্ত ৬ টি দেশের মোট ১ লাখ ১৫ হাজার ৩ শ ৬৬ জনের হিসাব আছে। সরকারি হিসাবের বাইরে অবস্থানকারী বিদেশী নাগরিকরা জড়িয়ে আছে নানান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে। স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, বাংলাদেশে অবস্থানকারীদের মধ্য ভারতীয়দের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এদেশে সবচেয়ে কম সংখ্যায় আছে মালদ্বীপের নাগরিকরা। ভারতের পর পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলংকা ও ভুটানের অবস্থান। বাংলাদেশে অভিবাসী বিদেশিদের চরিত্র পর্যবেক্ষণকারী বিশ্লেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিদেশিরা বাংলাদেশে থেকে নিজেদের জীবন নির্বাহ করলেও কোনভাবেই এইদেশের অগ্রগতিসহিষ্ণু নয়। ফলে, সুযোগ পেলেই সামান্য সুবিধার বিনিময়ে তারা বাংলাদেশ-বিরোধী নানান অন্তর্ঘাতমূলক কাজে জড়িয়ে যায়। বাংলাদেশে অবস্থানরত অধিকাংশ ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা কাজ করে মূলত আমাদের গার্মেন্টস শিল্পে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবৈধভাবে থাকা এসব বিদেশি নাগরিকদের ভিসার মেয়াদ এবং ওয়ার্ক পারমিট বলে কিছু নেই। এদের মধ্যে বাংলাদেশ-বিদ্বেষ খুব স্পষ্টভাবে দেখা যায়। এ কারণে, পোশাক শিল্পের মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে নানান সময়ে ঘটে যাওয়া নাশকতায় এদের হাত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ আছে, এদের অনেকেই বাংলাদেশি জাল পাসপোর্ট এবং আইডি কার্ডও ব্যবহার করছে। আবার কেউ কেউ মিথ্যা পরিচয়ে বাংলাদেশের ভোটারও হয়েছে। এইসব বিদেশি নাগরিকদের কেউ কেউ রাজনৈতিক সহিংসতাতেও ভূমিকা রাখছে। এদের অনেকেই রাজনীতির আড়ালে-আবডালে থেকে নানান সহিংস কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এধরনের বিদেশি নাগরিকরা বিভিন্ন ভাবে আয় করে উপার্জিত টাকার সিংহভাগই নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়। এজন্যে তারা হুন্ডির আশ্রয় নেয় বেশি। ফলে একদিকে দেশের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে অন্যদিকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সরকার। বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসের মধ্যে ভারতীয় দূতাবাসের লোকবলও বেশি। বৈধ এবং অবৈধভাবে বসবাসকারী ভারতীয় নাগকিরদের মধ্যে বেশির ভাগই গার্মেন্টস, ক্লিনিক, সিমেন্ট এবং ইপিজেড ব্যবসায় জড়িত। এদের কেউ কেউ ইপিজেডের সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠান, নার্সিং ও এনজিওতে কর্মরত রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রায় শতাধিক গার্মেন্টেস মালিক ভারতীয় নাগরিক। আর তাদের মালিকানায় রয়েছে প্রায় সহস্রাধিক ফ্ল্যাটবাড়ি। পাকিস্তানের নাগরিকদের মধ্যে সিংহভাগই গার্মেন্টস, কাপড় ও চামড়া ব্যবসায় জড়িত। নেপালের নাগরিকদের মধ্যে বেশির ভাগই ছাত্র। এরা ডাক্তারী বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে এদেশে এসেছে। কেউ কেউ পাস করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। ভুটানের নাগরিকদের বেশির ভাগই গ্যাস সেক্টরের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মচারি হিসেবে কর্মরত রয়েছে। শ্রীলংকার নাগরিকরা মূলত তৈরি পোষাক-ব্যবসা ও পেশায় নিয়োজিত। আর মালদ্বীপের নাগরিকদের মধ্যে অধিকাংশই নাসিং পেশায় জড়িত। এছাড়া মালদ্বীপের বেশ কিছু নার্সিংয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রী রয়েছে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এসব নাগরিকরা অবৈধ পথেই নিজ নিজ দেশে যাতায়াত করেন। বর্ডার গার্ড ও পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এক শ্রেণীর সদস্যেদের অনিয়ম-দুর্নীতি এবং সখ্যতার কারণে অবৈধভাবে থাকা এসব নাগরিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে অবৈধভাবে অবস্থানকারী নাগরিকদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে একটি সংস্থা বেশ তৎপর থাকলেও বেশিদূর আগানো যাচ্ছে না। সংস্থার শীর্ষস্থানীয় এক পদস্থ কর্মকর্তার মতে, নির্বাচনের পরে নতুন সরকারের আমলে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। নতুন দিন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন