ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৩

কাদের মোল্লাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ধৈর্য্য ও সহনশীলতার সাথে শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীরের

বিবৃতি তারিখঃ ১২-১২-২০১৩ ইং “বিচারের রায় কার্যকরের নামে সরকার জনাব আব্দুল কাদের মোল্লাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ধৈর্য্য ও সহনশীলতার সাথে শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর জনাব মকবুল আহমাদ আজ ১২ ডিসেম্বর নি¤েœাক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন ঃ- “সরকার সংবিধান, সুপ্রীমকোর্ট রুলস্ এবং জেলকোডের বিধান অবজ্ঞা করে জনাব আব্দুল কাদের মোল্লাকে সুপরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক হত্যাকা-ের উদ্দেশ্যে ১০ তারিখ রাত ১২.০১ মিনিট সময় নির্ধারণ করে। জনাব আব্দুল কাদের মোল্লার আইনজীবীগণ সরকারের বে-আইনী আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার জজের নিকট আবেদন করলে উক্ত আদেশ স্থগিত করা হয়। মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট দেশের সর্বোচ্চ আদালত। মৃত্যুদ-ের মত একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে রিভিউ পিটিশনের উপর পর্যাপ্ত সময় নিয়ে শুনানী স্বাভাবিক দাবী ছিল। সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রিভিউ পিটিশনের অধিকার জনাব আব্দুল কাদের মোল্লাকে দেয়া হয়েছে। এ পিটিশন দায়েরের জন্য আইন অনুযায়ী ৩০ দিন সময় পাওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই সরকার রায় কার্যকরের ঘোষণা দেয়, যা প্রকারান্তরে পরিকল্পিত হত্যারই নামান্তর। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের শুনানীতে স্বাভাবিকভাবেই সরকার কর্তৃক আদালত প্রভাবিত হয়েছে বলে জনগণের ধারণা। অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ে শুনানীর পর মহামান্য আদালত সরকারের আদেশের বিরুদ্ধে দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দেন। ঐ খারিজ আদেশে কি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা এখনো জনগণের সামনে পরিস্কার নয়। তদুপরি আবেদনে জেলকোড অনুসরণ সংক্রান্ত বিষয়ে আইনজীবীগণ উল্লেখ করেছিলেন। সংক্ষিপ্ত মৌখিক আদেশে জেলকোড সংক্রান্ত বিষয়ে কোন কিছু জানা যায় নি। এমতাবস্থায় জনাব আব্দুল কাদের মোল্লার রিভিউ পিটিশন সংক্রান্ত বিষয়ে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের প্রদত্ত আদেশ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানার অধিকার তার রয়েছে। অথচ সরকার রায় কার্যকরে কোন বাধা নেই বলে প্রচার করে তড়িঘড়ি করে আব্দুল কাদের মোল্লাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো, জনাব আব্দুল কাদের মোল্লাকে বিচারের নামে প্রহসন করে হত্যার যে আয়োজন করেছিল সরকার তা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালাচ্ছে। যে আইনে তার বিচার করা হলো তা এবং ট্রাইব্যুনাল, দেশে-বিদেশে ব্যাপকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত। এই বিচার প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হয়ে আছে স্কাইপ কেলেঙ্কারি, সেইফ হোম কেলেঙ্কারি। বিচার করছে আদালত আর রায়ের দিন, তারিখ, সময় নির্ধারণ করে বক্তব্য রাখছেন সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতৃবৃন্দ। এই বিচারে জালিয়াতির নিকৃষ্ট উদাহরণ ভুয়া মোমেনা বেগমের স্বাক্ষ্য। যে মোমেনা বেগমের স্বাক্ষ্য বিবেচনায় নিয়ে মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট তাকে মৃত্যুদ- প্রদান করেছে, ঐ কথিত মোমেনা বেগম তার স্বাক্ষ্যের তিন জায়গায় তিন রকম বক্তব্য দিয়েছে, যা বিবেচনা করে বিচারপতি আব্দুল ওহাব মিঞা ঘোষিত মৃত্যুদ-ের সাথে একমত পোষন করেননি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিচার পরিচালিত হয়েছে সরকার নির্দেশিত ছকে। বিশ্ব সম্প্রদায় বিচার প্রক্রিয়া ও রায় সম্পর্কে যেসব বক্তব্য রেখেছেন এ সরকার তা অগ্রাহ্য করে জনাব আব্দুল কাদের মোল্লাকে হত্যা করতে অস্থির হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনার নাভি পিল্লাই, দুইজন বিশেষজ্ঞ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস্ কমিশন, ব্রিটিশ সিনিয়র পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তুরস্ক, অষ্ট্রেলিয়া, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য, লর্ড এ্যাভেবুরি, লর্ড কার্লাইলসহ আন্তর্জাতিক মহল জনাব আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদ-াদেশ স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু সরকার তার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এবং একদলীয় প্রহসনের নির্বাচন প্রতিবাদে গড়ে ওঠা গণআন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে জনাব আব্দুল কাদের মোল্লাকে হত্যা করতে চাচ্ছে। সরকার তার এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে এটি একটি নিকৃষ্ট রাজনৈতিক হত্যাকা- হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। সরকারের মনে রাখা দরকার জনাব আব্দুল কাদের মোল্লাকে হত্যা করা হলে তার প্রতিফোঁটা রক্তের জবাব আওয়ামী লীগ ও তার সরকারকে দিতে হবে। আওয়ামী লীগকে অনাগত ভবিষ্যতে বিচার নামক প্রহসনের জন্য আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। এই সরকারকে তার বে-আইনী, অসাংবিধানিক ও নিজের ছকে বিচার পরিচালনা করে মৃত্যুদ- হাসিল করার নানবিধ ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের কারণে অবশ্যই জনতার আদালতে দাঁড়াতে হবে। আমি মানব ইতিহাসে এ কলঙ্কজনক রাজনৈতিক হত্যাকা-ের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশের আপামর জনতা ও বিশ্ববাসীকে সোচ্চার হওয়ার এবং সরকারের এই নিকৃষ্ট ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিপূর্ণভাবে ঐক্যবদ্ধ গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।” মোঃ ইব্রাহিম কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন