ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৩

বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শনে পেশাজীবীরা : বর্বরতা চালিয়েছে পুলিশ - খন্দকার মাহবুব : ‘এই অভিযান গণতন্ত্রের ওপর পদাঘাত’


বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে বর্বর তাণ্ডব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে বার কাউন্সিলের সহ-সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, একাত্তরের চেয়েও বেশি বর্বরতা চালিয়েছে ডিবি পুলিশ। প্রধান বিরোধী দলের কার্যালয়ে ঢুকে বিরোধী দলীয় নেতার রুম ও চেয়ার ভাংচুর করা হয়েছে। এই বর্বরতা গণতন্ত্রের ওপর পদাঘাত। ভোর রাতে চোরের মতো তারা রাজনৈতিক দলের অফিসে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
লণ্ডভণ্ড বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শনে পেশাজীবীরা
গতকাল দুপুরে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধি দল নয়াপল্টনে বিবিএনপি কার্যালয়ে তল্লাশির নামে ভাংচুরের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমরা লজ্জিত। একটি গণতান্ত্রিক দেশের প্রধান বিরোধী দলের কার্যালয়ে প্রবেশ করে দলের প্রধানের চেয়ার ও মহাসচিবের রুম তছনছের ঘটনা গণতন্ত্রের প্রতি পদাঘাত। কোনো বর্বর সমাজে এটা সম্ভব নয়। খন্দকার মাহবুব অভিযোগ করেন, বিরোধী দলের আন্দোলন বিতর্কিত করতে সরকার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে গাড়ি ভাংচুর এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। আজকে যারা ক্ষমতায় আছে তাদের এ ধরনের ঘটনার ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও হুশিয়ারি দেন এই আইনজীবী নেতা। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ইঙ্গিত করে মাহবুব বলেন, একটি মাত্র লোক তার ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশে বর্তমান অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তার একটি মাত্র টেলিফোনে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।
বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, আমরা সরেজমিনে দেখতে এসেছি। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এভাবে অনাচার হবে এটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সরকার একদিকে নির্বাচনের আহ্বান জানাচ্ছে অন্যদিকে হামলা মামলা করছে। এটা হতে পারে না। নয়াপল্টন কার্যালয়ে পুলিশি অভিযানের সময় কর্তব্যরত সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার নিন্দা জানান রুহুল আমিন গাজী।
তিনি আরও বলেন, এভাবে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি হামলা ও একটি বৃহত্ রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ভাংচুর ও তছনছের ঘটনা প্রমাণ করে এ সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তারা আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ রেখেছে। সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে বিনা বিচারে আটক রেখেছে। এটা একটি ফ্যাসিবাদী সরকার। তিনি বলেন, এই অফিসে ভাংচুরের মাত্রা দেখে মনে হয়েছে, পুলিশ এখানে এসে মাস্তানি করেছে। পেশাজীবী ও সাংবাদিকদের বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকতে বাধা দেয়ার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি রিজভী ও বেলালের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন এ সাংবাদিক নেতা।
এদিকে বেলা ১২টা ৫০ মিনিটে এই প্রতিনিধি দলটি বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে প্রধান ফটকের সামনে গেলে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা প্রথমে তাদের ঢুকতে বাধা দেয়। কিছুক্ষণ বাদানুবাদের পর পুলিশ কলাপসিবল গেটটি খুলে দিলে সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে ঢোকেন পেশাজীবী প্রতিনিধি দল। এ সময় পেশাজীবী প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেনকে আটক করে পুলিশ।
দ্বিতীয় তলায় বারান্দার দিয়ে ভাঙা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে খন্দকার মাহবুবসহ প্রতিনিধি দল বিএনপি কার্যালয়ের কর্মীদের কাছ থেকে ভোর রাতের পুলিশি তাণ্ডবের বিবরণ শোনেন। জানানো হয়, মই ও রশি বেয়ে দোতলায় উঠে দরজা ভেঙে পুলিশ সদস্যরা কার্যালয়ে ঢোকে। তারপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় বিভিন্ন কক্ষ ভাংচুর করে। এরপর রুহুল কবির রিজভী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বেলাল আহমদকে আটক করে নিয়ে যায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন