জামায়াতকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বেঁছে বেঁছে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যা করছে

TUESDAY, 31 DECEMBER 2013

বিরোধী দল, বিশেষ করে জামায়াতকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য বেঁছে বেঁছে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যা করার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এবং সকল হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর জনাব মকবুল আহমাদ আজ ৩১ ডিসেম্বর’১৩ নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন ঃ-

“জামায়াতকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বেঁছে বেঁছে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যা করছে। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লাকে হত্যা করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুরের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ডা. ফয়েজ আহমদকে সরকারের নির্দেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বাসায় ঢুকে গুলি করে হত্যা করে। সাতক্ষীরায় আগরদাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা আনোয়ারুল ইসলামকে বাড়ী থেকে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। আজ মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বারকে হত্যা করে। 

সরকার জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরকে হত্যা করে নিজেদের দলীয় আধিপত্য বিস্তারের যে নীল নকশা প্রণয়ন করেছে আব্দুল জব্বারকে হত্যা সেই নীল নকশারই একটি অংশ। এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ পর্যন্ত ২০ জন নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে হত্যা করেছে। আওয়ামী ক্যাডার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ৩৫ জন নির্বাচিত ইউপি সদস্য খুন হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের হত্যাকান্ড আওয়ামী লীগের বাকশালী শাসনব্যবস্থা কায়েমের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। 

আমি মেহেরপুরের ইউপি সদস্য জামায়াত নেতা আব্দুল জব্বারসহ সকল হত্যাকা-ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি ও খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। নিহত আব্দুল জব্বারকে শহীদ হিসেবে কবুল করার জন্য আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করছি এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। 

খুনি, স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটানো ব্যতীত গণহত্যা, সন্ত্রাস, গুম, জুলুম-নির্যাতন, গণগ্রেফতার থেকে দেশের জনগণকে মুক্ত করা যাবে না। তাই জালেম সরকারের বিরুদ্ধে চলমান গণআন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর করে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।”