ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৪

আমার প্রানের নেতা অধ্যাপক গোলাম আযম- ফখরুল ইসলাম খান


আমার প্রানের খুব প্রিয় নেতা অধ্যাপক সাহেব জেদ্দায় ২মাস থাকাকালিন সময়ে খুব কাছ থেকে দেখেছি, যা বার বার মনে হচ্ছে আর চোখের পানি আসছে আমার প্রানের নেতার জন্য।

আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর দরবারে তিনির সুস্থতার জন্য নামায পড়ে দোয়া করি আর চোখের পানি ফেলি। যখন মনে হয় চোখের পানি এসে যায়, কান্না থামাতে পারিনা, চোখ ঝাপসা হয়ে যায় পানিতে। কোন মানুষ যদি কাছে থেকে দেখার সুয়োগ হয়, তার জীবন পাল্টে যাবে।
১৯৮৯ সালে ২২শে রমজান আমার জীবনে প্রথম দেখা করি বাসার পাশে মসজিদের দু’তলায় এ’তেকাফ অবস্থায়। আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান, আমার চাচা ৭৩ সালে ২৫ বছর বয়সে আওয়ামী লীগ থেকে এমপি। আমার জীবনে জেদ্দায় কয়েকটি প্রোগ্রামে একান্ত কাছ থেকে দেখার সুয়োগ হয়েছে। 
আল্লাহ আহকামুল হাকিমমিন, এ জালিম সরকার যা কষ্ট দিচ্ছে, আল্লাহ সব দেখছেন। এর পরিনাম শুভ হবে না, আমি ছোট মানুষ, বলে ফেললাম। এর পরিণাম ...... চৌদ্দ গোষ্টি ভোগ করতে হবে। আল্লাহ’ ওলি বলে যদি মানুষ এ সমাজে থেকে থাকে, তাহলে নি:সন্দেহে স্যারকে বলা যায়।
প্রথম যেদিন গেলাম দেখা করতে ২২রমজান, তিনির সেক্রেটারী বললেন তিনি এ’তেকাফে, কথা বলা যাবে না, সালাম ও দোয়া চেয়ে বিদায় নিতে পারবেন। ২টায় রেলের টিকিট কাটা সিলেটের, আমরা তো হতাশ ছিলাম ট্রেনের জন্য হয়তো দেখা করতে পারলাম না। এমন অবস্থায় আল্লাহ আমাদেরকে সুযোগ করে দিলেন। আমরা সেক্রেটারীর সাথে বাহিরে দুতলার বারান্দায় বসে আলাপ করছিলাম, এমন সময়, সাড়ে এগারোটার দিকে, হঠাৎ দরজা খুলে বের হলেন আমার প্রানের নেতা। আমার কাদে হাত রেখে সালাম দিয়ে বাড়ী জানার জন্য প্রশ্ন করলেন। প্রথমে তিনি সালাম দিলেন, আমরা সে সুযোগ হারালাম। আমরা অভাক,,,, আমাদেরকে বসানোর নির্দেশ দিলেন, আমরা বসতে চাচ্ছি না, আমার কাদে হাত দিয়ে জোরে বসানোর নির্দেশ দিলেন, সিলেট থেকে আসছি শুনে আপসোস করলেন এবং ইচ্ছে করে আমাদেরকে কিছু সময় দিলেন মনে হলো। 
নুরানী চেহারা মানুষের হতে পারে জীবনে শুনেছি, কিন্তু দেখার সুযোগ হয়নি, এই প্রথম দেখলাম মনে হলো। সব সাদা, মানুষ সাদা, চুল দাড়ী, গেঞ্জি, লুঙ্গি পরনের সব সাদা ছিল, তাকিয়ে শুধু নুরানী চেহারা দেখলাম। 
জানতে চাইলেন আমরা কি তিনির সাথে দেখার করার সময়সুচী জানি না? আমি বললাম, “আমরা জানি আপনার সাথে দেখা করতে হলে নাকি জামায়াতের অনুমতি লাগে ........ ! 
অবাক হয়ে বললেন, “আমি কি এদেশে প্রেসিডেন্ট না প্রধানমন্ত্রী, না এমপি, যে আমাকে প্রটোকল নিয়ে থাকতে হবে?................
জেদ্দায়, বিশেষ করে জেল থেকে বের হয়ে তিনি প্রথম যে ওমরাহ করেন (স্যারের এ ওমরাহ মক্কার ইতিহাসে ঐতিহাসিক ওমরাহ হয়ে থাকবে), ফ্রিভাবে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি, আমার অনেক মন্তব্য রয়েছে তিনি সম্পর্কে .... তিনি জীবনে যা দেখলাম বইতে সামান্য লিখেছেন, বিস্তারিত লিখেন নাই............. সেদিন সারা মক্কার হাজিরা তাকায়ে দেখছে, আর বলাবলি করেছে, মিন হাজার রিজ্জাল (কে ঐ ব্যক্তি)?
..... তাওয়াফ এবং সা’ঈ করার সময় সারা হারাম শরীফের মানুষ অধ্যাপক গোলাম আযমকে কেন্দ্র করে ওমরাহ করলো এবং যখন দোয়া করেন তখন মনে হয়েছে সারা কা’বার সমস্ত মানুষ কাঁদছে, আকাশ-বাতাশ সবাই তাঁর সাথে শরীক কাঁদছে এমন দৃশ্য হয়েছিল, আমার চোখে এখন অঝোরে পানি ঝরছে লিখতে পারছি না, এমন আল্লাহর বান্দাহকে এ জালিম সরকার কষ্ট দিচ্ছে, আল্লাহ সব দেখছেন, এর পরিণাম ..... ভোগ করবে..... সারা জেদ্দা, মক্কা, মদিনা সহ আশপাশ জেলাগুলো থেকে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী এ গণ ওমরাহতে শরীক হয়েছিল.....
অধ্যাপক গোলাম আযম আজ বিচারের নামে নির্যাতিত। এমন মানুষকে আল্লাহ অবশ্যই সম্মান ও সাহায্য করবেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন