ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩

সেদিন কোরআন ছুয়ে কাদের মোল্লা বললেন, আমি কসাই কাদের না -কামরুজ্জামান বাবলু

১৩ই ডিসেম্বর ২০১৩। রাত ১০টা। আজ থেকে মাস দেড়েক আগের ঘটনা। তারিখটা ঠিক মনে নেই। একদিন সন্ধ্যার পরে কোথাও এক জায়গায় বসে কয়েকজন চা খাচ্ছিলাম আর আড্ডা দিচ্ছিলাম। কথা হচ্ছিল দেশের সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে। ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী ব্যারিস্টার মুন্সি আহসান কবীর। আলোচনাক্রমে আসে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের প্রসঙ্গটি । ব্যারিস্টার আহসান কবীর এ সময় বলেন, কিছুদিন আগে তিনি জেলগেটে দেখা করতে গিয়েছিলেন আব্দুল কাদের মোল্লার সাথে। ওই সময় মোল্লার হাতে ছিল একটি ছোট্ট কোরআন শরীফ। কাদের মোল্লা কোরআন শরীফটি দেখিয়ে বললেন, মুন্সি আমার হাতে এটা কী? ব্যারিস্টার আহসান কবীর বললেন, এটা তো কোরআন শরীফ। ওই কোরআন শরীফটি হাতে উচু করে কাদের মোল্লা তখন বললেন, মুন্সি হয়তো আমার ফাঁসি হয়ে যাবে। কিন্তু আজ এই কোরআন শরীফ হাতে নিয়ে আমি আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি, ১৯৭১ সালে মিরপুরে কসাই কাদের কর্তৃক যেইসব হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আমাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলো তার একটি অপরাধের সাথেও আমার দূরতম কোন সম্পর্ক নেই। কাদের মোল্লা বলেন, আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি আমি ১৯৭৩ সালের আগে কোনদিন মিরপুরেই যাইনি। সেইদিনের আব্দুল কাদের মোল্লার সেই কোরআন নিয়ে শপথের কোন আইনী মূল্য ছিল না। কারণ একদিকে চলছে প্রহসনের বিচার। আর অন্যদিকে চলছে ইসলামী আন্দোলনের সাথে জড়িত লোকদের সম্পর্কে দেশের সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝানোর মহোৎসব। নিজেদেরকে প্রগতিশীল বলে পরিচয়দানকারী কিছু চরিত্রহীন, লম্পট গণমাধ্যমকর্মী মরিয়া হয়ে এমন অপপ্রচারে নামেন যাতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন ও এই আন্দোলনের শীর্ষ নেতাদের থেকে দেশের সাধারণ মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয়। যাই হোক, কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো। কেনই যেন বার বার মুন্সি আহসান কবীরের সাথে সেদিনেরই সেই আড্ডার স্মৃতি বার বার মনে ভেসে উঠছে। বার বার সচেতন মন বলছে, সত্যিই একজন সদা হাস্যজ্জল, সাদাসিদে কাদের মোল্লা, যার নিস্পাপ চেহারাই বলে দেয় তিনি কোন অপরাধের সাথে জড়িত থাকতে পারেন না। মিরপুরের কুখ্যাত ডাকাত বিহারী কসাই কাদেরের সমস্ত অপরাধ জেনে বুঝে ঠান্ডা মাথায় কাদের মোল্লার ঘাড়ে চাপিয়ে দিল কতিপয় জ্ঞানপাপী। এ যেন সিনেমাকেও হার মানালো। মন শুধু একটি কথাই বলছে, ইতিহাসে মিথ্যা কখনো চিরকাল সত্য হয়ে থাকে না। আজ যারা জেনে বুঝে নির্দোষ কাদের মোল্লাকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে বিজয়ীর হাসি হাসছেন, তারাই একদিন জাতির কাছে কলংকিত প্রমানিত হবেন। তাদের আসল চরিত্র জাতির কাছে একদিন উন্মোচিত হবেই। আর কাল কেয়ামতের ময়দানে মোল্লার হাসি আর আজকের হট্টহাসিতে নিমজ্জিত মোল্লার খুনিদের কান্নার দৃশ্য যেন আমি দেখতে পাচ্ছি। সেইদিনের অপেক্ষায় থাকলাম। লেখকঃ সাংবাদিক

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন