ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৩

মোল্লার ফাঁসির রায়: ন্যায় বিচার নিয়ে শঙ্কা !! তড়িঘড়ি রায় কার্যকর নয়: জাতিসংঘ মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

মোল্লার ফাঁসির রায়: ন্যায় বিচার নিয়ে শঙ্কা
তড়িঘড়ি রায় কার্যকর নয়: জাতিসংঘ মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
জাতিসংঘের দুজন স্বাধীন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ গ্যাব্রেলা নাউল এবং খ্রিস্টফ হেইন বাংলাদেশ সরকারকে কাদের মোল্লার ফাসিঁর রায় তড়িঘড়ি করে কার্যকর না করার পরামর্শ দিয়েছেন।
কাদের মোল্লা ন্যায় বিচার পাননি এমন শঙ্কার মধ্যেই আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে তার ফাসিঁ হতে পারে-এমন খবরেও উদ্বেগ জানান এই দুই বিশেষজ্ঞ। বাংলাদেশ সময় সোমবার রাতে জাতিসংঘের ওয়েব সাইটে দুই বিশেষজ্ঞের এই উদ্বেগের তথ্য তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
দুই মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। এই আদালত সম্পর্কে তাদের বক্তব্য হলো-এটি একটি বিশেষ দেশীয় আদালত, যা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংগঠিত গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত হয়েছে।
তারা বলেন, কাদের মোল্লাকে দেয়া ট্রাইব্যুনালের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউসনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেয়-যে রায়ের বিরুদ্ধে আর আবেদন করা যাবে না মর্মে বলা হচ্ছে।
কিন্তু মৃত্যুদণ্ডের মামলার ক্ষেত্রে আপিল করার অধিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান-এমন মন্তব্য করে মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ গ্যাব্রেলা নাউল বলেন, কোন অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রত্যেক ব্যাক্তির উচ্চতর আদালতে তার অভিযোগ পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করার অধিকার রয়েছে।
নাউল বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সিভিল ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত নীতিমালা অনুমোদনকারী একটি দেশ। এই হিসেবে বিচারিক আদালতের দেয়া শাস্তি বাড়িয়ে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়ার এমন রায় পুনর্বিবেচনা বা রিভিউ না করার বিধান করে বাংলাদেশ ওই আন্তর্জাতিক নীতিমালা লঙ্ঘন করছে।
জাতিসংঘের অপর মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ খ্রিস্টফ হেইন আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকরে তড়িঘড়িতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বিবাদীকে ন্যায় বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যেসব দেশ মৃত্যুদণ্ডের বিধান এখনো রহিত করেনি, সে সব দেশে ন্যায় বিচারের সব মানদণ্ড পুরোপুরি অক্ষুণ্ন রেখে সব পক্ষকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সব সুযোগ দিয়েই সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ডের বিধান কার্যকর করা হয়।
একটি দেশের সরকার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার লঙ্ঘন করে কোন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলে তা স্বেচ্ছাচারমূলক হত্যাকাণ্ডের শামিল- এমন মন্তব্য করে হেইন আরো বলেন, শুধুমাত্র যথাযথ বিধানের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা থাকলেই কেবল আন্তর্জাতিক আইন মেনে স্বচ্ছভাবে সর্বোচ্চ শাস্তির নিশ্চয়তা বিধান করা সম্ভব। অন্যথায় মানবাধিকারের মানদণ্ডে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
তিনি বাংলাদেশ সরকারকে সতর্ক করে বলেন, যে পরিস্থিতিতে কাদের মোল্লার ফাসিঁর রায় কার্যকরের চেষ্টা চলছে তা বাংলাদেশকে আরো অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যে সংঘাতময় পরিস্থিতি বাংলাদেশে বিরাজ করেছে তা আরো ভয়াবহ রুপ নিতে পারে।  দুই বিশেষজ্ঞ দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে আহবান জানিয়ে ন্যায় বিচারের প্রতি সব পক্ষকে শ্রদ্ধাশীল হতে অনুরোধ করেন।
এই দুই মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ জেনেভাভিত্তিক জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে নিয়োগপ্রাপ্ত। তারা বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনাপূর্বক তা জাতিসংঘকে অবহিত করেন। তারা কেউ জাতিসংঘের স্টাফ নন, তাদের এই অবস্থান অনারারি বা সম্মানজনক। তারা তাদের এই সেবার জন্য জাতিসংঘের কাছ থেকে কোন বেতন পাননা বা কেউ তাদের এই কাজের জন্য অর্থও প্রদান করেন না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন