সাজানো সাক্ষীর অসমর্থিত সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আব্দুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল কাদের মোল্লার স্ত্রীর পক্ষে তার বড় ছেলে হাসান জামিল লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিগত ৪০ বছরে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের
একটি অভিযোগও কোথাও উত্থাপিত হয়নি। কোনো মামলা হয়নি। কথিত মোমেনা বেগমের
অনির্ভরযোগ্য, অসমর্থিত সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তাকে ভয়ঙ্কর খুনি হিসেবে
চিহ্নিত করা হয়েছে। অথচ সেই মোমেনা বেগমও আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেননি।
ক্যামেরা ট্রায়ালের নামে গোপন বিচারে ভুয়া একজন মহিলাকে মোমেনা সাজিয়ে
আদালতে বক্তব্য দেয়ানো হয়েছে। কিন্তু জল্লাদখানায় সংরক্ষিত প্রকৃত মোমেনা
বেগমের ছবি দেখে আইনজীবীরা নিশ্চিত করেছেন, আদালতে সাক্ষ্য দেয়া মোমেনা
বেগম প্রকৃত মোমেনা বেগম ছিলেন না। প্রকৃত মোমেনা বেগমের ছবি আমাদের কাছে
আছে।
বক্তব্যে আরও বলা হয়, মোমেনা বেগম তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে দেয়া তার প্রথম জবানবন্দিতে কাদের মোল্লার নাম বলেননি। বিবিসিতে দেয়া এক সাক্ষাৎকারেও তিনি কাদের মোল্লার নাম বলেননি। সাজানো মোমেনা বেগম তিন জায়গায় তিন রকমের সাক্ষ্য দিয়েছেন। আর এ সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
কাদের মোল্লার পরিবারের দাবি, রায় পুনর্বিবেচনা করার সাংবিধানিক সুযোগ দিলে কাদের মোল্লা মুক্তি পাবেন। একই সঙ্গে মানবাধিকার সংস্থা ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে এ ভয়াবহ সাক্ষ্য জালিয়াতির বিষয়ে তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করার দাবি জানান তারা।
বক্তব্যে আরও বলা হয়, মোমেনা বেগম তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে দেয়া তার প্রথম জবানবন্দিতে কাদের মোল্লার নাম বলেননি। বিবিসিতে দেয়া এক সাক্ষাৎকারেও তিনি কাদের মোল্লার নাম বলেননি। সাজানো মোমেনা বেগম তিন জায়গায় তিন রকমের সাক্ষ্য দিয়েছেন। আর এ সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
কাদের মোল্লার পরিবারের দাবি, রায় পুনর্বিবেচনা করার সাংবিধানিক সুযোগ দিলে কাদের মোল্লা মুক্তি পাবেন। একই সঙ্গে মানবাধিকার সংস্থা ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে এ ভয়াবহ সাক্ষ্য জালিয়াতির বিষয়ে তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করার দাবি জানান তারা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন