দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের উপর হামলসহ চলমান সহিংসতা, ভাংচুর ও জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ ও নিন্দা জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
উৎসঃ নয়া দিগন্ত অনলাইন
দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক ও সংবিধান স্বীকৃত পন্থায় আন্দোলনে বিশ্বাসী একটি রাজনৈতিক দল। জামায়াতে ইসলামীর সুদীর্ঘ ইতিহাসে কোনো ধরনের হিংসাত্মক, ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের সাথে কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমরা লক্ষ্য করছি চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন যখন যৌক্তিক পরিণতির কাছাকাছি তখন জনগণের দৃষ্টি ভিন্নদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা, ভাংচুর, জ্বালাও, পোড়াওয়ের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। আমরা এ ধরনের সকল অপকর্মের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে এসব ঘটনার সাথে যারা সংশ্লিষ্ট, তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আমরা আহ্বান জানাই।
তিনি বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, সরকার তার সূচনালগ্ন থেকে দেশের কোথাও কোন ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটলেই কোন ধরনের বাছবিচার ও তদন্ত ছাড়াই কালক্ষেপন না করে তার সমস্ত দায় এবং দোষ জামায়াতের উপর চাপানোর অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। পিলখানার নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের দুঃখজনক ঘটনা, রামুসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপর ও তাদের উপাসনালয়ে হামলা, পাবনার সাথিয়ায় যুবলীগের চাঁদাবাজদের দ্বারা হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় সরকার এবং এক শ্রেণীর প্রচার মাধ্যম জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিল, যা পরবর্তীতে শতভাগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। বগুড়ায় শহীদ মিনারে হামলা করতে গিয়ে যুবলীগ নেতা হাতেনাতে ধরা পড়েছে। সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘুদের বাড়ীতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করতে গিয়ে যুবলীগ কর্মী হাতে নাতে ধরা পড়েছে। আদালত তাকে এক বছরের কারাদ- প্রদান করেছে। মাগুরায় গাড়ীতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করতে গিয়ে যুবলীগের ৩ জন সন্ত্রাসী পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার সুজাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজে স্কুলের আসবাবপত্রে অগ্নিসংযোগ করে জামায়াতের উপর দায়ভার চাপাতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়েছে এবং পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছে। এসব খবর গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। এ উদাহরণগুলো বিশাল ষড়যন্ত্রের অংশ মাত্র।
এসব ছাড়াও যেকোনো সহিংস ঘটনার দায়ভার সব সময় তারা জামায়াতের উপর চাপানোর চেষ্টা করে। ফলে প্রকৃত দোষী এবং সন্ত্রাসীরা পার পেয়ে নব উদ্যমে এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ে। জাতির সঙ্গে এ ধরনের নিষ্ঠুর উপহাস বন্ধ করার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আন্তরিকভাবে আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, যদি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জামায়াতের কোনো জনশক্তি দায়ী বলে প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সহযোগিতার জন্য জামায়াত প্রস্তুত। তবে সেক্ষেত্রে প্রশাসনকে অবশ্যই সকল ধরনের চাপ, ভয়, ভীতির ঊর্ধে উঠে বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি বলেন, .................................উৎসঃ নয়া দিগন্ত অনলাইন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন