ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৪

বিরোধী দলীয় নেত্রীকে রাজপথে নামতে দেয়ার সাহসটুকুও সরকারের নেই ---------- ডা. শফিকুর রহমান

ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান
তারিখঃ ০২-০১-২০১৪ ইং
বিরোধী দলীয় নেতা, ১৮ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখার নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং ১৮ দলীয় জোট ঘোষিত অনির্দিষ্ট কালের অবরোধ কর্মসূচী পালন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ০২ জানুয়ারী নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন।
“সরকার বিরোধী দলীয় নেতা, ১৮ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৭ দিন যাবৎ অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তাকে অবরুদ্ধ করার মাধ্যমে দেশ, দেশের ১৬ কোটি মানুষ ও গণতন্ত্রকেই অবরুদ্ধ করা হয়েছে। বিরোধী দলীয় নেত্রীর বাসভবনের সামনে বালির ট্রাক, জলকামান ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করে সরকার গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলিত করেছে। সরকার এতটাই গণবিচ্ছিন্ন যে, বিরোধী দলীয় নেত্রীকে রাজপথে নামতে দেয়ার সাহসটুকুও তাদের নেই। রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে জোর করে ক্ষনিকের জন্য বিরোধী দলীয় নেত্রীকে অবরুদ্ধ করা সম্ভব হলেও এটা দীর্ঘস্থায়ী কোন সমাধান নয়। 
সরকার ভেবেছে গোটা দেশকে অবরুদ্ধ করে রেখে যেনতেনভাবে একদলীয় প্রহসনের নির্বাচনী বৈতরনী পার হলেই তাদের ক্ষমতা চিরস্থায়ী হয়ে যাবে। এটা সরকারের ভুল ধারণা। তাদের একগুয়েমি, হঠকারিতা দেশকে দীর্ঘমেয়াদী সংকটের গহ্বরে নিপতিত করছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে যে, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অবরোধের মুখোমুখি। সরকার নিজেদের দলীয় স্বার্থ হাসিলের জন্য ১৬ কোটি মানুষের জীবনকে অন্ধকারের অতল গহ্বরে নিক্ষেপ করছে। সরকার তাদের আচরণে প্রমাণ করেছে, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, সংবিধান মানে না, আইন-আদালতের তোয়াক্কা করে না। মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক মহলের অভিব্যক্তির কোনোই গুরুত্ব এ সরকারের নিকট নেই। দলীয় ক্যাডার বাহিনী দিয়ে জোর করে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। দেশ, দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, শান্তি-শৃঙ্খলা কোথায় গিয়ে দাঁড়ালো, তা আওয়ামী লীগের বিবেচ্য বিষয় নয়। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দেশ, জাতি ও মানুষের কল্যাণের কোন এজেন্ডা নেই। জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন করাই তাদের আসল উদ্দেশ্য। বিগত ৫ বছরে সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট ও বেপোরোয়া দলীয়করণ দেশকে ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদ ২ হাজার গুন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই তারা জনতার সামনে দাঁড়াতে ভয় পাচ্ছে। এ কারণেই জোরপূর্বক ক্ষমতায় থাকার জন্য একদলীয় প্রহসনের নির্বাচনের পথ বেঁছে নিয়েছে। তারা তাদের চক্রান্ত বাস্তবায়নের জন্য বিরোধী দলীয় নেত্রীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের ঘরথেকে ধরে এনে গুলি করে হত্যা করছে। এদেশের মুক্তিকামী মানুষ, গণতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করবে। শক্তির জোরে পৃথিবীর কোন স্বৈরাচার-ই ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে পারেনি, এ সরকারও পারবে না। একদলীয় প্রহসনের নির্বাচন বন্ধ করে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে পুনর্বহাল করে পদত্যাগ করে শুভবুদ্ধির পরিচয় দেয়ার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
সরকারের জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন ও ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত্রের বিরুদ্ধে এবং দেশ, দেশের মানুষ বাঁচানোর আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১৮ দলীয় জোট ঘোষিত অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচী শান্তিপূর্ণভাবে পালন অব্যাহত রাখার জন্য আমি দেশের আপামর জনতার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।”  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন