
ঝিনুক নামের এই ৭ মাসের কিউট বাচ্চাটি পরম নিশ্চিন্তে যার কোলে বসে আছে, সে
এক জন মৃত্যুপথযাত্রী, নাম রোকেয়া বেগম, বয়স মাত্র ১৮, ঝিনুকের প্রিয়তম
আশ্রয়, আদরের আ
ম্মা।
ঢাকা মেডিকেলে ঝিনুকের মা রোকেয়া বেগমের চিকিৎসা চলছে। ১৮ বছরের এই
মেয়েটি এই মুহূর্তে যে রোগটিতে আক্রান্ত, কাগুজে হিসেবে এর আগে পুরো
পৃথীবিতে ঠিক এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ৮।
রোগটির নাম Embryonal Rhabdo-myosarcoma. চিকিৎসার শুরুর দিকেই রোকেয়াকে
ছেড়ে চলে গেছে তার বাড়ীতেই ঘরজামাই পদে চাকরী করা নপুংসক স্বামীটি। কারন
রোকেয়ার জীবন বাচাতে তার একটি ব্রেস্ট কেটে ফেলতে হবে! টাকা কিংবা
সামর্থ্যবান কোন নিকটজনও কেউ ছিলনা অসহায় এই মেয়েটির পাশে।
আমাদের ডি এম সি সার্জারী ইউনিটঃ২ এর চিকিতসকরা মানিসক, শারীরিক, আর্থিক
help এমনকি রক্ত পর্যন্ত দিয়ে মেয়েটির প্রথম অপারেশনটি করেছি। এখন
মেয়েটির ২য় অপারেশনটি হবে প্লস্টিক সার্জারী ইউনিটে। মেয়েটি তার বৃদ্ধা
মা আর ছোট্ট মেয়েটিকে নিয়ে অসহায় চোখে আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকে।
কাল পরশুর মধ্যে ২য় সার্জারীর জন্য তার আরও ৬ ব্যাগ রক্ত লাগবে, আজ আমি এক
ব্যাগ জোগার করেছি, বাকি থাকল ৫ ব্যাগ। লাগবে কিছু অর্থ সাহায্য, ঢাকায়
তিনটা মানুষের থাকতে খেতে যা
লাগে, তাও এখন ওদের কাছে হিমালয়ের মত।
তার মোবাইল নম্বর টি দেয়া যেত, পারলামনা। রোকেয়ার পাষান্ড স্বামী তাকে
ছেড়ে যাওয়ার সময় তার সস্তায় কেনা চাইনিজ মোবাইলটিও সংগে নিয়ে চলে
গেছে।
কেউ তাকে কোন সাহায্য করতে চাইলে আমাকে নক করতে পারেন, কিংবা চলে আসতে
পারেন ঢাকা মেডিকেলের ২১৬ নং ওয়ার্ডে।
আমি আবার বলছি, রোকেয়া বেগমকে বাচাঁতে দরকার সামান্য কিছু টাকা আর ৫ ব্যাগ
বি পজেটিভ রক্ত।
এখন decision আমাদের, আমরা কি হেরে যাব, ছোট্ট ঝিনুকের কাছে?
-- Mohiuddin Kawsar (
https://www.facebook.com/mohiuddin.kawsar.1?directed_target_id=10094792732
)
যারা রক্ত দিতে চান এবং সহায়তা করতে চান, তারা সরাসরি ওই ঠিকানায় চলে যান
কিংবা মহিউদ্দিন কাউসার ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ
করুন।.........................
#shr47
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন