ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৪

ঢাকা মহানগরীর নেতারা কোথায়


রফিক মুহাম্মদ : বিএনপির ঢাকা মহানগরীর নেতারা কোথায়? সারাদেশের তৃণমূল নেতাদের মনে এখন এই একটাই প্রশ্ন? বেগম জিয়ার ডাকে মার্চ ফর ডেমোক্রেসিতে অংশ নিতে সারাদেশ থেকে তৃণমূল নেতাকর্মীরা তাদের জীবন বাজি রেখে ঢাকায় আসলেও মহানগরীর কোন নেতাকেই তারা পাশে পায়নি। মার্চ ফর ডেমোক্রেসিতে অংশ নিতে কেন্দ্রীয় কোন নেতাকেও তারা খুঁজে পায়নি। সরকারের সকল বাধা ডিঙ্গিয়ে রাজধানীতে এসে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দুইদিন খেয়ে না খেয়ে পালিয়ে থেকে নেতাকর্মীরা রাজপথে নামার অপেক্ষা করেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বা মহানগরীর কোন নেতার দেখা পায়নি। কারো কাছ থেকে কোন দিক-নির্দেশনাও পায়নি। অনেক ক্ষোভ আর কষ্ট বুকে চেপে ফিরে গেছে তারা। তবে আন্দোলন থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা পিছপা হবে না। বগুড়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর শাহে আলম বলেন, সারাদেশে বিএনপির আন্দোলন একেবারে তুঙ্গে। তবে তুলনায় ঢাকা মহানগরীরর নেতারা একেবারেই ব্যর্থ বলে আমরা মনে করি। তৃণমূল থেকে নেতাকর্মীরা জীবন বাজি রেখে মার্চ ফর ডেমোক্রেসিতে অংশ নিতে ঢাকায় গেছে। অথচ ঢাকার নেতাদের কাছ থেকে কোন সহযোগিতা পায়নি। তাদের কাছ থেকে কোন দিক-নির্দেশনাও পায়নি। প্রচ- ক্ষোভ আর অভিমান নিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। তবে আমরা তাতে হতাশ নই। এক-এগারোর পরবর্তী সময়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই দলকে টিকিয়ে রেখেছে। আজও তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে চলমান আন্দোলনকে সফল করবে।

ঢাকা মহানগর বিএনপির ২১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনেক আগে গঠন করা হলেও এ কমিটি মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি গঠন করতে পারেনি এবং মহানগরীর পূর্ণাঙ্গ কমিটিও তারা গঠন করতে ব্যর্থ হয়েছে। ২১ সদস্যের কমিটির মধ্যে বর্তমানে আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা এবং নাসির উদ্দিন আহম্মদ পিন্টু ও আনোয়ারুজ্জান আনোয়ার জেলে রয়েছেন। মহানগরীর সদস্য সচিব আব্দুস সালামসহ অন্য আহ্বায়করা এখন গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে আত্মগোপনে আছেন। আন্দোলনে না থেকে এভাবে আত্মগোপনে থাকায় দলের সাধারণকর্মীরা এখন তাদের প্রতি প্রচ- ক্ষুব্ধ। শুধু মহানগর কমিটি নয়, দলের অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের প্রতিও সাধারণ কর্মীদের ক্ষোভ এখন চরমে। বিএনপির আন্দোলনের মূল স্তম্ভ হিসেবে এতদিন যাদের মনে করা হতো সেই ছাত্রদল-যুবদলের নেতারা কোথায়? দলের অনেকের মুখে শোনা যায় আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ছাত্রদলের সভাপতি, সেক্রেটারি এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পুলিশ ডেকে এনে তারা গ্রেফতার হয়েছেন। এছাড়া যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সবাই পলাতক রয়েছেন। সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক আটক থাকলেও সভাপতিসহ অন্য নেতারা রয়েছেন আত্মগোপনে। শ্রমিকদলের কোন নেতারই কোন খবর নেই। মহিলাদলের নেতারা অন্য সব সময় চেয়ারপার্সনের আশপাশে ঘোরাঘুরি করলেও এ আন্দোলনে তাদেরকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। ঢাকা মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর কর্মকা-ে প্রচ- ক্ষুব্ধ দলের চেয়ারপার্সনসহ সারাদেশের নেতাকর্মীরা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন