বাংলাদেশের দশম জাতীয় নির্বাচনকে ‘জালিয়াতির সাধারণ নির্বাচন’ বলে মন্তব্য করেছে হংকংভিত্তিক খ্যাতনামা মানবাধিকার সংগঠন এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন (এএইচআরসি)।
সেই সাথে এএইচআরসি বলেছে, নির্বাচন কমিশন বর্তমান সরকারের পুতুলে পরিণত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন নির্লজ্জভাবে ক্ষমতাসীন দলের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে চলেছে।
আজ এক বিবৃতিতে এএইচআরসি এ কথা বলে।
এএইচআরসি বলেছে, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকার জাতিকে একটি জালিয়াতির সাধারণ নির্বাচন’ প্রত্যক্ষ করতে বাধ্য করেছে। আজকের এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জোট ছাড়া বিরোধী দলগুলো বয়কট করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের পক্ষে নেয়ার জন্য সরকার পুলিশ, আধা সামরিক বাহিনী এবং গুরুত্বপূর্ণ সব প্রতিষ্ঠান এমনকি নির্বাচন কমিশনসহ বেসামরিক প্রশাসনকে চরমভাবে দলীয়করণ করে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বিরোধী দলগুলো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির জন্য নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ঘাটতি নিয়ে বিরোধী দলগুলো যে অভিযোগ করেছিল তা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়,৩০০ আসনের নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে ক্ষমতাসীন জোটের প্রার্থীরা বিনা ভোটে জয়ী হয়ে বসে আছেন। এমনকি নির্বাচনে প্রার্থী সংকটও ছিল। ৫২ ভাগ ভোটার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এটা বাংলাদেশের সংবিধান বিরোধী।
বিবৃতিতে বলা হয়, এটা সম্ভব হয়েছে নির্বাচন কমিশনের কারণে। নানাভাবে নির্বাচন কমিশন বর্তমান সরকারের পুতুলে পরিণত হয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ লঙ্ঘন করে নির্বাচন কমিশন ব্যাকডেটে অনেক প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়ার সুযোগ দিয়েছে।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদন করলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। ক্ষমতাসীন দল সংসদে কোনো বিরোধী দলের অস্তিত্ব থাকবে না আশঙ্কা করে জাতীয় পার্টিকে গায়ের জোরে নির্বাচনে আটকে রেখেছে।বিবৃতিতে বলা হয়, মারাত্মক নিরাপত্তা সঙ্কটের কারণে নগণ্য সংখ্যক ভোটার উপস্থিত হবেন বলে কারচুপির পরিকল্পনা করছে ক্ষমতাসীন দল। এরই মধ্যে যশোরের সরকার দলীয় প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিন সেই পরিকল্পনা ফাঁস করে দিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন