আজ সকালে কারাগারে আব্দুল কাদের মোল্লা সাহেবের সাথে সাক্ষাৎ করতে
গিয়েছিলাম। মৃত্যুদন্ডের চূড়ান্ত আদেশ প্রাপ্ত একজন মানুষের সাথে এরূপ
সাক্ষাৎকার এটাই আমার জীবনে প্রথম। আমি মুগ্ধ ও স্তম্ভিত। নিশ্চিত মৃত্যুর
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কি করে একজন মানুষ এমন অবিচল ও শংকাহীন থাকতে পারে? একজন
সত্যিকার ইসলামী আন্দোলনের নেতার মতোই স্মিত হেসে আমাদের সাথে কথা বলছিলেন
তিনি। আইনী বিষয়ে পরামর্শের পাশাপাশি তিনি বলছিলেন তার নিজের কথা। বললেন
তিনি জীবনে যেসব অপরাধের কথা চিন্তাও করেননি তার দায় তার উপরে চাপানো
হয়েছে। যে জায়গায় তিনি কখনো যাননি, যাদের কখনো দেখেননি সেই জায়গায় ঐসব
লোকদের হত্যার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে। ভূয়া ও সাজানো লোকদেরকে
সাক্ষী বানিয়ে আদালতে আনা হয়েছে। এমন কঠিন অবস্থায় কেমন লাগছে জানতে চাইলে
তিনি বলেন- “আজীবন শহীদি মৃত্যু কামনা করেছি। অনেক আগে ছাত্রজীবনে শহীদ
সাইয়েদ কুতুবের শাহাদাতের ইতিহাস বলতে গিয়ে অধ্যাপক গোলাম আজম আমার গলায়
¯েœহের হাত রেখে বলেছিলেন, একদিন এই ফাঁসির দঁড়ি তোমার গলায়ও পড়তে পারে।” এ
ইতিহাস বলতে গিয়ে ক্ষণিকের জন্য আবেগাপ্লুত হলেন তিনি। পরক্ষণেই নিজেকে
সামলে নিয়ে বললেন।
“আব্দুল কাদের মোল্লা কোন অপরাধ করেনি। তোমরা নিশ্চিত থাকো, তার মাথা উঁচু ছিল উঁচুই থাকবে। তোমরা কখনো আমার চোখে পানি দেখবে না ইনশাআল্লাহ।”
মুহূর্তেই ছোট খাটো শরীরের এই মানুষটি আমার কাছে চোখে অসীম হিমালয়ের মত উঁচু হয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। আর আমার দু’চোঁখের জমাট বরফ কেন যেন শ্রাবনের অবাধ্য মেঘ হয়ে ঝরে পড়তে লাগলো...........।
“আব্দুল কাদের মোল্লা কোন অপরাধ করেনি। তোমরা নিশ্চিত থাকো, তার মাথা উঁচু ছিল উঁচুই থাকবে। তোমরা কখনো আমার চোখে পানি দেখবে না ইনশাআল্লাহ।”
মুহূর্তেই ছোট খাটো শরীরের এই মানুষটি আমার কাছে চোখে অসীম হিমালয়ের মত উঁচু হয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। আর আমার দু’চোঁখের জমাট বরফ কেন যেন শ্রাবনের অবাধ্য মেঘ হয়ে ঝরে পড়তে লাগলো...........।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন