ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৩

আ.লীগ রাষ্ট্রীয় ডাকাতে পরিণত হয়েছে : জামায়াত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান গতকাল এক বিবৃতিতে অভিযোগ করে বলেছেন, দেশের জনগণ সরকারের একদলীয় প্রহসনের নির্বাচন বয়কট করে গণতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধে দিশেহারা হয়ে সরকার মানুষের ঘরবাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটতরাজ করে গোটা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। সরকার ও দলীয় ক্যাডারদের নির্মম অত্যচারে সাতক্ষীরার হাজার হাজার মানুষ খোলা আকাশের নিচে করুণ ও মানবেতর জীবনযাপন করছে। জেলার অধিকাংশ উপজেলায় আওয়ামী ক্যাডারদের আগুনে মানুষের ঘরবাড়ি পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষের দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে পুনর্বহাল না করে সরকার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দিয়ে একদলীয় প্রহসনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে বাংলাদেশকে অচলাবস্থার দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশের জনগণ রাষ্ট্রীয় ডাকাত আওয়ামী লীগের হাত থেকে মুক্তি চায়। বিবৃতিতি তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অভিব্যক্তিকে অগ্রাহ্য করে সরকার বাংলাদেশকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, সর্বশ্রেণীর পেশাজীবী সম্প্রদায়, সুশীল সমাজ ও সর্বস্তরের জনগণ একদলীয় প্রহসনের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। ১৫৪টি আসনে নির্বাচন ছাড়াই সরকার দলীয় প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন। প্রায় সাড়ে ৫ কোটি ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সুতরাং এটা নির্বাচনই নয়। এটি একটি প্রহসন। বিশ্ববাসীর কাচে এ নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য ও হাস্যকর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এরই মধ্যেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশে প্রহসনের নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাও বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। দেশীয় পর্যবেক্ষকরাও আসন্ন নির্বাচনে সক্রিয় হওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করেছেন। তিনি আরও বলেন, সরকার ক্ষমতার নেশায় অস্থির হয়ে পড়েছে। দেশের জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়ে ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্তের সরকার বেসামাল হয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে জনগণ ও আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করছে। সরকার জনগণের ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালাচ্ছে। নারী, শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ, কেউ সরকারের জুলুম থেকে রেহাই পাচ্ছে না। গ্রামের নিরীহ নারীদেরও গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হচ্ছে। বিগত ৪২ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ ধরনের হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড আর কখনও সংঘটিত হয়নি। আওয়ামী লীগের প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধ স্পৃহা জনগণের শান্তি, নিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্নিত করেছে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতার অপব্যবহার করে দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে লুণ্ঠন করে ডাকাতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি বর্তমান অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৮ দলীয় জোট ঘোষিত দেশব্যাপী সড়ক, নৌ ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি আগামী ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে পালন অব্যাহত রাখার জন্য দেশবাসীর উদাত্ত আহ্বান জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন