ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৪

আন্দোলন দমাতে সরকারি বাহিনী তালিকা করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যা করছে

আন্দোলন দমাতে সরকারি বাহিনী তালিকা করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যা করছে। প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিরোধী দল বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, বিএনপি জামায়াত অধ্যুষিত জেলা-উপজেলায় এসব নৃশংস হত্যাকাণ্ড চলছে। আন্দোলনপ্রবণ এলাকাগুলোতে যৌথবাহিনীর অভিযানের নামে এ হত্যাকাণ্ড শুরু হয়েছে গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে। এর আগে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে প্রতিবাদী জনতা ও বিরোধী নেতাকর্মী হত্যার ঘটনা ঘটলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবী যতই বেগবান হচ্ছে তখন ঠাণ্ডা মাথায় সরকারি বাহিনীকে দিয়ে বর্বর কায়দায় হতাযজ্ঞ চলছে। বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর গুলি করে হত্যা করে বলা হচ্ছে বন্দুক যুদ্ধে খুন হয়েছে। বিরোধী মতে দক্ষ সংগঠন ও জনপ্রিয় নেতারাই এ হত্যার শিকার হচ্ছেন। আবার নিজ ঘরে কিংবা পথে, হাটে, দোকানে টার্গেট করে ঘাতকবাহিনী বিরোধী ত্যাগী নেতাদের খুন করছে। এ সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। গা শিউরে ওঠার মত হত্যাকাণ্ডগুলো দেশের বিবেকবান মানুষকে উদ্বিগ্ন করলেও সরকারি খুনে বাহিনীর হাত কাঁপছে না। এমনকি বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের সামনে হত্যা করেও দায় অস্বীকার করছে সরকারি বাহিনী। লক্ষীপুরে জামায়াতের নায়েবে আমীর এলাকার জনপ্রিয় চিকিত্সব ডা. ফয়েজকে বাড়ির ছাদে নিয়ে গুলি করে নিচে ফেলে দেয়ার ঘটনা সারাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। এ সব হত্যাকাণ্ডে দেশের বিরোধী রাজনীতিকদের মধ্যে চরম নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে। কখন কে পোশাকী কিংবা সাদা পোশাকী ঘাতকদের আগ্নেয়াস্ত্রের টার্গেট হয়ে আছেন তা ভেবে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকে। মূলত আন্দোলনরত বিরোধী নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীতি ছড়ানোর জন্যই এ ধরণের বর্বর হত্যাকাণ্ড চলছে বলে মনে করে বিশ্লেষকরা। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত সাতক্ষীরা, যশোর, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, বাগেরহাট, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম জেলায় এ হত্যাকাণ্ড চলছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য এলাকায়ও একই ধরনের টার্গেট কিলিং চলবে বলে অনেকে ধারণা করছেন। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত করা হয়। এর পর একে একে অন্যান্য জেলায় একই ধরণের পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড চলছে। এ সব হত্যাকাণ্ডের সময় তালিকাভুক্ত কাউকে পাওয়া না গেলে বুলডোজার দিয়ে তার বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেয়ার মত বর্বরতা ও হানাদার বাহিনীর পেশাচিকতা অনুসরন করা হচ্ছে। অনেক পরিবারের নারি-শিশুকে ধরে নিয়ে নির্যাতন চালানো হচ্ছে। সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীল অভিযানকালে নারির সম্ভ্রমহানির অভিযোগও উঠেছে। এসব বর্বরতার সঙ্গে যারা জড়িত তারা আদৌ এ স্বাধীন দেশের কোন বাহিনীর সদস্য না ভিনদেশী হানাদার সে প্রশ্নও করছেন ভুক্তভোগিরা। সিরিয়াল টার্গেট কিলিং এর আওতায় সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার মেহেরপুরের হিজুলি গ্রামের অধিবাসী জামায়াত নেতা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জব্বারকে (৫৫) যৌথবাহিনী ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে। যৌথবাহিনীর দাবি, বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছেন তিনি। নিহত জব্বার মেম্বর মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ছিলেন। তিনি হিজুলি গ্রামের আবদুল মালিথার ছেলে। পরিবারের সদস্যরা জানায়, শুধুমাত্র জামায়াতের রাজনীতি করায় তাকে ধরে নিয়ে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এর ঠিক একদিন আগে পরশু সোমবার সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান আনারুল ইসলামকে (৪৫)। সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার শিকড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি সদর উপজেলার ১০ নম্বর আগরদাঁড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি বিএনপি করতেন বলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান আবদুল আলিম জানান। বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে গত এপ্রিলে তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। আনারুল জেলার সদর উপজেলার কাসেমপুর গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে। সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, বেলা পৌনে ১টার দিকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিকড়ী এলাকায় অভিযানে বের হন। সেখানে পৌঁছলে পাশের কুলবাগান থেকে যৌথবাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল, গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় যৌথবাহিনীর সদস্যরা পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে আনারুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন। পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। নিহত চেয়ারম্যান আনারুল ইসলামের ভাই আবদুল গফ্ফার সাংবাদিকদের জানান, সোমবার সকাল ৯টার দিকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে কয়েকজন লোক তাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। এর পর তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর লক্ষীপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর এলাকার অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ ডা. ফয়েজ আহমদকে গুলি করে হত্যা করছে সরকারি বাহিনী। গভীর রাতে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় নিজ বাড়িতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ডা. ফয়েজের স্ত্রী মারজিয়া ফয়েজ জানান, র্যাবের একটি দল গভীর রাতে গেট ভেঙে বাসায় ঢোকে। এরপর তারা বাসার বিভিন্ন রুমে তল্লাশি চালায়। এক পর্যায়ে ফয়েজ আহমদকে আটক করে বাসার ছাদে নিয়ে গুলি করে নিচে ফেলে দেয়। নিচে থেকে ডা. ফয়েজের লাশ নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতালের সিঁড়ির নিচে ডা. ফায়েজের মৃতদেহ ফেলে রেখে যায়। মৃতদেহের মাথায় ও পায়ে গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়। গত ১৬ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জমিরতলি এলাকায় র্যাবের অভিযানে দিঘলী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবুল ও খোরশেদ আলম সুমন নামে দু’জন নিহত হয়। বাবুলকে ঘরে বসে ভাত খাওয়ার সময় র্যাব পোশাকধারী সদস্যরা তাকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে বলে তার স্ত্রী জানিয়েছেন। এর আগে ১২ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় যখন মানুষ ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যাচ্ছিলেন ওই সময় অর্ধশতাধিক সশস্ত্র র্যাব সদস্য জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দীন সাবুর উত্তর বাসস্ট্যান্ডের বাড়িতে হানা দেয়। বাসার গেট না খোলায় তারা গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ সাবুকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পরিবারের সদস্যরা তাদের বাধা দেয়। এ সময় র্যাব সদস্যরা এলোপাতাড়ি পায়ে গুলি করে। এ গুলি ও সাহাবুদ্দিনের ছোট ভাইকে গ্রেফতার করে নেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুুরে গণবিস্ফোরণ ঘটে। বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর র্যাব-পুলিশের গুলিতে নিহত হয় কমপক্ষে ৩ জন। নিহতরা হলেন লাহারকান্দি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাহবুবুর রহমান (৪৫) ও শহরের বাঞ্ছানগর গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে ছাত্রশিবিরের কর্মী শিহাব উদ্দিন (১৫) ও একই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে সুমন (৩৫)। গত ৩০ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলা করপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির হোসেনকে (৪০) মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। ভোরে রামগঞ্জ উপজেলার ভাটরা ইউপির নান্দিয়াাপাড়া মালের বাড়ির সামনে মুদাফফরগঞ্জ সড়কের পাশ থেকে পায়ের নখ উপড়ানো ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মনিরের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রেও অভিযোগের আঙ্গুল সরকারি খুনি বাহিনীর দিকে। এর আগে গত ২২ জুন লক্ষ্মীপুরে সদর উপজেলার স্থানীয় ওয়ার্ড যুবদল নেতা সেলিমকে গুলি করে হত্যা করা হয় । উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সেলিম কাশিপুর গ্রামের গোলাম মুস্তফার ছেলে ও স্থানীয় ওয়ার্ড যুবদল নেতা। সেলিম রাত ১১ টার দিকে বাড়ির পাশে একটি চা দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় একটি মোটরসাইকেল করে একই এলাকার রতন, রিয়াদ ও রোমান তাকে দোকান থেকে ডেকে নেয়। পরে তারা সেলিমকে গুলি করে হাত পা বেঁধে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায়। গত ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর র্যাব-পুলিশ-বিজিবি’র যৌথবাহিনী সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। এ অভিযানকালে জামায়াত কর্মীসহ ৬ জন নিহত হয়। এ সময় জামায়াত-বিএনপির ২০টি বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়। নিহতরা হলেন, সদরের সাতানি গ্রামের আহাদ মোল্লার ছেলে জাহাঙ্গীর মোড়ল (২৫), শিয়ালডাঙ্গা গ্রামের ইলিয়াস সরদারের ছেলে সায়েববাবু, সদর উপজেলার শাঁখরা এলাকায় ২ জন ও দেবহাটার সখিপুরে নিহত হয়েছে আরো ২ জন। শিয়ালডাঙ্গা গ্রামের ইলিয়াস অবশ্য সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল ওই অভিযানে পাঁচজন নিহতের কথা স্বীকার করেন। গত ১২ ডিসেম্বর র্যাব ধরে নিয়ে যায় সাতক্ষীরার সদরের কুচপুকুর এলাকা জামায়াত কর্মী হাবিবুর রহমান হবিকে (৩৫)। তিন দিন পর ১৫ ডিসেম্বর বাজারের পাশে তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। সাতক্ষীরা সদরের আগরদাঁড়ি ইউনিয়নের জামায়াত নেতা আকবর আলীর ছেলে হাবিবুর। তার বুক ও মাথার একাধিক স্থানে গুলির ক্ষত দেখা যায়। নিহতের স্বজনরা জানান, ৩দিন ধরে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এরই মধ্যে খুলনার ডুমুরিয়া থেকে তাকে র্যাব আটক করেছে বলে মোবাইল ফোনে পরিবারকে জানানো হয়। সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ আবদুল খালেক সাংবাদিকদের জানান, রাজনৈতিক আন্দোলন দমাতে সরকারি বাহিনী হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। গত ২০ ডিসেম্বর প্রকাশ্য দিবালোকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় এক বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিহত রফিকুল ইসলাম ফারুক (৪৬) জেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও দাইন্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শহরের আকুর-টাকুরে নিজের বাসা থেকে হাঁটতে বেরিয়ে বটতলা বাজারের কাছে পৌঁছালে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। দ্রুত সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিত্সক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ফারুক বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গত ১৯ ডিসেম্বর বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দুই বিএনপি নেতাকে হত্যা করা হয়। স্থানীয় বহরবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আফজাল খান (৩৯) ও জিওধরা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা রিয়াজুর রহমান (২৩) এ হত্যাকান্ডের শিকার হন। রাতে এশার নামাজ পড়ে ফুলহাতা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় ইউপি মেম্বর ও আওয়ামী লীগ নেতা সরোয়ার হোসেনের বাড়ির নিকট ঘাতকরা আফজালকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে এলাকাবাসী মুমুর্ষূ অবস্থায় আফজাল খাঁকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এদিন গভীর রাতে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় আফজাল খাঁ মারা যান। অপরদিকে জিওধরা ইউনিয়নের জিওধরা গ্রামের একটি চিংড়ি ঘের থেকে রিয়াজুর রহমানকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী চিংড়ি ঘেরের ভেতর কাঁদা মাটিতে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। আহত আফজাল মোড়েলগঞ্জের বেতবুনিয়া গ্রামের কাজল খাঁর এবং রিয়াজুর রহমান রাজাপুর গ্রামের শহিদুল কাজীর ছেলে। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর যশোর সদর উপজেলার উপশহর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি আবদুল হাই সিদ্দিকীকে গুলি করে হত্যা করেছে ঘাতকরা। রাত আটটার দিকে উপশহর এলাকায় নিজের বাড়িতে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ইদ্রিস আলী জানান, আবদুল হাই ঘরে বসে কম্পিউটারে কাজ করছিলেন। এ সময় জানালা দিয়ে কে বা কারা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় এই নেতাকে পরিকল্পিতভাবে সরকারে দলীয় কিংবা রাষ্ট্রীয় বাহিনী হত্যা করেছে বলে ধারণা দল ও পরিবারের। গত ৯ ডিসেম্বর যশোরে গুলি করে নগর ছাত্রদলের সহ সভাপতি কবির হোসেন পলাশকে (৩০) হত্যা করা হয়। এ সময় শামসুজ্জামান রিন্টু (৩০) নামে অপর এক ছাত্রদল নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ঘটনার দিনগত রাত ৮টার দিকে শহরের জজকোর্ট মোড়ে এ হত্যাকান্ড ঘটে। নিহত পলাশ শহরের ভোলাট্যাঙ্ক রোড এলাকার মহিদুল ইসলামের ছেলে এবং আহত রিন্টু শহরের পোস্ট অফিস পাড়া এলাকার বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে পলাশ, রিন্টুসহ ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী জজকোর্ট মোড় এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে চড়ে অজ্ঞাত ঘাতকরা টার্গেট করে গুলিবর্ষণ করে। এতে পলাশের মাথায় ও রিন্টুর পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবর্ষণের পর দুর্বৃত্তরা বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর অবস্থায় পলাশ ও রিন্টুকে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর পলাশের মৃত্যু হয়। পলাশ চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক। তার হত্যার পেছনে সরকারি বাহিনী জড়িত বলে মনে করে পরিবার। গত ৮ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ায় খুন হন বিএনপি দলীয় আরেক ইউপি চেয়ারম্যান। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও কুমারখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুন্সি রশিদুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে মহেন্দ্রপুর বাজারে রশিদুল চা খাচ্ছিলেন। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে তাকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে রাত পৌনে আটটার দিকে তার মৃত্যু হয়। গত ৩০ জুলাই হাজারীবাগের ১৩৩/ বি নম্বর নিজ বাড়ির সামনে চায়ের দোকানে বসেছিলেন বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন। এ সময় মোটরসাইকেলে ২ যুবক এসে তাকে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। জসিম উদ্দিন হাজারীবাগ থানার ২২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন