ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৩

গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তনে খুব লেগেছে !!!

গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তনে খুব লেগেছে !!! বেগম জিয়ার এই বক্তব্য শিবিরের ডিফেন্ড দেয়ার প্রয়োজন নেই।
কারন, শিবির জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী সংগঠন না, বরং একটি ইসলামী আদর্শের সংগঠন। শুধু নিচের কয়েকটি জিনিস সবার সামনে আলোকপাত করা হলোঃ
০১. শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৫ সালে "আওয়ামী মুসলিম লীগ" শব্দ থেকে মুসলিম বাদ দিয়ে শুধু আওয়ামী লীগ করে ।

০২. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম থেকে "ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজি ..অর্থঃ "পড় সে প্রভুর নামে যিনি তোমায় সৃষ্টি করেছেন।" কোরানের এই আয়াত তুলে দেন, ধর্মীয় শব্দ বলে।
০৩. শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম থেকে "রাব্বি জিদনী ঈলমা" অর্থ "প্রভু আমায় জ্ঞান দাও।" কোরানের এই আয়াতটিও তিনি তুলে দেন তার প্রচন্ড ক্ষমতা বলে ধর্মীয় শব্দের অযুহাতে।
০৪. "কবি নজরুল ইসলাম কলেজ" থেকে ইসলাম বাদ দিয়ে, "কবি নজরুল কলেজ" করা হয়। অপবাদ দেন ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির।
০৫. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের "সলিমূল্লাহ মুসলিম হল" থেকে মুসলিম শব্দ বাদ দিয়ে "সলিমূল্লাহ হল" করা হয়, যা এখনও বিদ্যমান। অপবাদ ইসলাম ধর্মের। অথছ, ভারতের মত কট্টর হিন্দুয়ানী দেশে ২০০শত বছরের পুরানো বিদ্যাপীট আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালেয়নামের সাথে মুসলিম শব্দ আজও টিকে আছে।
০৬. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের "আল্লামা ইকবাল হলের" নাম পরিবর্তন করে "সূর্যসেন হল" করা হল। ইকবাল মুসলিম জাগরনের কবি, তাঁর কবিতা মুসলিম সাহিত্য, মাদ্রাসা, হাজারো আলেমের হূদয়ে গুঞ্জরণ হয় আজো। মুসলিম জাতিকে গড়ে তূলতে ২৫ হাজার পংতির শুধু কবিতাই লিখেছেন। তিনিই প্রথমে বৃটিশ থেকে স্বাধীন করে আলাদা একটি মুসলিম ভূখন্ডের কথা বলেছিলেন ফলে তাকে পাকিস্থানের স্বপ্নদ্রস্টা বলা হয়। তিনি মৃত্যুবরন করেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মানে পাকিস্থানের জন্মেরও
বহু আগে। ইকবালের নাম না হয় তুলে দেয়া হল, কিন্তু যার নাম তাঁর যায়গায় দেওয়া হল তিনি হলেন বিপ্লবী নেতা সূর্যসেন। সূর্যসেন চরম মুসলিম বিদ্ধেষী, তার দলে মুসলিম তো দূরের কথা, ব্রাহ্মন ব্যতীত কোন সাধারন হিন্দুকেও সদস্যও করা হত না।
তিনি বৃটিশের বিরুদ্ধে বিপ্লবের কথা বলে যত ব্যক্তি হত্যা করেছেন, তার ৮০% ছিলেন মুসলিম।
০৮. শেখ মুজিবুর রহমান তার শাসনকালে ধর্মনিরেপেক্ষতার অজুহাত তুলে সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহর মত ছোট্ট কথাটিকেই
ঝেঁটিয়ে বিদায় করে। এতে কোন মাথা ব্যথা নেই !!!!!!!

সঠিক ইসলামী আন্দোলন যেখানে আছে সেখানেই বাধা আছে


গতকাল একজন সৌদি সিটিজেনের সাথে কথা হচ্ছিলো সকল মুসলিম দেশের বিশেষ করে মিশরের মুসলিমদের উপর অত্যাচার , নির্যাতন , গণহত্যা নিয়ে ।
সৌদি লোকটি আমার সহকর্মী , তাকে প্রথম যেইদিন দেখলাম ... কেমন যেন রূগ্ন রূগ্ন ভাব । মুখে দাঁড়ি , হালকা পাতলা গঠন , মনে হয় অনেকদিন না খেয়ে আছে । আমাদের সাথে গত ৬ মাস ধরে কাজ করছে । তার আচার ব্যাবহার অত্যন্ত ভাল । অন্য সৌদিদের থেকে আলাদা । এর আগে কখনও এই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করিনি তার সাথে ।
তার কথা শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম । সে নিজ দেশের সরকারের দ্বিমুখী নীতির সমালোচনা করে বলেন , সৌদি আরবের জনগন মুরসিকে সমর্থন করলেও সরকার আমেরিকার কারনে মিশরের সেনাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে । যা ইসলামী রাষ্ট্রে মূলমন্ত্র বিরোধী ।
আমি বললাম তাহলে আপানাদের( মুসলিম উম্মার) কি কিছুই করার নেই ?
সে বলল আমাদের দেশটা (সৌদি আরব) এখনো রাজতন্ত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত । যেটা ইসলাম কখনও সমর্থন করে না কিন্তু আমরা যারা প্রতিবাদ করছি / করতে চাইছি তাদেরকে গ্রেফতার করে অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নিক্ষেপ করা হচ্ছে । অনেককেই জীবন দিতে হচ্ছে সেই প্রকোষ্ঠে । সাধারন কয়েদিদের চেয়ে কয়েকগুন বেশী কষ্ঠ করতে হচ্ছে আমাদেরকে ।
বলেন কি ?
হ্যাঁ , আমি আপনার সাথে কতদিন যাবত কাজ করছি বলতে পারেন ?
আমি বললাম প্রায় ৬ মাস ।
হ্যাঁ , তার আগে আমি কই ছিলাম , জানেন ?
না ।
আমি দীর্ঘ ৭ বছর জেল খেটে বের হয়েই আপনাদের এই কোম্পানিতে চাকুরী নিয়েছি । আমার মতো হাজার হাজার ভাইকে দেখছি জেল খানায় কষ্ট করতে । অনেকের দৈনিক একবেলা খানাও জুটে না , আবার অনেকের অসুস্থতার চিকিৎসা না হওয়ায় মৃত্যুর কোলে ঢুলে পড়ছে ।
তিনি বললেন ,
আপনারা যারা মনে করেন সৌদি আরবের মুসলমানরা সুখে আছে , তাই অন্যদের ব্যাথা বুঝে না ,
তারা হয়তো জানেন না আসল ঘটনা । আমাদেরকেও রক্ত দিতে হচ্ছে , শহীদ হতে হচ্ছে , নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছে এমনকি আপনাদের থেকেও কয়েকগুন বেশী নিরযাতনের সম্মুখীন হচ্ছি আমরা .......................................।
তার কথা গুলো আমার চোখের পানি বের করে দিলো । আমার এতোদিনের ধারনা ভুল প্রমাণিত হলো । আমি তার শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা করে বুঝতে পেরেছি বাস্তবতা আসলেই কত নিষ্ঠুর । এতদিন আমার ধারনা ছিলো ইসলামী আন্দোলন সৌদি আরবে নেই , থাকলেও তাতে বাধা নেই ।
কিন্তু সঠিক ইসলামী আন্দোলন যেখানে আছে সেখানেই বাধা আছে এটা আবারও অনুধাবন করলাম ।

-Fanpost

শিবির নেতা মনসুর আহমদকে হত্যার প্রতিবাদে জয়পুর হাট জেলা শাখা শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল

শিবির নেতা মনসুর আহমদকে হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জয়পুর হাট জেলা শাখা  শিবিরের মিছিল। ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩ইং তারিখ 'গণতন্ত্রের অভিযাত্রায়' অংশ হিসেবে ঢাকায় শিবিরের মিছিল চলাকালে পুলিশের গুলিতে শিবির নেতা হাফেজ মনসুর আহমেদ শাহাদাৎ বরণ করেন। 

মৌলভীবাজার শহর শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল

মনসুর হত্যার প্রতিবাদে মৌলভীবাজার শহর শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল
শিবির নেতা মনসুর আহমদকে হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মৌলভীবাজার শহর শিবিরের মিছিল। ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩ইং তারিখ 'গণতন্ত্রের অভিযাত্রায়' অংশ হিসেবে ঢাকায় শিবিরের মিছিল চলাকালে পুলিশের গুলিতে শিবির নেতা হাফেজ মনসুর আহমেদ শাহাদাৎ বরণ করেন। 

পরিকল্পিত ভাবে ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যা করা হল জামাত নেতা ও আমঝুপি ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর আব্দুল জব্বার (৫২) কে

পরিকল্পিত ভাবে ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যা করা হল জামাত নেতা ও আমঝুপি ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর আব্দুল জব্বার (৫২) কে। ‪#‎পথিক‬ কি আর বলবো, ধিক্কার দেওয়ার মত কোন ভাষা পাচ্ছি না। দিন দিন দেশের অবস্থা কি হচ্ছে। কার কোন নিরাপত্তা নাই। আজ(৩১/১২/১৩) পরিকল্পিত ভাবে ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যা করা হল জামাত নেতা ও আমঝুপি ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর আব্দুল জব্বার (৫২) কে। তাকে গত ৩০/১২/১৩ তারিখে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল আজ ভোরের দিকে তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে।পুলিশ এর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বন্দুক যুদ্ধে সে মারা গেছে। একজন বৃদ্ধ মানুষ , যার নামে আজ পর্যন্ত মেহেরপুরের কোন থানায় কোন মামলা নাই। তাকে এমন ভাবে হত্যা করা হল ,মনে হয় যেন তিনি অনেক গুল খুনের আসামী।রাজনগরে যৌথ বাহিনীর অভিযানের পর থেকেই জব্বার মেম্বরকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল পুলিশ। এমন কি সোমবার সকালে আব্দুল জাব্বার মেম্বরকে দেখতে এসে থানায় আটক হয় তার ছেলে মোমিনুল ইসলাম।পুলিশ তার কোন হদিস দিচ্ছে না। উল্লেখ্য যে , মেহেরপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময় রাজনগর গ্রাম থেকে ৫ জনের লাশ চাওয়া হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে, তার মধ্যে একজন এই মেম্বর আব্দুল জব্বার। গনতন্ত্র কোথাই... মেহেরপুর জেলা সদরের হিজুলী গ্রামের জামায়াত নেতা আব্দুল জাব্বার মেম্বরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে মেহেরপুর জেলা জামায়াত। প্রতিবাদে আগামিকাল বুধবার মেহেরপুর জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে দলটি।

ডেইলী স্টারের সাংবাদিকের ক্যামেরা কেড়ে নিল ঢাবি ভিসি!

এবার ইংরেজি পত্রিকা ডেইলি স্টারের ফটো সাংবাদিকের ক্যামেরা কেড়ে নিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। গতকাল সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত শিক্ষকদের সঙ্গে তার বাকবিতন্ডার ছবি তুলতে গেলে এ আচরণ করেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল দুপুর ১টার দিকে চার দফা দাবি নিয়ে স্মরকলিপি দিতে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষক। এসময় ভিসি শিক্ষকদেও সঙ্গে উতপ্ত বাক্যবিনিময় ও বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন। এমন দৃশ্য ধারণ করতে গেলে ডেইলি স্টার পত্রিকার ফটো সাংবাদিক এমরানের ক্যামেরা কেড়ে নেন ভিসি। অনুমতি ছাড়া ছবি তোলার কারণে তার ক্যামেরা আটক রেখে তাকে লাঞ্ছিত করেন তিনি। পরে যেসব ছবি তোলা হয়েছে সেগুলো ডিলিট করতে হবে এ আশ্বাসের ভিত্তিতে ক্যামেরা ফেরত দেয়া হয়। এসময় ভিসি সাংবাদিকের উপর ক্ষেপে গিয়ে বলেন, তোমাকে এখানে কে ডেকেছে? কে বলেছে তোমাকে ছবি তুলতে? ক্যামেরা বন্ধ করো। এমরান ভিসিকে বলেন, ‘আপনি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক। গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। সব সময় গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলেন। অথচ আপনি সাংবাদিকদের ছবি তোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছেন।’ পরে ভিসি বলেন, ‘আমি এখনো গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলছি। তাই বলে অনুমতি ছাড়া তুমি ছবি তুলতে পারো না।’ পরে তাকে ছবি ডেলেট করার শর্তে ক্যামেরা ফেরত দেয়া হয়। ড. আরেফিন সিদ্দিকের ক্যামেরা কেড়ে নেয়ার ঘটনা গতকাল বিভিন্ন মহলে ব্যাপক ভাবে আলোচিত হয়েছে। সাংবাদিকতা বিভাগের অনেক প্রাক্তণ এবং বর্তমান শিক্ষার্থী এ ঘটনায় রীতিমতো হতবাক। অনেকে এ ব্যাপারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক ছাত্র এ সম্পর্কে বলেন, আরেফিন স্যার আমাদের কাছে ছিলেন বিশাল এক ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তিনি সব সময় সাংবাদিকতার নীতিমালা নিয়ে কথা বলতেন। অনেক ক্ষেত্রে তিনি ঝুকি নিয়ে হলেও সাংবাদিকাতর নীতি বর্জায় রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের উত্সাহীত করতেন। কিন্তু সেই আরেফিন স্যার ক্ষমতার মোহে আওয়ামীলীগের তৃতীয় শ্রেণীর ক্যাডাওে পরিণত হবেন এটা ভাবতেই পারছি না। যে আরেফিন স্যার কে নিয়ে আমরা এক সময় গর্ব বোধ করতাম। আজ তার এ আচরণের পর নিজে লজ্জা বোধ করছি।উৎসঃ আমার দেশ

বাংলাদেশের মাটি আজ রক্তসিক্ত হচ্ছে : খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক ইংরেজী নববর্ষ উপলক্ষে দেশবাসী-প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক এবং বিশ্ববাসী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সবারই অব্যাহত সুখ, স্বাচ্ছন্দ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, শান্তির জনপদ বাংলাদেশের মাটি আজ রক্তসিক্ত হচ্ছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটাধিকার, সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার অস্বীকৃত। জনগণ উৎপীড়িত ও আতঙ্কে কিষ্ট। সবখানে অনিশ্চয়তার অন্ধকার। নতুন বছর সেই অন্ধকার দূর করবে মুক্তির আলোকবর্তিকায়, মানুষ সেই প্রত্যাশায় আছে। তিনি বলেন, পয়লা জানুয়ারি প্রতিবছর নতুন বার্তা নিয়ে আমাদের দ্বারে উপস্থিত হয়। পুরনো বছরের ব্যর্থতা, গ্লানি, হতাশাকে ঝেড়ে ফেলে নবউদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায় নববর্ষ। পাশাপাশি অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সুন্দর ভবিষ্যত বিনির্মাণে তৎপর হতে পারলে নতুন বছরটি হয়ে উঠতে পারে সাফল্যময়। খালেদা জিয়া বলেন, গত বছরটি এখন আমাদের মনে স্মৃতি হয়ে থাকবে। বেশকিছু অমলিন ঘটনা ও অভিজ্ঞতা আমাদের উজ্জল আলোকবর্তিকা। তারই আলোকে আমাদেরকে তৈরি করতে হবে আগামী বছরের চলার পথ। বাংলাদেশসহ বিশ্বময় সংঘাত আর অশান্তির ঘটনা প্রবাহে নতুন বছরটিকে শান্তি ও অগ্রগতির বছরে পরিণত করতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। নতুন বছরটি সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ ও শান্তি, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে প্রবাহিত হোক শান্তির অমিয় ধারা, দূর হয়ে যাক সব অশান্তি, যুদ্ধ বিগ্রহ ও অমানবিকতা-নববর্ষের শুরুতে আমি এ কামনা করছি। অপর এক বিবৃতিতে দেশবাসী ও বিশ্ববাসীকে ইংরেজী নববর্ষ উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, কালের আবর্তে আরো একটি বছর পেরিয়ে গেল। নানা ঘটনা দূর্ঘটনার কালের সাক্ষী হয়ে বছরটি বিদায় নিল। গত বছরের ব্যর্থতার গ্লানিকে ঝেড়ে ফেলে এবং সাফল্যকে সঞ্চয় করে আগামী পথ চলার দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করতে হবে। আমাদের কর্মে নতুন বছরটি যাতে সাফল্য এবং সমৃদ্ধির বছরে পরিণত হয় সে লক্ষে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে।

এই জাতির লোকেরা আর কত কাল আওয়ামী জাহিলিয়াতের জুলুমের স্বীকার হবে

কর্মীদের হাতে পাথর তুলে দিচ্ছেন অপু উকিল  

দুর্ভাগ্য এই জাতির এমন কাপড় পরিহিতা শিক্ষিতা,শিক্ষিকা্‌ এডভোকেট সুশিলনামের আওয়ামী মিহিলা সন্ত্রাসীর প্রধান আজ সশরীরে রাস্তায় পতিতাদের সাথে বিরোধীদলের কর্মসূচীতে চূড়ান্ত আক্রমণে জাতি কাদেরকে ১৬ কোটি মানুষকে পরিচালনার দায়িত্বভার তুলে দিয়েছে।
এই জাতির লোকেরা আর কত কাল আওয়ামী জাহিলিয়াতের জুলুমের স্বীকার হবে।
এই জাতির বিবেকবানদের কি আজও বিবেক জাগ্রত হবে না। যদি না হয় তাহলে কেন শিক্ষিত/শিক্ষিতার নামে দেশের অসহায় নিরীহ সম্মানিত নাগরিকদেরকে শাসনের নামে শোষণ করা হচ্ছে। একজন একজন চরিত্রহীন নারী, একজন সন্ত্রাসী নারী, একজন অশ্লীল গানের,শিল্পি যখন দেশের সংসদ ভবনের জনপ্রতিনিধি হয় তখন জাতির আর বুঝতে বাকি থেকে না দেশকে তারা কথায় নিয়ে যেতে চায়।
সরকার নিজেই যখন হরতাল দিয়ে অবরোধ দিয়ে দেশের সম্মানিত নাগরিদের বিপরিধে অবস্থান নেয় তখন উদ্দেশ্য পরিষ্কার সরকারের কাছে এই দেশের মানুষের মানইজ্জত, সুখ ও শান্তির চিন্তা তাঁদের নাই।

দেশের বিবেকবান ১৬ কোটি মানুষকে আজ অবশ্যই উপলদ্ধি করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা আওয়ামী জাহিলিয়াতের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করবে না বারিংবার আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা নিজ দেশে পরবাসি হয়ে থাকব।

শাহিদ মোবারক

মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনার বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ


বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা আজ ৩১ ডিসেম্বর বিকেল ৩ টা ১০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে যুক্তরাষ্ট দূতাবাস এর মিডিয়া উইং থেকে প্রদত্ত বিবৃতিতে মজিনার ভাষ্যে উল্লেখ করা হয়:
"আমি ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করি। সরকারের দায়িত্ব বিরোধী দলকে স্বাধীনভাবে নিজ মতামত প্রকাশ করার সুযোগ প্রদান করা এবং বিরোধী দলের দায়িত্ব এই সুযোগ শান্তিপূর্নভাবে ব্যবহার করার বিষয়টিও আমাদের আলোচনায় উঠে আসে। সুপ্রীম কোর্ট, প্রেস ক্লাব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রবিবার সংঘটিত ঘটনাবলী অত্যন্ত উদ্বেগজনক কারণ এগুলো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপন্থী এবং কোন ভাবেই যেন এই ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেটাও আমি উল্লেখ করেছি। সকল দলকে সহিংসতা বর্জন করার আমাদের আহবান আমি পুনরায় ব্যক্ত করি কারণ সহিংসতা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সংগে সামঞ্জস্যপূর্ন নয়, এটা অগ্রহনযোগ্য এবং এটা এখনই থামাতে হবে। দলগুলোর এখনই সংলাপে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের জনগনের কাছে গ্রহনযোগ্য একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ খোঁজা যে আরো জরুরী হয়ে পড়েছে সেটা ওপরও আমি গুরুত্ব আরোপ করি। সম্প্রতি ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ব্যাপক গ্রেফতারের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে আমি বলি যে, যাঁরা নিজ গণতান্ত্রিক অধিকার শান্তিপূর্নভাবে চর্চা করতে চায়, তাঁদের ওপর এই বিষয়টি ভীতিমূলক প্রভাব ফেলে এবং দুই পক্ষের মধ্যে ভবিষ্যত সংলাপের সাফল্যের ক্ষেত্রে এই ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন।"

সুপ্রিমকোর্টে লাঞ্ছিত সেই নারী এইচ টি ইমামের ভাতিজি !

২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী জঙ্গি গোষ্ঠীর সুপ্রিমকোর্ট তান্ডবে কিছুটা সেইম সাইড হয়ে গেছে। যেই নারী আইনজীবীর উপর আওয়ামী জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে, সেই নারী আইনজীবী তাদেরই পরিবারের সদস্য। চিনতে না পেরে আওয়ামী জঙ্গিরা ওই নারী আইনজীবীকে শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করে। স্যোসাল মিডিয়া গুলোতে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় তাঁর শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায়ও আওয়ামী জঙ্গিদের হাত। তাঁকে চুল ধরে কিল ঘুষি দেয়া হয়। লাথি দিয়ে মাটিতে ফেলা হয়। তারপরও থেমে থাকেনি তারা। কয়েকজন মিলে লাথি এবং লাটি পেটা করতে থাকে। ওই নারী আইনজীবীর নাম সিমকি ইমাম। শেখ হাসিনার উপদেস্টা এইচ টি ইমামের ভাতিজি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিমকি ইমাম বিএনপি’র জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এক নেতার ঘাড়ে সাওয়ার হয়ে দলের ভেতরে ঢুকেন। তাঁর মূল কাজ ছিল বিএনপির আইনজীবী নেতাদের গতিবিধি এবং নানা বিষয়ে এইচ টি ইমামকে অবহিত করা। মূলত এক রকম ইনফরমার হিসাবে কাজ করেন সিমকি। ওই আইনজীবী নেতাকের পুরো খরচ দিয়ে একবার লন্ডনও নিয়ে এসেছিলেন সিমকি। তখন উদ্দেশ্য ছিল তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেয়া। ভবিষ্যতে তারেক রহমানের ঘনিষ্ট হিসাবে তাঁকে কাজে লাগানো। ওই আইনজীবী নেতা সিমকি ইমামকে নিয়ে বেশ কয়েকবার দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়েছেন। তখন পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছে সিমকি ইমাম নিম্ন আদালতে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের মামলা গুলোর সার্বক্ষণিক খোজ খবর রাখেন। অথচ ওই মহিলা আইনজীবী মামলা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের মামলার বিষয়ে নিম্ন আদালতে যারা খোজ খবর রাখেন তাদের কেউ পাত্তাও দেয় না। অথচ তারাই সব সময় খোঁজ খবর রেখে চলছেন। আর চেয়ারপার্সনের কাছে সিমকি ইমামকে নিয়ে বলা হয় তিনি মামলা দেখাশোনা করছেন। এনিয়ে ঢাকা বার-এ জুনিয়র আইনজীবীদের মধ্যে অনেক ক্ষোভ বিরাজমান রয়েছে। অনেকেই বলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের একজন নেতার ঘারে সাওয়ার হয়ে সিমকি ইমাম দলের গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত গুলো সহজে জানতে পারেন। আর সেগুলো পাচার করেন এইচ টি ইমামের কাছে। এজন্যই তাঁকে ওই আইনজীবী নেতার ঘনিষ্ট হিসাবে মেলামেশা করার জন্য নিয়োগ করা হয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। ২৯ ডিসেম্বর না চিনতে পেরে অনেকের সঙ্গে সিমকি ইমামকেও শারিরীক লাঞ্চিত করে আওয়ামী জঙ্গিরা।

বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়া গত ২৯.১২.২০১৩ ইং পুলিশ ও সরকারকে নেন্দুপ দর্জির ইতিহাস পড়তে বলেছেন

বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়া গত ২৯.১২.২০১৩ ইং পুলিশ ও সরকারকে নেন্দুপ দর্জির ইতিহাস পড়তে বলেছেন। আসুন আমরা জেনে নেই কে এই নেন্দুপ দর্জি ?? কি সেই ইতিহাস?? সিকিম ভারতের উত্তরাংশে অবস্থিত তিব্বতের পাশের একটি রাজ্য। রাজ্যটির স্বাধীন রাজাদের বলা হত চোগওয়াল। ভারতে বৃটিশ শাসন শুরুর পুর্বে সিকিম তার পার্শ্ববর্তী নেপাল আর ভুটানের সাথে যুদ্ধ করে স্বাধীন অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখে ছিল। বৃটিশরা আসার পর তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে নেপালের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় সিকিম। এসময় রাজা ছিলেন নামগয়াল। কিন্তু বৃটিশরা তিব্বতে যাওয়ার জন্য এক সময় সিকিম দখল করে নেয় এবং ১৮৮৮ সালে রাজা নামগয়াল আলোচনার জন্য কলকাতা গেলে তাঁকে বন্দী করা হয়। পরবর্তী সময়ে ১৮৯২ সালে তাকে মুক্তি দেয়া হয় এবং সিকিমের স্বাধীনতাকে মেনে নেয়া হয়। প্রিন্স চার্লস ১৯০৫ সালে ভারত সফরে আসলে সিকিমের চোগওয়ালকে রাজার সম্মান দেয়া হয়। চোগওয়ালপুত্র সিডকং টুলকুকে অক্সফোর্ডে লেখাপড়া করতে পাঠানো হয়। টুলকু নামগয়াল মতায় বসে সিকিমের ব্যাপক উন্নতি সাধন করেন। বৃটিশের কাছে সিকিম তার স্বাধীনতার নিশ্চয়তা লাভ করে। পরবর্তী চোগওয়াল (রাজা) থাসী নামগয়ালের সময়ে বৃটিশরা ভারত ছেড়ে গেলে গণভোটে সিকিমের মানুষ ভারতের বিরুদ্ধে রায় দেয় এবং ভারতের পন্ডিত নেহরু সিকিমকে স্বাধীন রাজ্য হিসেবে মেনে নিতে বাধ্য হন। ১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধের পর সিকিমের গুরুত্ব বেড়ে যায়। ১৯৬৩ সালে থাসী নামগয়াল এবং ১৯৬৪ সালে নেহরু মারা গেলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। চোগওয়াল হন পাল্ডেন থন্ডুপ নামগয়াল। এ সময় ভারতের প্রধানমস্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সর্বশক্তি নিয়োগ করেন সিকিমকে দখল করার জন্য। তিনি কাজে লাগান সিকিমের প্রধানমন্ত্রী কাজী লেন্দুপ দর্জিকে। ১৯৭০ সালে নেহেরু প্রভাবিত সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেসকে লেন্দুপ দর্জি ব্যবহার করে অরাজকতা সৃষ্টি করেন। রাজপ্রাসাদের সামনে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়লে ইন্দিরা সরকার রাজার নিরাপত্তার কথা বলে ভারতীয় বাহিনী পাঠায়। কিন্তু তারা রাজাকে গৃহবন্দী করেন। বহির্বিশ্বের সাথে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং বিএস দাশকে ভারত সরকার সিকিমের প্রধান প্রশাসক নিয়োগ করে। এই সময় আমেরিকান এক পর্বতারোহী গোপনে সিকিম প্রবেশ করেন এবং সিকিমের স্বাধীনতা হরণের খবর বিশ্বের নিকট তুলে ধরেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে যায়। সিকিম জাতিসংঘের সদস্য পদভুক্তিরও প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এর মধ্যে ভারতের তাঁবেদার লেন্দুপ দর্জির নেতৃত্বাধীন সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস (এসএনসি) ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পার্লামেন্টের ৩২ আসনের মধ্যে ৩১টি আসনে জয়লাভ করে। নির্বাচনে জিতে ২৭ মার্চ ১৯৭৫ প্রথম ক্যাবিনেট মিটিং-এ প্রধানমন্ত্রী লেন্দুপ দর্জি রাজতন্ত্র বিলোপ ও জনমত যাচাইয়ে গণভোটের সিদ্ধান্ত নেন। ততদিনে সিকিমে ভারতীয় সেনাবাহিনী ঘাঁটি গেড়ে ফেলেছে। তারা বন্দুকের মুখে ভোটারদের ‘হ্যাঁ' ভোট দিতে বাধ্য করে। পুরো ঘটনা ছিল সাজানো। ৬ এপ্রিল ১৯৭৫ সালের সকালে সিকিমের রাজা যখন নাস্তা করতে ব্যস্ত সে সময় ভারতীয় সৈন্যরা রাজপ্রাসাদ আক্রমণ করে এবং রাজাকে বন্দী করে প্রাসাদ দখল করে নেয়। তারা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রকে গ্রাস করে ভারতের প্রদেশে পরিণত করে। সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো সিকিম সেনাবাহিনীকে সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতীয় সাংবাদিক সুধীর শর্মা ‘পেইন অব লুজিং এ নেশন' (একটি জাতির হারিয়ে যাওয়ার বেদনা) নামে একটি প্রতিবেদনে জানান, ভারত তার স্বাধীনতার গোড়া থেকেই সিকিম দখলের পরিকল্পনা করেছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওয়াহের লাল নেহেরু অনেকের সাথে কথোপকথনে তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র'-এর সাবেক পরিচালক অশোক রায়না তার বই ‘ইনসাইড স্টোরী অব ইন্ডিয়াস সিক্রেট সার্ভিস'-এ সিকিম সম্পর্কে লিখেন, ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ১৯৭১ সালেই সিকিম দখল করে নেয়া হবে। সে লক্ষে সিকিমে প্রয়োজনীয় অবস্থা সৃষ্টির জন্য আন্দোলন, হত্যা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছিল। তারা ছোট ছোট ইস্যুকে বড় করার চেষ্টা করে এবং সফল হয়। তার মধ্যে হিন্দু- নেপালী ইস্যু অন্যতম। সাংবাদিক সুধীর শর্মা লিখেন, লেনদুপ দর্জি নিজেই শর্মাকে বলেছেন, ‘ভারতের ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর লোকেরা বছরে দু'তিনবার তার সাথে দেখা করে পরামর্শ দিত কিভাবে আন্দোলন পরিচালনা করা যাবে। তাদের একজন এজেন্ট তেজপাল সেন ব্যক্তিগত ভাবে তাকে অর্থ দিয়ে যেতো এ আন্দোলন পরিচালনার জন্য। এ অর্থ দিয়ে রাজনৈতিক সন্ত্রাস পরিচালিত হতো। 'শর্মা আরো লিখেছেন, এই ‘সিকিম মিশনের' প্রধান চালিকা শক্তি ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা, যা সর্বত্র ‘র' নামে পরিচিত। ক্যাপ্টেন ইয়াংজু লিখেছেন, ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বেসামরিক পোশাকে রাজার বিরুদ্ধে গ্যাংটকের রাস্তায় মিছিল, আন্দোলন ও সন্ত্রাস করত। নেহেরুর পরামর্শ, মদদ ও উৎসাহে সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস গঠন করে ছিলেন লেনদুপ দর্জি। শ্লোগান তুলেছিলেন, ‘গণতন্ত্রের সংগ্রাম চলছে, চলবে'। লেনদুপ দর্জির গণতন্ত্রের শ্লোগান শুনে সিকিমের সাধারণ জনগণ ভাবতেই পারেনি, এই শ্লোগানের পিছনে প্রতিবেশী দেশ একটি জাতির স্বাধীনতা হরণ করতে আসছে। সিকিমের জনগণকে দ্বিধাবিভক্ত করে ভারত তার আগ্রাসন সফল করতে এবং এক পক্ষকে ক্ষমতায় এনে তাদের দ্বারা দেশ বিক্রির প্রস্তাব তুলে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছিল। সিকিমের মত ঘটনার অবতারণা বাংলাদেশেও যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে দলমত নির্বিশেষে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। কারণ বাংলাদেশের জনসাধারণের মধ্যে ‘সিকিমফোবিয়া' কাজ করছে প্রবলভাবে। ভারতের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের অবিশ্বাসের অন্যতম কারণ হলো বাংলাদেশও সিকিমের পরিণতি বরণ করে কিনা। আর সে ধরনের পরিবেশ সৃষ্টিতে এজেন্ট তৈরীর নানা প্রকল্পের বাস্তবায়ন চলছে । বড় দেশ হিসেবে ভারতের অন্যতম কৌশল হলো, ছোট দেশের কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, ব্যবসায়ী, কূটনীতিক পর্যায়ের প্রভাব সৃষ্টিকারী ব্যক্তিবর্গের মগজগুলো কিনে নেয়া। ভারত যদি বাংলাদেশকে স্বাধীন-স্বার্বভৌম দেখতে চায় তবে মাথা কেনার কৌশল বাদ দিতে হবে। এই বিষয়গুলোর ব্যাপারেও ভারতের কাছ থেকে ব্যাখ্যা-বক্তব্য আসা উচিত- যাতে বাংলাদেশের মানুষের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর হতে পারে । তাছাড়া নতুন বাঙালী প্রজন্মকে সিকিমের করুণ পরিণতির ইতিহাস জানাতে হবে। ইতিহাস বলে,ভারত সিকিমে এ কৌশলে চেষ্টা করে সফল হয়েছে। এখানেও সেই চেষ্টা করছে বলে অনেকেই সন্দেহ করেন। এসব কাজ অব্যাহত থাকলে সেটা হবে অবন্ধুসুলভ। মূলতঃ সিকিমের ইতিহাস হলো ভারতের সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতার সবচেয়ে প্রকৃষ্ট উদাহরন ।

বাংলাদেশ কি সিকিমের ভাগ্য বরণ করতে যাচ্ছে? শঙ্কিত জনগন !!

বাংলাদেশ কি সিকিমের ভাগ্য বরণ করতে যাচ্ছে? হাসিনা কি আরেক লেন্দুপ দর্জি? আসুন আমরা জেনে নেই কে এই লেন্দুপ দর্জি আর সিকিমের ইতিহাস ?? =বৃটিশরা ভারত ছেড়ে গেল...ে গণভোটে সিকিমের মানুষ ভারতের বিরুদ্ধে রায় দেয় এবং ভারতের পন্ডিত নেহরু সিকিমকে স্বাধীন রাজ্য হিসেবে মেনে নিতে বাধ্য হন। =১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধের পর সিকিমের গুরুত্ব বেড়ে যায়। ১৯৬৩ সালে থাসী নামগয়াল এবং ১৯৬৪ সালে নেহরু মারা গেলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। চোগওয়াল হন পাল্ডেন থন্ডুপ নামগয়াল। =এসময় ভারতের প্রধানমস্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সর্বশক্তি নিয়োগ করেন সিকিমকে দখল করার জন্য। তিনি কাজে লাগান সিকিমের প্রধানমন্ত্রী কাজী লেন্দুপ দর্জিকে। =১৯৭০ সালে নেহেরু প্রভাবিত সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেসকে লেন্দুপ দর্জি ব্যবহার করে অরাজকতা সৃষ্টি করেন। রাজপ্রাসাদের সামনে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়লে ইন্দিরা সরকার রাজার নিরাপত্তার কথা বলে ভারতীয় বাহিনী পাঠায়। কিন্তু তারা রাজাকে গৃহবন্দী করেন। বহির্বিশ্বের সাথে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং বিএস দাশকে ভারত সরকার সিকিমের প্রধান প্রশাসক নিয়োগ করে। এই সময় আমেরিকান এক পর্বতারোহী গোপনে সিকিম প্রবেশ করেন এবং সিকিমের স্বাধীনতা হরণের খবর বিশ্বের নিকট তুলে ধরেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে যায়। =সিকিম জাতিসংঘের সদস্য পদভুক্তিরও প্রস্তুতি নিচ্ছিল। =এর মধ্যে ভারতের তাঁবেদার লেনদুপ দর্জির নেতৃত্বাধীন সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস (এসএনসি) ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পার্লামেন্টের ৩২ আসনের মধ্যে ৩১টি আসনে জয়লাভ করে। =নির্বাচনে জিতে ২৭ মার্চ ১৯৭৫ প্রথম ক্যাবিনেট মিটিং-এ প্রধানমন্ত্রী লেনদুপ দর্জি রাজতন্ত্র বিলোপ ও জনমত যাচাইয়ে গণভোটের সিদ্ধান্ত নেন। =ততদিনে সিকিমে ভারতীয় সেনাবাহিনী ঘাঁটি গেড়ে ফেলেছে। তারা বন্দুকের মুখে ভোটারদের ‘হ্যাঁ' ভোট দিতে বাধ্য করে। পুরো ঘটনা ছিল সাজানো। =৬ এপ্রিল ১৯৭৫ সালের সকালে সিকিমের রাজা যখন নাস্তা করতে ব্যস্ত সে সময় ভারতীয় সৈন্যরা রাজপ্রাসাদ আক্রমণ করে এবং রাজাকে বন্দী করে প্রাসাদ দখল করে নেয়। তারা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রকে গ্রাস করে ভারতের প্রদেশে পরিণত করে।সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো সিকিম সেনাবাহিনীকে সহায়তা ও প্রশিণ দিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। =সাংবাদিক সুধীর শর্মা লিখেন, লেনদুপ দর্জি নিজেই শর্মাকে বলেছেন, ‘ভারতের ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর লোকেরা বছরে দু'তিনবার তার সাথে দেখা করে পরামর্শ দিত কিভাবে আন্দোলন পরিচালনা করা যাবে। তাদের একজন এজেন্ট তেজপাল সেন ব্যক্তিগতভাবে তাকে অর্থ দিয়ে যেতো এআন্দোলন পরিচালনার জন্য। এ অর্থ দিয়ে রাজনৈতিক সন্ত্রাস পরিচালিত হতো।'শর্মা আরো লিখেছেন, এই ‘সিকিম মিশনের' প্রধান চালিকাশক্তি ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা, যা সর্বত্র ‘র' নামে পরিচিত। =নেহেরুর পরামর্শ, মদদ ও উৎসাহে সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস গঠন করেছিলেন লেনদুপ দর্জি। শ্লোগান তুলেছিলেন, ‘গণতন্ত্রের সংগ্রাম চলছে, চলবে', লেনদুপ দর্জির গণতন্ত্রের শ্লোগান শুনে সিকিমের সাধারণ জনগণ ভাবতেই পারেনি, এই শ্লোগানের পিছনে প্রতিবেশী দেশ একটি জাতির স্বাধীনতা হরণ করতে আসছে। সিকিমের জনগণকে দ্বিধাবিভক্ত করে ভারত তার আগ্রাসন সফল করতে এবং এক পকে মতায় এনে তাদের দ্বারা দেশ বিক্রির প্রস্তাব তুলে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছিল। [সংগৃহীত]

‘নির্বাচনের পর শায়েস্তা করা হবে’



হরতাল-অবরোধ বন্ধ করুন, তা না হলে নির্বাচনে পর শায়েস্তা করা হবে। বিরোধী দলের প্রতি এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
সোমবার রাতে মুন্নী সাহার উপস্থাপনায় এটিএন নিউজে ‘নিউজ আওয়ার এক্সট্‌্রা’ অনুষ্ঠানে এ হুঁশিয়ারি দেন অর্থমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে আলোচনার বিষয় ছিল ‘টালমাটাল অর্থনীতি’।
আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, আওয়ামী লীগ ৫ জানুয়ারি নির্বাচন করবে। নির্বাচনের পর সরকার আরো কঠোর হবে। তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংবিধানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চান না। তিনি আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য আন্দোলন করছে। আর আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র রড়্গা করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলোচনার জন্য বিরোধী দলের নেত্রীর কাছে ফোন করেছেন। কিন্তু বিরোধী দলের নেত্রী সেই ফোনে সাড়া দেননি। তিনি (খালেদা জিয়া) বিভিন্ন তালমাটাল করে আলোচনা বন্ধ করে দিলেন। এর পরেও প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেছেন- হরতাল অবরোধ বন্ধ করে আলোচনায় আসুন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- ১০ম নির্বাচন নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই। প্রয়োজনে ১১তম নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আগে আন্দোলন হত কিন্তু সেই আন্দোলনে চলন্তô বাসে আগুন দেয়া হত না, মানুষ পোড়ানো হত না। বিরোধী দল এখন যখনি আন্দোলন করে তখনি মানুষ পোড়ায় ও চলন্তô বাসে আগুন দেয়। 

খালেদার বাসায় বালুভর্তি ট্রাক, চালকের পেটে লাথি


খালেদা জিয়ার চেয়েও আমরা বেশি বিপদে আছি। আমাদের কোনো মজুরি দেয়া হচ্ছে না, ছেড়েও দেয়া হচ্ছে না। অথচ গাড়ির জমা ঠিকই দিতে হচ্ছে। আয় না থাকলে পরিবার চলবে কীভাবে?

সোমবার বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসার সামনে রিকুইজিশন করে রাখা বালুভর্তি টাকের চালক জসিম উদ্দিন বলছিলেন এই কথাগুলো।
গত শনিবার রাতে গাবতলী থেকে আগারগাঁওয়ের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ট্রাকভর্তি বালু সরবরাহ করার সময় গাবতলীর ট্রাফিক সার্জেন্ট তার গাড়িটি খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসার সামনে নিয়ে আসেন।
জসিম বাংলামেইলকে বলেন, ‘আমাদের কেন এখানে আনা হয়েছে বা আমরা কী করবো এমন কিছুই বলেনি তারা। শুনেছি সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তারা ট্রাকগুলো নষ্ট বলে জানিয়েছেন। এটা সত্য নয়। আমরা চলে যেতে চাচ্ছি কিন্তু তারা আমাদের যেতে দিচ্ছেন না। আমাদের গাড়ির কাগজপত্র নিয়ে গেছে।’
আরেক ট্রাকচালক হান্নান বাংলামেইলকে বলেন, ‘আবদুল্লাহপুর থেকে বিমানবন্দরে বালি নিয়ে যাওয়ার সময় আমার ট্রাকসহ আরো দুটি ট্রাক গাবতলী থেকে ট্রাফিক সার্জেন্ট গুলশানে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু দুই দিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আমাদের ভাড়া তো দূরের কথা ছেড়েও দিচ্ছে না। খালেদা জিয়ার কর্মসূচি মোকাবেলা করতে আমাদের আনা হলেও এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের কোনো খোঁজখবর নিচ্ছে না। কারো সঙ্গে কথাও বলতে দিচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক কষ্টে আছি। একদিন কাজ করতে না পারলে পরিবারের খাবার জোগার করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও রাস্তায় নেমেছি। কিন্তু এখনো আমাদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে না।’
শুধু জসিম আর হান্নান নয়, তাদের সঙ্গে ট্রাকসহ আটকা আছেন আরো তিন চালক।
এসব ট্রাকের চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গছে, বিরোধী দলের মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচি প্রতিহত করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে তারাও বিপদে আছেন। খালেদা জিয়াকে বাসা থেকে বের হতে না দেয়ার জন্য তাদের ট্রাকগুলো দিয়ে বাড়ির সামেনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এসব ট্রাকের ভাড়াতো দূরে কথা, খাবারের টাকাও দেয়া হচ্ছে না। পুলিশের খাবার থেকে তাদেরও কিছু খেতে দেয়া হচ্ছে মাত্র।
শনিবার রাত থেকে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। একইসঙ্গে তার প্রটোকল প্রত্যাহার করা হয়। ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে তার বাসার সামনের রাস্তায় শনিবার রাত থেকে পাঁচটি বালুবোঝাই ট্রাক এনে দিয়ে ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে।

এভাবে রিকুইজিশন করে ট্রাক আটকে রেখে সরকারের উদ্দেশ্য পূরণ হলেও এই গরিব চালকদের পেটে লাথি মারা হয়েছে। অরাজকতা ঠেকাতে বিরোধী নেতাকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে এমন যুক্তি রাজনীতিতে টিকলেও গরিব ট্রাক চালকের অন্ন কেড়ে নেয়ার অধিকার তো প্রশাসনকে কেউ দেয়নি।

সর্বশেষ জানা গেছে, রিকুইজিশনের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় সোমবার রাতে ওই পাঁচটি ট্রাক ছেড়ে দিয়ে নতুন করে আবার পাঁচটি বালুভর্তি ট্রাক আনা হয়েছে। ফলে প্রথম পাঁচ জন দুই দিন পর হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। কিন্তু কপাল পুড়লো আরো পাঁচ জনের।

বিরোধী দলের ফাঁদে সরকার !

বিরোধী দলের ফাঁদে পা দিয়েছে সরকার। আর এই ফাঁদ বেরিয়ে আসা সরকারের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন রাজনীতিক বিশ্লেষকরা। তারা মনে করেন, বিরোধী দলের মার্চ ফর ডেমোক্রেসির কর্মসুচি ছিল দাবি আদায়ের পাশাপাশি সরকারকে ফাঁদে ফেলার একটা কৌশল। কারণ বিরোধী দল আগেই ধরে নিয়ে ছিলো যে, কর্মসুচি ঘোষণার পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে। তাকে বাসা থেকে বের হতে দেবে না সরকার। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী দল তাদের আন্দোলন কর্মসুচির পরিধি বাড়িয়ে দেবে যার দায় সরকারের ওপরে পড়বে। সেখানে জনগণ সরকারকে তাদের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করবে। ২০১২ সালের ১২ মার্চ বিরোধী দলের ঢাকা চলো কর্মসুচি বাধা দেওয়ার জন্য সরকার নিজেই সমাবেশের কয়েকদিন আগে থেকে সারা দেশের সঙ্গে রাজধানী ঢাকাকে বিছিন্ন করে দেয়। সে সময় সড়কপথ, রেলপথ ও নৌপথসহ ঢাকার গণপরিবহণগুলো বন্ধ করে দেয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ঢাকার আবাসিক হোটেল, খাবার হোটেলসহ ফুটপাতের দোকানগুলো। সরকারের ওইসব পদক্ষেপ সে সময় দেশের মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। তবে সরকারের তখনকার সময়ে নেওয়া সিদ্ধান্তকে বিরোধী দল তাদের আন্দোলনের কৌশল হিসেবে বেছে নেয়। দাবি আদায়ের হাতিয়ার হিসেবে শেষ মুহূর্তে প্রয়োগের জন্য আটতে থাকে তাদের আন্দোলনের পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনাকে সফলভাবে প্রয়োগ করতে পারলেই সরকার সেই ফাঁদে পড়বে। বর্তমান অবস্থায় সরকার বিরোধী দলের সেই কৌশলে পা দিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া গত ২৪ ডিসেম্বর একতরফা নির্বাচন প্রতিহতের ডাক দিয়ে ঢাকা অভিমুখে মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসুচির ঘোষণা করেন। এরপর থেকে কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারকে আবারও ১২ মার্চের মত পুরোনো পথে হাটতে দেখা যায়। আগের মতোই সরকার সর্মথকদের দিয়ে বিরোধী দলের কর্মসুচি বানচাল করার লক্ষ্যে চালক লীগ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে ডাকা হয় হরতাল। প্রশাসনকে ব্যবহার করে সারা দেশের সঙ্গে রাজধানীকে বিছিন্ন করা হয়। যাতে করে কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা আসতে না পারে। বন্ধ করে দেওয়া হয় রাজধানীর গণপরিবহনগুলো। এমন কর্মকাণ্ডে সরকারকে পড়তে হয়েছে সমালোচনা মুখে। বিরোধী দলের কর্মসূচিকে পণ্ড করে দেওয়ায় দেশবাসী এখন সরকারকেই দোষারোপ করছে। বিরোধী দল যেখানে হরতাল অবরোধ করে সেখানে সরকার নিজেই অবরোধ করে। এতে সাধারণ মানুষ সরকারের এই কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ। সরকারের এমন কর্মকাণ্ডে আন্দোলন অনেকটা সফল হয়েছে বলে মনে করছে বিরোধী দল। খালেদা জিয়াকে সরকার তার কর্মসূচিতে যেতে না দেওয়ায় সুযোগটাকে খুব ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে অভিযাত্রা কর্মসূচি বাড়িয়ে দিয়ে সরকারকে ফাঁদে ফেলা হয়েছে। এখন সরকার নিজেই নিজেকে অবরুদ্ধ করে ফেলেছে বলে মনে করছেন বিরোধী দলের নীতি নির্ধারকরা। বিশ্লেষকদের মতে সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে বিরোধী দল যদি বাধার মুখে তাদের কর্মসূচি আবারও বাড়ায় তাহলে এখান থেকে বের হয়ে আসা সরকারের জন্য মুশকিল হয়ে পড়বে। যেমনটা বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সরকার যত বাধা দেবে তত আন্দোলন চলতে থাকবে, বাড়তে থাকবে। বিডিআরের সাবেক মহাপরিচালক জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, বিরোধীদলীয় নেতাকে সমাবেশে যেতে বাধা এবং সারাদেশ থেকে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করা সরকারের চরম অগণতান্ত্রিক আচরণ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে যেভাবে মানুষের ওপর নিপীড়ন চালানো হলো তার প্রতিক্রিয়া ব্যাপক হতে বাধ্য এবং এর ফলে সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরও শিথিল হবে। উৎসঃ প্রাইমনিউজ

২৯ ডিসেম্বর গণতন্ত্রের কালো দিবস হয়ে থাকবে: আমেনা মোহসিন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আমেনা মোহসিন বলেছেন, “একটি গণতান্ত্রিক দেশে বিরোধী দলীয় নেতাকে আটকে রেখে কর্মসূচি পালন করতে না দেয়াকে কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক আচরণ বলা যায় না। আজকে (২৯ ডিসেম্বর) যেটা ঘটে গেল সেটাকে আমরা গণতন্ত্রের জন্যে কালো দিবস হিসেবে মনে রাখবো।” রোববার বিকেলে রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে প্যানেল সদস্য হিসেবে উপস্তিত তিনি এসব কথা বলেন। সংলাপের এ পর্বে প্যানেল সদস্য হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এবং সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক প্রেমিডেন্ট ড. আসিফ ইব্রাহিম। আমেনা বলেন, “দেশ আজ এক দলীয় শাসনের দিকে চলে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল আজ লাঠি নিয়ে প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছে। রাজধানীর প্রবেশ পথ বন্ধ করে দিয়েছে। এটা গণতান্ত্রিক আচরণ নয়।” ড. আসিফ ইব্রাহিম বলেন, “একটি সুষ্ট গণতন্ত্রে সবাইকে কথা বলা ও কর্মসূচি পালন করতে দেয়া উচিত। কিন্তু আজ হলা তা গণতন্ত্রের কালো দিবস বলবো না। এটা গণতন্ত্রকে ব্যাক স্টেপে নিয়ে যাবে।” তিনি বলেন, “দু দলের অসুস্থ রাজনীতি আমাদের দেশেকে দেশের অর্থনীতিকে ব্যাক গিয়ারে নিয়ে যাচ্ছে। যখন সারা বিশ্ব বলেছে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৩০ টি অর্থনৈতিক শক্তিশালি দেশের মধ্যে থাকবে।” নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, “সরকার এক দলীয় শাসন ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা আমাদের নেত্রীর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না। সরকার আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার পালনে বাধাঁ দিচ্ছে।” বিবিসি বাংলা এবং বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন আকবর হোসেন এবং প্রযোজনা করেন ওয়ালিউর রহমান মিরাজ। উৎসঃ নতুন বার্তা

প্রধানমন্ত্রীর অফিস, ইসি, পুলিশ ও র‌্যাবের ওয়েবসাইট হ্যাকড


‘মার্চ ফর ডেমক্রেসি’ এর পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অফিস ও নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে আন্তর্জাতিক হ্যাকারদের সংগঠন অ্যাননিমাস। সোমবার রাতে এক টুইট বার্তায় এই ঘোষণা দেয় মিশরভিত্তিক এই সংগঠনটি।
বার্তায়, বাংলাদেশ সরকারকে ‘স্বৈরাচার’ উল্লেখ করে সকল সরকারি ওয়েবে হামলার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
টুইটবার্তাটি দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর অফিসের ওয়েব ঠিকানা ভিজিট করে এই বার্তার সত্যতা নিশ্চত হওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রীর অফিসের ওয়েবসাইট (http://pmo.gov.bd) খুললে ‘সাইটিট মেইনেটেনন্স এর জন্য ডাউন’ করে রাখা হয়েছে উল্লেখ করে ‘কিছুক্ষণ পর তা আবার চেক করার’ পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এইকইভাবে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট (http://www.ecs.gov.bd/) ভিজিট করলে সেখানে ‘You don't have permission to access / on this server’ বার্তা দেখাচ্ছে।
তবে টুইটবার্তায় হ্যাক কারার কথা উল্লেখ করা হলেও রাত সোয়া ১১টার পর বাংলাদেশ পুলিশ এর ওয়েব সাইট (http://www.police.gov.bd/) এবং র্যা ব (http://www.rab.gov.bd/) এর ওয়েবসাইট সচল দেখা গেছে। 
এদিকে হ্যাকারদের বুলেটিন নিউজ.সফটপেডিয়া-য় বলা হয়েছে, ‘Hackers of the Anonymous movement have resumed the anti-government campaign dubbed Operation Bangladesh (OpBangladesh). Over the past hours, they’ve targeted at least three government websites.
The hacktivists have launched distributed denial-of-service (DDOS) attacks against the websites of the Prime Minister’s Office (pmo.gov.bd), the Election Commission Bangladesh (ecs.gov.bd), and the country’s government portal (Bangladesh.gov.bd).
At the time of writing, the website of the Election Commission appears to be working properly. However, the government portal and the prime minister’s website are still inaccessible.
The list of OpBangladesh targets includes all government websites, but also some local blogs and news sites. The initiators of the campaign are providing supporters with a web-based DDOS tool which they can use to launch attacks.
While hacktivists are protesting in cyberspace, Bangladesh opposition supporters are preparing for mass marches in protest against the controversial upcoming elections.’

নতুনবার্তা

নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে নিহত হলে ৫ লাখ, আহত হলে ২ লাখ

নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার জন্য কোন মানুষই রাজি হচ্ছেনা । বিপাকে নির্বাচন কমিশন । তাই ঘোষনা করল--
নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে নিহত হলে ৫ লাখ, আহত হলে ২ লাখ
আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে কোনো সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী দুর্ঘটনা বা অন্য কোনো কারণে নিহত হলে তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে নগদ পাঁচ লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা দেয়া হবে। আর যারা আহত হবেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে নগদ দুই লাখ টাকাসহ চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে।
সোমবার নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ফাহমিদা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর গুলিতে ইউপি চেয়ারম্যান নিহত


নিহত চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম
সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর গুলিতে সদর উপজেলার আঁগরদাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম নিহত হয়েছেন। সোমবার বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে সদর উপজেলার শিকড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান জানান, সোমবার বেলা পৌনে একটার দিকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিকড়ি এলাকায় অভিযানে বের হন। সেখানে পৌছালে পাশ্ববর্তী কুল বাগান থেকে দূর্বত্তরা যৌথবাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল গুলি, ককটেল নিক্ষেপ করে। 

এ সময় যৌথবাহিনীর সদস্যরা পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে আনারুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্বক আহত হন। পরে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। 
নিহত চেয়ারম্যান আনারুল ইসলামের ভাই আব্দুল গফ্ফার জানান, সোমবার সকাল ৯টার দিকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে কয়েকজন লোক তার বাড়ি থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলনা। যৌথ বাহিনীর গুলিতে তার ভাই নিহত হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি। 
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইনামুল হক চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চত করে বলেন, এ ঘটনায় সেখানে যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে ২৫ রাউন্ড গুলি বর্ষন করা হয়েছে। 
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহিদুজ্জামান ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।

মার্চ ফর ডেমোক্রেসিতে বাধা : শিশুদের নাস্তা ও টাকার লোভ দেখিয়ে মিছিলে এনেছে যুবলীগ


বিরোধী দলের মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচি রুখতে যাত্রাবাড়িতে লাঠি মিছিল করেছে থানা যুবলীগ। নাস্তা ও বিশ টাকার লোভ দেখিয়ে মিছিলে শিশুদেরও আনা হয়েছে। যাত্রাবাড়ি চৌরাস্তা বন্ধ করে যুব সমাবেশ ও গণসংগীতের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ। যাত্রাবাড়ি, ডেমরা, শ্যামপুর, কদমতলী ও গেন্ডারিয়া থানা যুবলীগ কর্মীদের নিয়ে এ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট। রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করায় বিপাকে পড়েন পথচারীরা। গতকাল সকাল পৌনে ১১টার দিকে এ সমাবেশে আসা যুবলীগের কর্মীদের সবার হাতেই লাঠি দেখা গেছে। সঙ্গে যোগ দিয়েছে শিশুরাও। তাদের হাতেও লাঠি তুলে দেয়া হয়েছে। মিছিলে আসা নাঈম জানায়, ‘বড় ভাইয়েরা’ তাকে নাস্তা খাওয়াবে বলে মিছিলে নিয়ে এসেছে। মিছিলে আসা আরেক শিশু নাজমুল জানায়, মিছিলে এলে ২০ টাকা দেয়া হবে এমন প্রতিশ্রুতিতে সে মিছিলে আসতে রাজি হয়।
তবে যাত্রাবাড়ির যুবলীগ কর্মী ফয়সাল নাস্তা ও টাকার লোভ দেখিয়ে শিশুদের মিছিলে আনার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘তাদের আমরা নিয়ে আসিনি। বরং তারাই নিজের ইচ্ছায় এসেছে।’ অপরদিকে সমাবেশকে ঘিরে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। পথচারী আনজাবিন রহমান বলেন, ‘এই দেশে বিরোধী দল যেমন জ্বালাচ্ছে তার চেয়ে বেশি জ্বালাচ্ছে সরকারি দলের কর্মীরা। সরকার নিজের কর্মীদের সমাবেশ করতে দেয় আর বিরোধী দলকে বাধা দেয়।’ তামিম নামের এক যুবক বলেন, ‘আমরা ঘরেও থাকতে পারছি না, রাস্তায়ও বেরুতে পারছি না, কী করব?’এ ব্যাপারে যাত্রাবাড়ি চৌরাস্তায় দায়িত্ব পালনকারী একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কী করার আছে। ওপরের নির্দেশ তাদের সমাবেশ করতে দিতে হবে।’

সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৩

৫ জানুয়ারির পর খালেদাকে পাকিস্তান পাঠিয়ে দেয়া হবে : শেখ সেলিম


৫ জানুয়ারির পর বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে পাকিস্তান পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আ’ লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম। সোমবার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর দীননাথ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ সেলিম বলেছেন, গোপালগঞ্জের নাম তিনি কখনো মুছতে পারবেন না। তিনি পাকিস্তানিদের ভাষায় কথা বলেন। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর খালেদা জিয়াকে পাকিস্তান পাঠিয়ে দেয়া হবে। সেলিম বলেন, খালেদা জিয়া ভণ্ডামি শুরু করেছেন। ভণ্ডামির একটা সীমা আছে। স্বামী মার্শাল ল দিয়ে দেশ শাসন করে গেছেন। আর তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য লংমার্চ করেন।
গোপালগঞ্জবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আজ থেকে গোপালগঞ্জে খালেদা জিয়া ও বিএনপির রাজনীতি অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হল। আমি বেঁচে থাকি বা না থাকি আপনারা কোনোদিনও খালেদাকে গোপালগঞ্জে প্রবেশ করতে দেবেন না। 

প্রেসক্লাব ও আদালতে পুলিশের ভূমিকা যৌক্তিক ছিল : বেনজির আহমেদ

পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেছেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবে ও আদালত পাড়ায় কিছু অসাংবাদিক ও অ-অ্যাডভোকেট অবস্থান নেয়ায় সেখানে পুলিশের বাধা যৌক্তিক ছিল। তবে কেন কিভাবে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা প্রেসক্লাব ও আদালত চত্বরে পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশ করতে পারলো সে সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সংগে বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসনের সাক্ষাত

বাংলাদেশে নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন আজ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সংগে দেখা করেছেন। বিকেল ৫টা ২৫ মিনিট হতে সন্ধা ৬টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত চলা এই বৈঠকে দেশের চলমান রাজনৈতিক অবস্থা প্রধান্য পায়।

ফরিদপুর থেকে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় অংশগ্রহণ করা বিএনপির নেতা-কর্মীরা

ফরিদপুর থেকে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় অংশগ্রহণ করা বিএনপির নেতা-কর্মীরা
ফরিদপুর থেকে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় অংশগ্রহণ করা বিএনপির নেতা-কর্মীরা

গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় প্রথম শহীদ চাঁদপুরের মানছুর

‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রায়’ প্রথম শহীদ মানছুর
বি এম হান্নান, চাঁদপুর : দেশ বাঁচাতে, মানুষ বাঁচাতে ভোটাধিকার রক্ষায় গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রায়’ প্রথম শহীদ হয়েছে চাঁদপুরের মানছুর প্রধানিয়া। পুলিশের গুলিতে নিহত মানছুর প্রধানিয়া চাঁদপুর সদর উপজেলার নুরুল্লাপুরের মৃত আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ গণতন্ত্রের অভিযাত্রা সফল করতে গেলে পুলিশের গুলিতে সে নির্মমভাবে প্রাণ হারায়। তার মৃত্যুর সংবাদ চাঁদপুরে আসলে পুরো এলাকায় শোকের মাতম ছড়িয়ে পড়ে। নিহত মানছুরের পিতা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ‘৭১ সালে সশস্র পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে আবদুর রাজ্জাক প্রাণ হারাননি। দিয়ে গেছেন স্বাধীন দেশ। সে দেশেই তার নিরস্ত্র সন্তান নিরাপত্তা পায়নি পুলিশের কাছে। রক্ষক হয়ে ভক্ষকের দায়িত্ব পালন করলেন রাজ্জাকের স্বাধীন করা দেশের পুলিশ। প্রকাশ্য নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করল তার ছেলে মানছুরকে। মানছুরের অপরাধ ছিল সে গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে শরিক হয়ে ছিল। যে গণতন্ত্র কেড়ে নিয়েছিল পাকিস্তানিরা। আজ যখন স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিপন্ন। কেড়ে নেয়া হচ্ছে ভোটের অধিকার, তেমনি সময়েই ঘরে বসে থাকতে পারেননি বনানী বেসরকারি সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের আইন বিভাগের মেধাবি ছাত্র মাছুর প্রধানিয়া। আজ সে তার পিতার স্বাধীন করা দেশে লাশ হয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীরা তাৎক্ষণিক জানিয়েছিল মানছুর ছিল ছাত্র শিবিরের সাথী। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে সে ছিল অত্যন্ত বিনয়ী। গতকাল ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মানছুর ছিল হাস্যোজ্জল। ঢাকার মালিবাগের রেলক্রসে পুলিশের গুলির পর এখন শুধুই স্মৃতি। তার রাজপথের মৃত্যু এখন জানান দিচ্ছে গণতন্ত্রিকামী জনতা এগিয়ে আসো। পৃথিবীতে কোন রক্তই বৃথা যায় না। শীঘ্রই ফিরে আসবে তার পিতার যুদ্ধ করা স্বাধীন দেশের গণতন্ত্র। যার জন্য ‘৭১ সালে ৩০ লাখ মানুষ হাসিমুখে জীবন দিয়েছিল। উল্লেখ্য, চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের নুরুল্লাপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত আবদুর রাজ্জাকের ৪ ছেলে ৩ মেয়ের মধ্যে ৬ষ্ঠ ছিল মানছুর প্রধানিয়া। রোববার ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় মানছুর। তার মৃত্যুতে এখন শোকে পাথর হয়ে পড়েছে তার পরিবারের সদস্যসহ পুরো এলাকাবাসী। তাদের সকলের দাবি আর চাই না রক্ত, চাই শান্তি। সে চাঁদপুর শহরের ব্যাংক কলোনী আবাসিক এলাকায় বড় ভগ্নিপতি রফিকুল ইসলাম ভুট্টোর বাসায় থাকতেন। বিষ্ণুদী ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও আলিম পাস করে। সে এ বছর ঢাকা সিটি ইউনির্ভাসিটিতে এলএলবি ১ম বর্ষে ভর্তি হয়। বড় ভাই ফয়েজ আহমদ প্রবাসে চাকরি করেন। দ্বিতীয় ভাই মানজুর আহমদ ঢাকায় ব্যবসা করেন। ৪র্থ ভাই মারুফ আহমদ ঢাকায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছেন। ৩ বোন সকলে বিবাহিতা। নিহত মানছুর ছাত্রজীবনে চাঁদপুরে লেখাপড়া করার সময় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথে জড়িত হয়। মুত্যুর আগ পর্যন্ত হাফেজ মনসুর আহমদ ঢাকা বিমান বন্দর থানার একটি ওয়ার্ডের ছাত্রশিবিরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধে গৌরবগাথা অবদান রাখা সেই পুলিশের এ কোন চেহারা দেখছে দেশের মানুষ?

পুলিশ কি ভিনদেশি বাহিনী ’৭১-এ পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল ঢাকার রাজারবাগের পুলিশ। মুক্তিযুদ্ধে গৌরবগাথা অবদান রাখা সেই পুলিশের এ কোন চেহারা দেখছে দেশের মানুষ? জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ বাহিনী বিরোধী দলের আন্দোলন ঠেকাতে জনমনে ত্রাস সৃষ্টি করছে। জনগণের অর্থে পরিচালিত পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের কেউ কেউ জনগণের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে। শাসক দলের পাতানো নির্বাচন প্রতিহতের বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ঠেকিয়ে দিতে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে তারা। পুলিশের নৃশংস ভয়াবহতায় মানুষ আতঙ্কিত, সন্ত্রস্ত। এমনকি ৩ বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঔদ্ধ্যত্বপূর্ণ আচরণ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে গড়ে উঠা পুলিশ বাহিনীর এ অপেশাদারির ভূমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এ কোন পুলিশ দেখছে দেশের মানুষ? এ পুলিশ কি ভিনদেশি বাহিনী? সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাদের অনেকেই এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ বাহিনীর রণপ্রস্তুতি, দৌড়ঝাঁপ এবং রুদ্রমূর্তি দেখে মনে হয় দেশে যেন যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। ’৭১-এর ২৫ মার্চ এবং মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস পাকিস্তান সেনারা যেভাবে বাংলাদেশের দামাল ছেলেদের ঘায়েল করতে মুসলিম লীগ, জামায়াত ও নেজামে ইসলামের নেতাকর্মীদের সহায়তা করেছে। বর্তমান পুলিশের ভূমিকাও যেন তেমন। পুলিশের সামনে সুপ্রিম কোর্টে বিক্ষোভকারী আইনজীবীদের ওপর হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ছাত্রলীগ-যুবলীগের লাঠিয়ালরা পুলিশের সামনেই আদালতের ভেতর আইনজীবীদের ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ পুলিশ তাদের বাধা না দিয়ে সহযোগিতা করেছে। হামলার সময় রেহানা নামে এক আইনজীবীকে বিবস্ত্র করা হয়। জাতীয় প্রেসক্লাবে একই ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারের প্রার্থীবিহীন পাতানো নির্বাচন সফল করতে দেশকে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। মানুষ চায় সব দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত হোক সবার প্রত্যাশা সেটাই। ৫ কোটি মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে বর্তমান সরকার দিল্লির ইন্ধনে পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় আসতে চায়। জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের প্রভাবশালী শক্তিগুলো চায় স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এ প্রত্যাশা জানিয়ে তারা বিশ্বের দেশে দেশে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন। দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ চায় নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সবাই চায় গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। ২৮ ডিসেম্বরেও দেশের বিশিষ্টজন রেহমান সোবহান, ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাইয়িদ, সুলতানা কামাল, ড. আকবর আলি খান, ড. শাহদীন মালিক, মাহফুজ আনাম, ড. দেবপ্রিয় ভট্টচার্য, ড. হোসেন জিল্লুর রহমানসহ দুই শতাধিক ব্যক্তিত্ব ৫ জানুয়ারির পাতানো নির্বাচন বন্ধ করে সংলাপের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি করেছেন। তারা জানিয়েছেন সংবিধানের মধ্যে থেকেই এটা করা সম্ভব। কীভাবে এটা সম্ভব সে পথও দেখিয়ে দেন বিশিষ্টজনেরা। দেশের এই সিনিয়র নাগরিকদের মুখে দেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রত্যাশার প্রতিধ্বনি ঘটেছে। অথচ সরকার একগুঁয়েমির মাধ্যমে পাতানো নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছে। আর সরকারের এই গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকা-ের সহায়তা দিচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একজন বিশিষ্টজন বললেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার নামে পুলিশের যা খুশি তাই করা উচিত নয়। যাকে তাকে গুলি করাও নয়। জনগণের নিরাপত্তার নামে নাগরিকদের আতঙ্কের মধ্যে ফেলে গোটা দেশের ভীতির সৃষ্টি করা নয়। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস যেমন বাংলাদেশ ভূখ-ের মানুষ পাকিস্তান বর্বর বাহিনীর ভয়ে রাতে ঘুমাতে পারতেন না। রাতে যখন তখন পাকিস্তান বাহিনী দেশের বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষকে গভীর রাতে ধরে নিয়ে যেত চোখ বেঁধে। পাকিস্তানি শাসকের নির্দেশে যৌথবাহিনী সে সময় রাতে গণগ্রেফতার করতো। এ যৌথ বাহিনীর সঙ্গে থাকতো সরকার সমর্থিত রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। ঠিক তেমনি ঘটনা এখন ঘটছে অহরহ। ইউনিয়ন, জেলা উপজেলা, বিভাগ ও রাজধানীতে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের করা তালিকা নিয়ে ওইসব সংগঠনের নেতাদের নিয়ে যৌথবাহিনী গ্রেফতার চালাচ্ছে। যৌথ বাহিনীর গ্রেফতারের ভয়ে ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরাই শুধু নয়; দেশের মানুষও আতঙ্কিত। রাতে পুলিশের গ্রেফতারের ভয়ে নিজ ঘরে ঘুমাতে পারেন না; আবার বাইরে বের হলেও হয়রানি ও তল্লাশির ভয়ে তটস্থ থাকেন। বিরোধী দলের ‘পাতানো নির্বাচন ঠেকাও’ আন্দোলন শুরু হওয়ার পর সেই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যুদ্ধ নেই বিগ্রহ নেই তারপরও ভোটের অধিকারের দাবিতে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ঠেকাতে পথে পথে ব্যাংকার বানিয়ে জনগণের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করা হচ্ছে। গতকালও ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’তে যাতে মানুষ অংশগ্রহণ করতে না পারে সে জন্য রাজধানীর রাজপথের পাশাপাশি মহল্লায় মহল্লায় টহল দিয়ে ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মী ও জনমনে ভীতি সৃষ্টি করা হয়। নাগরিকের নিরাপত্তা দেয়ার অর্থ কী জনমনে ভীতি সৃষ্টি করা? রাজধানীবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের অর্থ কি সারাদেশ থেকে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা? বাস, লঞ্চ, ট্রেন বন্ধ করে দেয়া কি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার সজ্ঞায় পড়ে? গত কয়েকদিনে সারাদেশে গণহারে হাজার হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় শতাধিক মানুষ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। সহিংসতা, অগ্নিদগ্ধ হয়েও মারা গেছে অনেক রাজনৈতিক কর্মী ও নিরীহ মানুষ। বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া যাতে নয়াপল্টনে যেতে না পারেন সে জন্য তার গুলশানের বাসায় শত শত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বালুর ট্রাক রেখে সেখানে প্রতিরোধব্যূহ গড়ে তোলা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্যদের আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, পুলিশ আমার সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করতে পারে না। আজকে তো এমন অনেক চেহারা দেখা যায়, যাদের চেনা যায় না যে তারা আসলেই বাংলাদেশি কি না। বাংলাদেশের আজকের যে কর্মসূচি ছিল, আপনারা যদি আসলেই দেশকে ভালোবাসতেন, তাহলে আজকে ছিল আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং.. এবং ডেমোক্রেসি ফর রোড মার্চ। গণতন্ত্রও চাবেন না, দেশ রক্ষা করতেও চাবেন না। গোলামি করবেন? দালালি করবেন? এই গোলামি তো রাখবে না। লেন্দুপ দর্জির (সিকিমের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী) ইতিহাসটা পড়ে দেখেন। সেও কিন্তু টেকে নাই বেশি দিন। তাকেও বিদায় দিয়েছে। দালালি করে দেশ বিক্রি করে। কাজেই এই দেশ বিক্রি চলবে না হাসিনার। আর হাসিনার দালালি করে লাভ হবে না। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে থাকেন। জনগণের সঙ্গে থাকেন। দেশের মানুষের সঙ্গে থাকেন। তবেই কাজ দেবে। দেশ বাঁচবে, মানুষ বাঁচবে। আজকে সবার দায়িত্ব হয়ে গেছে দেশ বাঁচানো, মানুষ বাঁচানো। আর আপনারা ঘরে ঘরে ঢুকে মানুষ হত্যা করছেন। মনে করে যে এগুলোর হিসাব নেই। এই মা-বোনের কান্না, এই আলেম এতিমের কান্না, এই বিডিআরের অফিসারদের স্ত্রী-সন্তানদের কান্না এগুলো কি বৃথা যাবে? এগুলো কোনো দিনও বৃথা যাবে না। এখানে যাদের দেখছি তাদের অনেকের চেহারা অপরিচিত। পুলিশ প্রশাসনে কর্মরত দলবাজ কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি আরো কিছু কথা বলেছেন। প্রশ্ন হলো সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর এ কেমন আচরণ? মুক্তিযুদ্ধে গৌরবময় ভূমিকা রাখা পুলিশের এ ভূমিকা কেন? বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীতে অনেক যোগ্য ও মেধাবী কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা বিভিন্ন সময় সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং জনগণের পাশে থেকে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। দেশের মানুষ পুলিশ প্রশাসনে কর্মরত দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সে ভূমিকাই প্রত্যাশা করে। সরকারের মন্ত্রীদের ন্যায়-অন্যায় আদেশ নির্দেশ পালনের নামে ভিনদেশি বাহিনীর আচরণ না করে এদেশের মাটি ও মানুষের সন্তান হিসেবে পুলিশ প্রশাসন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে এটাই সবার প্রত্যাশা। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট নিয়ে রচিত রাজারবাগ ’৭১ নামে একটি নাটক রয়েছে। সে নাটকে দেখানো হয় ১৯৭১ সালের ২৫ মে মার্চ ভয়াল রাতে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী অতর্কিত বাংলার নিরস্ত্র জনতার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তারা নির্বিচারে হত্যা করে নারী, শিশু, পথচারীসহ হাজার হাজার নিরীহ মানুষ, জ্বালিয়ে- পুড়িয়ে দেয় বাড়িঘর, দোকানপাট। তাদের ঐ পৈশাচিকতার প্রথম টার্গেট ছিল রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স। ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত শক্তিশালী পাক সামরিক বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্যের সামনে পিছু না হটে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের বীর পুলিশ সদস্যরা পুরনো থ্রি নট থ্রি রাইফেল দিয়ে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সম্মুখ যুদ্ধে। সূচনা হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধের ইতিহাস। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পুলিশ দেশের স্বাধীনতা অর্জনে যে ভূমিকা রেখেছে; সেভাবেই পুলিশ বাহিনী এখন দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষায় ভূমিকা রাখবেন সে প্রত্যাশা মানুষের। দেশের পুলিশ সদস্যদের ভিনদেশি আচরণ মানুষ দেখতে চায় না। উৎসঃ ইনকিলাব

মার্চ ফর ডেমোক্রেসীতে বাধা ও শিবির নেতা মনসুর হত্যার প্রতিবাদে সিলেট মহানগর শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

জুলুম-নিষ্পেশন চালিয়ে গণআন্দোলন বন্ধ করা যাবেনা --- সিলেট মহানগর শিবির

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগরীর নেতৃবৃন্দ বলেছেন-বর্তমান অবৈধ সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেশের মুক্তিকামী জনতার পেছনে লেলিয়ে দিয়েছে। হত্যা-গণগ্রেফতার করে গণতন্ত্রকে তারা গলাটিপে হত্যা করতে চাচ্ছে। মুক্তিকামী জনতা যখন ঢাকা অভিমুখে গণতন্ত্রের জন্য অভিযাত্রা করেছে তখন তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দলীয় গুন্ডাবাহিনীর ন্যায় রাস্তায় নামিয়ে রাজধানীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। গত রোববার 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি'র প্রথম দিনে রাজধানীর মালিবাগে বের হওয়া মিছিলে গুলি করে শিবির নেতা মনসুর আহমদকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অবিলম্বে পুলিশের বেশধারী এসকল খুনীদের আইনের আওতায় আনা না হলে ছাত্রজনতা তাদের বিচার করবে।

সোমবার মার্চ ফর ডেমোক্রেসীতে বাধা ও শিবির নেতা মনসুর হত্যার প্রতিবাদে সিলেট মহানগর শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে নেতৃবৃন্দ একথা বলেন। সেক্রেটারী আব্দুর রাজ্জাক ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুক আহমদ এর পরিচালনায় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কোতয়ালী পশ্চিম থানা শিবির সভাপতি ফয়জুল ইসলাম জায়গীরদার, দক্ষিন সুরমা পূর্ব থানা সভাপতি আমিনুল ইসলাম মাহমুদ, আলিয়া মাদ্রাসা সভাপতি মোজাম্মেল হক প্রমুখ।

শহীদ মনসুরের প্রতি ফোঁটা রক্তের বদলা নেয়া হবে : ছাত্রশিবির

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখার বিমানবন্দর থানার ৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি মনসুর আহমেদকে গতকাল রাজধানীর মালিবাগে শান্তিপূর্ণ মিছিল চলাকালে পুলিশ কর্তৃক গুলি করে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল এক বিবৃতিতি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল জব্বার বলেছেন, আওয়ামী জালিম সরকার গুলির মুখেই গণতন্ত্রের অভিযাত্রা ঠেকিয়ে দিতে চাইছে। গতকাল রোববার রাজধানীর মালিবাগে ছাত্রশিবিরের মিছিলে পুলিশ অন্যায়ভাবে হামলা চালিয়ে সংগঠনের নেতা মনসুর আহমেদকে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ড পরিষ্কার করে দেয় সরকার মানুষ খুন করেই যে কোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিঘ্ন ঘটিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। অতীতের সব স্বৈরাচারী সরকারই এই পথ অবলম্বন করেছে। তারাও পারেনি, আওয়ামী লীগও পারবে না। স্বৈরাচারী আচরণে নতুন মাত্রা যোগ করা আওয়ামী লীগকে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা কঠিন শিক্ষাই দেবে। তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারকে হুশিয়ার করে বলছি, গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে আর যদি কোনো নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়, তাহলে সরকারকে কঠিন জবাবদিহি করতে হবে। একের পর এক হত্যার পরও ছাত্র-জনতা ধৈর্য ধারণ করেছে। ছাত্রশিবির সবসময়ই ছাত্র-জনতাকে শান্ত রেখেছে। কিন্তু সরকার যদি অগণতান্ত্রিক আচরণ অব্যাহত রাখে, তাহলে ছাত্র-জনতা কড়া জবাব দিতে বাধ্য হবে। সময় থাকতে সাবধান না হলে সরকার সংশ্লিষ্ট কেউই পিঠ বাঁচানোর সুযোগ পাবে না। শহীদ মনসুরের প্রতি ফোঁটা রক্তের বদলা নেয়া হবে। শিবির সেক্রেটারি জেনারেল শহীদ মনসুর আহমেদের খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতার, শাস্তির আওতায় আনতে, গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দেয়া ও গুলিবর্ষণ থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এদিকে অপর একটি বিবৃতিতে সুপ্রিমকোর্ট ও জাতীয় প্রেস ক্লাবে আওয়ামী লীগের হামলার এবং হামলার সঙ্গে শিবিরকে জড়িয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়ন আশরাফুল ইসলামের বক্তব্যের তীব্র নিন্দ্রা ও প্রতিবাদ জানান।

‘গতকাল আশরাফ সাহেব স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন না, আওয়ামী লীগার হিসেবে আমিও লজ্জিত’ ... স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন

আ’ লীগ নেতা স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন
আ’ লীগ নেতা স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেছেন, গতকাল আমার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ সাহেব স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন না। উনি (আশরাফ) যে ধরনের কথা বলেছেন তাতে আ’ লীগার হিসেবে আমিও লজ্জিত।

আজ সন্ধ্যায় বেসরকারি টিভি চ্যানেল বাংলাভিশনের টকশো ফ্রন্টলাইনে তিনি এ কথা বলেন। সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর সঞ্চলনায় টকশোতে অন্য অতিথি ছিলেন নিউএজ সম্পাদক নুরুল কবির। স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, গতকাল সুপ্রিমকোর্টে যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে তার জন্য সরকার ও পুলিশ পুরোপুরি দায়ী।
তিনি আরো বলেন, আমি নিজে দেখেছি ১০০-১৫০ জন বিএনপি-জামায়াত সমর্থক আইনজীবীরা সুপ্রিমকোর্টে যখন মিছিল করছিল তখন পুলিশ গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। তিনি বলেন, একটু পর দেখলাম সরকার সমর্থক দুই যুবক এসে তালা খুললো, আর অন্যরা সব হুরমুর করে ভিতরে ঢুকে পড়ে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটালো।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, পুলিশের দেয়া তালার চাবি কীভাবে দুই যুবক পেল? অনুষ্ঠানে নিউএজ সম্পাদক নুরুল কবির আ’ লীগের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, আ’ লীগ মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও রাজাকারদের সাথে তাদেরই বেশি ঘনিষ্ট সম্পর্ক দেখা গেছে। তিনি আরো বলেন, এমনকি রাজাকারদের সাথে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক দেশবাসি দেখতে পেয়েছে। 

পুলিশের গুলিতে নিহত চাঁদপুরের শিশু সিয়াম পেয়েছে ৪.৬৩



গতকাল রোববার জেডিসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। এতে ‘এ’ গ্রেড (জিপিএ-৪.৬৩) পেয়েছে গত ৩ ডিসেম্বর চাঁদপুরে ১৮ দলের মিছিল চলাকালে পুলিশের ছোড়া গুলিতে নিহত মনোয়ার জাওয়াত সিয়াম।
৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা শেষে ১৮ দলের মিছিলে অংশ নেয় সিয়াম। এক পর্যায়ে মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের ছোড়া গুলিতে নিহত হয় সিয়াম। সিয়াম শহরের আল আমিন মডেল মাদরাসা থেকে জেডিসি (৮ম শ্রেণী) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। সে শিবিরের সমর্থক ছিলো বলে জানা যায়। ছেলের ফলাফল জানার পর আবার বিলাপ শুরু করেন মজিবুর রহমান সুমন মোস্তান ও ফারজানা আক্তার। স্বজনরাও বাকরুদ্ধ। শান্ত্বনার ভাষা সবারই অজানা।

বাবার বিলাপ, ‘সিয়াম দেখে যাও তোমার পরীক্ষার রেজাল্ট হয়েছে। তুমি ভাল ফলাফল করেছো। বড় আলেম হবে। আমরা তোমাকে ছাড়া কি করে বাচঁবো।' কোলের শিশু আবদুল্লাহকে নিয়ে মা ফারজানার মুখে শুধুই একটাই শব্দ ‘সিয়াম’, ‘সিয়াম’।
আল আমিন মডেল মাদরাসার অধ্যক্ষ আনম ফখরুল ইসলাম মাছুম বলেন, ‘সিয়াম শান্তশিষ্ট। মেধাবী ছিল। তার আচরণ মুগ্ধ করার মতো। ও বেঁচে থাকলে অনেক আনন্দ লাগতো ওর।’ 
‘আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।’ সিয়ামের সহপাঠী পারভেজ, ইব্রাহিম খলিল, জাকারিয়া, আব্দুল কাদের, ওমর ফারুক, মামুনুর রশিদসহ সবাই অশ্রুশিক্ত।  ......কাজি সাকিব......