ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৩

কাদের মোল্লার মত মানুষরা মানুষদের জন্যে রাজনীতি করতেন, ক্ষমতা বা টাকার জন্যে নয়

আমি এ রকম জাতির পিতা হতে চাই না, যিনি মারা যাবার পর জানাজা পড়ার লোক খুজে পাওয়া যায় না......!!! আমি চাই না এ রকম প্রধানমন্ত্রী হতে, যিনি পদত্যাগ করলে কিংবা মারা গেলে দেশের ৯০% মানুষ খুশি হবে..!!! আমি হতে চাই এ রকম কাদের মোল্লা, যাকে রাষ্ট্র কতৃক স্বয়ং ঐ রাষ্ট্রের স্বাধীনতা বিরোধী হওয়ার কারনে ফাসি দেওয়ার পরও জনগন তার জন্য কাদে এবং নিজেই একজন কাদের মোল্লা হতে চায়.....!!!!!! এখন কেউ বলবেন, এটি কি করে সম্ভব যে রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে সেই রাষ্ট্রে আবার রাজনীতি করা। এতো আশ্চর্য হবার কিছু নেই। কাদের মোল্লার মত মানুষরা মানুষদের জন্যে রাজনীতি করতেন, ক্ষমতা বা টাকার জন্যে নয়। যার কারনে বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থব্যবস্থার দল জামায়াতে ইসলামীর প্রথম ১০ জনের একজন হওয়া সত্ত্বেও তার গ্রামে তার নিজের তৈরি একটা কুড়েঘরও ছিল না। ছিল পিতার তৈরি করা পুরোনো একটি ঘর। কাদের মোল্লা ভাইয়ের ছিল না কোন গাড়ি, কোন ইন্ডাস্ট্রি বা অন্যকোন দামী অর্থকরী সম্পদ। নিজের জীবন-যোবন সবই তিনি দিয়েছিলেন মানুষের কল্যানে। ৭১ এও তিনি কাজ করেছিলেন মানুষের কল্যানে। তার জ্ঞানে মনে হয়েছিল যে পাকিস্তান থেকে আলাদা হলে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ দুটি দুর্বল রাষ্ট্র হবে যারা ভারতের দাদাগিরি কখনো কাটিয়ে উঠতে পারবে না। (তার ধারনা যে সঠিক ছিল তা ৪০ বছর পরেও আমাদের দেশের ভারতের আগ্রাসন দেখেই যে কেউ বুঝবে)। কিন্তু তারপরও অন্য রাজনৈতিক দলের খেলায় ভারতের প্রত্যক্ষ সহায়তা বাংলাদেশের জম্ম হলে, সেই কাদের মোল্লা ভাই আগের মতই কাজ করে গেলেন মানুষের জন্যে, ইসলামের জন্যে। কারন তার কাছে পাকিস্তান বা বাংলাদেশ বড় ছিল না কখনো, তার কাছে বড় ছিল মানুষের কল্যানের চিন্তা ও ইসলামী সমাজ গড়ার চিন্তা। যারা বুঝার তারা ঠিকই বুঝেন কাদের মোল্লার সাথে হাসিনা-খালেদা-সুরঞ্জিত-জয়-তারেকের পার্থক্য। আমি মুসলিম। কোন দেশের কাছে আমার দাসখত দেয়া নেই। আমার নাগরিকত্ব বাংলাদেশের। তাই আমার রাজনৈতিক সচেতনতার প্রথমাংশ বাংলাদেশকে ঘিরে। তাই বলে বাংলাদেশ অন্যায় করলে আমি তা নিয়ে মুখ বুঝে থাকবো না। সেখানে ভারত, পাকিস্তান বা অন্যদেশের কথাইতো আসে না। যদি কোন দেশের প্রতি আমার আলাদা টান থাকতো তাহলে তা হত মক্কার দেশ সৌদি আরব, বা জেরুজালেমের দেশ ফিলিস্তিন। কিন্তু তাও আমার নেই। আমার কেন কোন জামায়াত ইসলামীর কর্মীরই নেই। কারন আমরা মানুষের জন্যে কাজ করি। একটি মানুষকে যখন দেখি কষ্টে আছে আমরা তার জাতীয়তা চিন্তা করি না, চিন্তা করি তার কষ্ট থেকে কিভাবে তাকে বাচানো যায়। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাই আমরা এই জন্যেই আছি।.... মোহাম্মদ আশাদুল হক আরিফ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন