ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৩

অপবাদ এক মহাপাপাচার যা আওয়ামীলীগ জামায়াতের নেতাদেরবিরুদ্ধে অহরহ করে যাচ্ছে

অপবাদ গিবাতের চেয়ে অনেক বড় ও মহাপাপ কাজ।

গিবাত হচ্ছে, কোন ব্যক্তির কোন ত্রুটির কথা অবগত হয়ে তা উক্তব্যক্তিকে সেই বিষয়ে সংশোধন না করে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ না করে অন্য লোকের নিকট বলাবলি করা এই কাজটিকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন অত্যান্ত কঠোর ভাবে নিন্দা করেছেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুমিনদেরকে তা থেকে বেঁচে থাকার আহবান করেছেন।
কোন ভাইয়ের কোন ভাই মারা গেলে তারা সেই ব্যক্তি যদি তাঁর মৃত ভাইয়ের গোস্ত দাঁত দিয়ে কামড়িয়ে খেতে থাকে তা যেমন ঘৃণ্য ও নিন্দনীয় কাজ তেমনি ভাবে কারও গিবাত করাও নিন্দনীয় মার্জনীয়।
গিবাতেঁর পাপের ভয়বহতা বর্ণনা করতে গিয়ে রাসুল সাঃ বলেছেন গিবাত জেনার চাইতেও জঘন্য। এই জন্যে পাপ কাজ থেকে আত্মরক্ষা করে ব্যক্তির ত্রুটি কেবল তাকেই দেখিয়ে দেবে এবং সচেতন করে তুলবে এমনি কাজে রাসুল সাঃ উৎসাহিত করেছেন। অর্থাৎ ব্যক্তিকে তাঁর ত্রুটিকে শুধরিয়ে দেওয়া পুণ্যের কাজ।

অপবাধ

অপবাধ হচ্ছে কোন সৎ চরিত্রবান ও আদর্শবান ব্যক্তি সম্পর্কে এমন সব মিথ্যায় ভিত্তিহীন কথা বা ঘটনা রটানো যা ঐ ব্যক্তি দ্বারা সংগঠিত হয়নি। যে হেতু এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট কল্পনা প্রসূত হিংসার বশবর্তী হয়ে হীন মানুষত্ব বিবর্জিত কেউ করে তাই এই কাজকে গিবাতের চাইতেও জঘন্য অনেক বেশী পাপ।
হিংসা পরায়ণ লোকেরাই এই ধারণের জঘন্য পাপ কাজ করে থাকে। ইসলাম বিদ্বেষী শক্তি এই কাজ গুলী বেশী করে থাকে। ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এমন মহাপাপকাজ গুলী করে থাকে তাঁদের হীন উদ্দেশ্য হাসিলের হাতিয়ার হিসাবে। তারা অপবাদের দ্বারা ইসলামী ব্যক্তিত্ব, ইসলামী আন্দোলনের নেতা কর্মীদের চরিত্রহনন করেতাঁদেরকে জনসম্মুখে হেয় প্রতিপন্ন করাই তাঁদের একমাত্র উদ্দেশ্য ।
এভাবে প্রতিপক্ষ্যকে ঘায়েল করার অপচেষ্টার ভীতর দিয়ে সংকীর্ণ ও কুৎসিত চিহারাই ফুতে উঠে। প্রকাশ ঘটে একহীন মানসিকতারই প্রমাণ মিলে। উল্লেখ্য এমন সঙ্কীর্ণ মনা অসুস্থ্য মানসিকতা প্রকৃত পক্ষে দেশ জাতির কল্যাণ সাধন করতে পারে না সম্ভব নয়।
অপবাদ অপপ্রচার দ্বারা সাময়িক ভাবে কিছু হীনস্বার্থ হাসিল হতে পারে। কিন্তু শেষবধী তা বুমেরাং হয়ে যায় ইতিহাসে এমনি প্রমাণ মিলে।
এক পর্যায়ে জনগণ ঠিকই অপবাদ কারিদের আসল চিহারা চিনেফেলে। তখন জনগণের আদালতে তারা সর্বদা লাঞ্ছিত হয়, অপমানিত হয়।তারা নিন্দুক হিংসুক ও মিথ্যাবাদী হিসাবে কুখ্যাতি অর্জনকরে। আর সব শেষ তাঁদের জায়গা হয় ইতিহাসের আস্তা কুঁড়ে।পক্ষান্তরে যাদের বিরুদ্ধে অপবাদের ঢল বাজানো হয় ,জনগণ তাঁদের সততা ও সত্যনিষ্ঠা উপলদ্ধি করে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে উঠে।
এই নিরিখে বলা যায় যারা অপবাদ ছড়িয়ে পুলকিত হয় তাঁদের মূর্খপূর্ণ সান্তনা একদিন ঠিকই আফসচে পরিনত হয়।কারণ মন্দ পরিণতি তাঁদের জন্যে অপেক্ষমান।
আর যাদেরকে অপবাদ দেওয়া হয় হয় সেটা মানসিক যন্ত্রণার কারণ বটে কিন্তু বিচলিত হওয়া উচিত নয়। কারণ আল্লাহর ওয়াদা হচ্ছে মুমিনদের মানশিক সাররিক কোষ্ঠের জন্যে আল্লাহর কাছে রয়েছে বড় পুরুস্কার।
শাহীদ মোবারক

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন