ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৪

বৃহত্তর ঐক্য জরুরি :ফরহাদ মজহার


 গতকাল ৫ জানুয়ারি রোববার; বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি কালো দিন। দিল্লির সাধের নির্বাচনের দিন। রংতামাশার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে পুনর্বার মতায় বসিয়ে দেওয়া হবে।  এ লেখা যখন লিখছি তখন হাসিনার এই রক্তপাতে সিক্ত নির্বাচনে ১৮ জন মানুষ শহীদ হয়েছেন। সংবাদ নিয়ে জেনেছি ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোট দিতে কম ভোটারই হাজির হয়েছেন। মিথ্যুক ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের সহযোগী মিডিয়াগুলোর পক্ষেও ভোটকেন্দ্রগুলোতে মানুষ যাচ্ছে প্রমাণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। সরকারি চাপে থাকা মিডিয়াগুলো তাদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে যে খবর দিচ্ছে, তাতে পরিষ্কার, সরকারি দলের অন্ধ সমর্থকদের ক্ষুদ্র একটি অংশ ছাড়া ভোট দিতে যাননি কেউই। আওয়ামী লীগের সমর্থক, কিন্তু নিজের বিবেক শেখ হাসিনা কিম্বা দিল্লির কাছে বন্ধক রাখেন নি এমন মানুষও ভোট দিতে যাননি। এর আগে ১৫৩টি আসনে ভোট ছাড়া নির্বাচন হয়ে গিয়েছিল আঠারো দলের নির্বাচন বর্জন ও প্রতিরোধের কারণে। গতকাল বাকি ১৪৭টি আসনের নির্বাচনে অসম্মানজনক ভোট পড়ার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হোল দেশবাসী শেখ হাসিনা ও দিল্লির এই নির্বাচনী প্রকল্প প্রত্যাখ্যান করেছে। বিবেকবর্জিত এই তুমুল নৈরাজ্য ও তাণ্ডবের নির্বাচনের মধ্যেও রস আছে। খবর হচ্ছে এর মধ্যেও মতাসীনরা ব্যালটবাক্স ছিনতাই করেছে। পাবনা-১ আসনে (বেড়া-সাঁথিয়া) দুটো জায়গার চারটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর ছেলে ও ব্যক্তিগত সহকারীর নেতৃত্বে ভোট ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। খারাপ কী? বেশ তো নির্বাচন! খবর হচ্ছে তারা ৪৭৫টি ভোট নিজেরা কেটে ব্যালট বাক্সে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। অস্ত্রসহ দু’টি মাইক্রোবাসে করে ভোটকেন্দ্রে গিয়েছেন তারা। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারদের লাঞ্ছিত করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোট কেটে নিয়েছেন। অতি উত্তম কর্ম। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা বা আইন মানলেই তা বৈধ হয় না। শেখ হাসিনা নিজে তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা একক সিদ্ধান্তে বাতিল করেছেন, যে সাংবিধানিকতার দোহাই দিয়ে নির্বাচন হোল, সেটা তার একারই সংবিধান। অথচ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই (এরশাদ ছাড়া) প্রবর্তিত হয়েছিল। ফলে যে ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচন হোল সেটা একনায়কতান্ত্রিক বিধানের অধীনে নির্বাচন। আইনি বলে তা বৈধ হতে পারে না। যদি আইনের কথা তুলি তাহলেও মুশকিল আছে। ত্রয়োদশ সংশোধনী সংক্রান্ত রায় দেবার সময় দশ ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থার অধীনে হতে পারে বলে আদালত রায় দিয়েছিল। সে রায়ের পে শক্তিশালী আইনি যুক্তি ছিল। সে রায়ের তাৎপর্য হচ্ছে বিধিবদ্ধ রাষ্ট্র হিসাবে গঠিত হবার আগে থেকেই জনগণ যে-অধিকার ভোগ করে তা কোন লিখিত সংবিধানে থাকতে হবে এমন কোন কথা নাই। অতএব জাতীয় সংসদেরও সেই সব প্রাকৃতিক বিধি বা আইন লংঘন করবার কোন এখতিয়ার নাই। যেমন : ১. রাজনৈতিক বাস্তবতা বা রাজনৈতিক প্রয়োজনীয়তা বিবেচনার করে নেওয়া বিধান। যে বিবেচনায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়েছিল। রাজনৈতিক প্রয়জনীয়তায় গৃহীত বিধান জাতীয় সংসদ বাতিল করতে পারে না; এই বিবেচনাতেই ত্রয়োদশ সংশোধনী গৃহীত হয়েছিল, সেই বাস্তবতা পুরাপুরি না থাকলেও নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের েেত্র বজায় রয়েছে বলেই আদালত মনে করেছে; ২. জনগণের নিরাপত্তা বিঘিœত করে জাতীয় সংসদে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। জনগণের নিরাপত্তা সর্বোচ্চ আইন। এবং একই ভাবে ৩. রাষ্ট্রের নিরাপত্তাকেও সর্বোচ্চ আইনের মর্যাদা দিতে হবে। এগুলো ‘সর্বোচ্চ আইন’ কেন? বিধিবদ্ধ রাষ্ট্র গঠিত (Juridical state) হবার আগে থেকেই এই ধরনের অধিকার আইনি বিধান হিসাবে সমাজে হাজির থাকে। তারা বিধিবদ্ধ আইনি রূপ নিয়ে হাজির না থাকলেও স্বতঃসিদ্ধ অলংঘনীয় ‘আইন’ হিসাবেই বহাল থাকে। দার্শনিক ও আইনশাস্ত্রবিদরা একেই সাধারণত প্রাকৃতিকতা বা বাস্তবতার স্বাভাবিক নিয়ম (state of nature) কিম্বা অনিবন্ধিত বিধিবিধান (non juridical state) বলে নানান দিক থেকে বিচার করেছেন (যেমন, দেখুন ইম্মানুয়েল কান্টের Doctrine of Right বা এ ধরনের যেকোন আলোচনা)। ‘অবৈধ ব্যবস্থায় অবৈধ নির্বাচন’ শিরোনামে এ বিষয়ে আমি অন্যত্র এর আগে আলোচনা করেছি। এখানে পুনরাবৃত্তি করব না। এতএব শেখ হাসিনার আইনের অধীনে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচন শুধু অবৈধই নয়, বেআইনিও বটে। সুশীলসমাজের একাংশের হুঁশ হয়েছে অনেক পরে। এখন তারা কেউ একে ‘অগ্রহণযোগ্য’, কেউ ‘অবৈধ’, কেউ দশমের পরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কিভাবে হবে তার জন্য পেরেশান হয়ে যাচ্ছে। নি¤œ শ্রেণির আওয়ামী দালালদের ভাষ্য হচ্ছেÑ নির্বাচন হয়ে যাওয়া উচিত। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নিয়ে কথা! নইলে নাকি ‘নৈরাজ্য’ হবে। নৈরাজ্যের কী বাকি আছে আওয়ামী পাণ্ডারাই ভাল জানে। সুশীলদের মধ্যে দুই ভাগ দেখছি এখন। মতাসীনদের তামাশার নির্বাচন যারা নিন্দা করছে তাদের মোকাবিলার জন্য মাঠে নেমে এসেছে আওয়ামী সুশীলেরা। তারা নিন্দা করছে প্রতিপকে যারা কাতর স্বরে শেখ হাসিনাকে নির্বাচন দয়া করে পিছিয়ে দেবার কথা বলছিলেন; দাবি করছিলেন একটা ‘সমঝোতা হওয়া দরকার, তারপর নির্বাচন। তাদের সকাতর ‘প্লিজ নির্বাচন পিছিয়ে দিন’ বলাটা আওয়ামীদের পছন্দ হয় নি। আওয়ামী সুশীলদের বক্তব্য হচ্ছে, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা বা নিয়ম আছে বলে এ নির্বাচন হতেই হবে। তারপর একাদশ নির্বাচনের কথা ভাবা যাবে। সুশীলদের দুই পকে আরো ভালভাবে বোঝার জন্য তাদের আমরা মার্কিন-ইউরোপীয় বনাম দিল্লির স্থানীয় স্বার্থরকÑ এই দুই ভাগে ভাগ করে ভাবতে পারি। সরলীকরণে অনেক ঝুঁকি থাকে কিন্তু এতে অনেক কিছুই সংেেপ বুঝতে সুবিধা। অসুবিধা হচ্ছে এদের মধ্যে দুই একজন থাকতে পারেন যারা আসলেই মনে করেন নির্বাচন যেভাবে হচ্ছে তাকে বন্ধ করা না গেলে বাংলাদেশ অস্থির ও অস্থিতিশীল হয়ে যাবে। বিএনপিসহ একটি সত্যিকারের নির্বাচন না হলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রতিরার দিক থেকে মারাত্মক ঝুঁঁকির মধ্যে পড়ে যাবে। তাঁদের এই আশংকা মোটেও অমূলক নয়। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক মেরুকরণ যে জায়গায় পৌঁছেছে তাতে বিবদমান দুটো পকে কাছাকাছি আনবার পরিসর সংকুচিত হয়ে গিয়েছে। একে শুধু রাজনৈতিক মেরুকরণ বলা ঠিক না। গোটা সমাজই আসলে দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। শেখ হাসিনা এটাই চেয়েছিলেন। তিনি শতভাগ সফলতা পেয়েছেন। তবুও আলোচ্য সুশীলদের প্রথম পরে সঙ্গে জনগণের তরফে তর্ক করবার সুযোগ আছে। তাদের উপলব্ধির ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও। বাংলাদেশের সংকট নিছকই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নয়, গোড়ার সংকট সংবিধানে এবং রাজনীতি ও রাষ্ট্রব্যবস্থায়Ñ বিশেষত নাগরিক ও মানবিক অধিকার রার প্রশ্নে। সুশীলসমাজের মার্কিন-ইউরোপীয় প এখনো এই গোড়ার কথা মেনে নিতে রাজি না। যদি এ কথা আমরা মেনে নেই তাহলে এটাও মানতে হবে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার মূল কারণ পঞ্চদশ সংশোধনী। যার মাধ্যমে সবার সমঝোতার মধ্য দিয়ে গৃহীত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা এক ব্যক্তির ইচ্ছায় (শেখ হাসিনা) বাতিল করা হয়েছে। তখন থেকে সুশীলসমাজের মার্কিন-ইউরোপীয় প বারবার রাজনৈতিক সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার পদধ্বনির কথা বলেছে। তাদের আশংকাই এখন সত্য প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু তারা তাদের নিজেদের কথা নিজেরাই গিলে বসে আছে। কার্যত নিশ্চুপ থেকেছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও সহিংসতা সম্পর্কে। সন্ত্রাস ও সহিংসতার মূল কারণ সম্পর্কে নীরব থেকে তারা সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতার জন্য মতাসীনদের কোলে বসে বিরোধী দলকেই প্রধানত দায়ী করে এসেছে। রাজনৈতিক সহিংসতার জন্য আওয়ামী প্রপাগান্ডা ক্রমাগত মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতিকে দায়ী করছে। মূলত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সহিংসতার জন্য পঞ্চদশ সংশোধনীই যে মূলত দায়ী, তাকে আড়াল করবার জন্যই এই প্রপাগান্ডা চালানো হয়। পঞ্চদশ সংশোধনী বাংলাদেশের সংবিধানকে ফ্যাসিস্টদের দলিলে পরিণত করেছে এবং নির্লজ্জ ভাবে নাগরিক ও মানবিক অধিকার হরণ করেছে। সুশীলসমাজের প্রধান সমস্যা হচ্ছে রাষ্ট্রব্যবস্থার এই ফ্যাসিস্ট রূপান্তর সম্পর্কে নীরবতা এবং বাংলাদেশের রাজনীতির সমস্যাকে ফ্যাসিবাদের সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত না করে ফ্যাসিবাদকে আড়াল করে রাখা। আওয়ামী লীগের প্রপাগান্ডার সঙ্গে সুর মিলিয়ে তারাও দাবি করে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর জোট গঠনই হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতির মূল সংকট। জামায়াতে ইসলামীর একাত্তরের ভূমিকার কারণে এর বিরুদ্ধে নৈতিক ও মানবিক অবস্থান নেওয়া সুশীলদের জন্য সহজ। এতে আওয়ামী লীগকেও খুশি রাখা যায়। জামায়াত-শিবিরের বিরোধিতা আসলে সুশীলদের বাইরের দিক। আদতে সুশীল রাজনীতি ইসলামোফোবিয়া বা ইসলাম আতংকের অসুখে আক্রান্ত। তাদের আপত্তিটা মূলত ইসলামপন্থী রাজনীতির বিরুদ্ধে। এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে সুশীলদের প্রতিক্রিয়ার মধ্যে। যে দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী, কেউ চাক বা না চাক সেই দেশে ইসলামপন্থী রাজনীতি থাকবেই। প্রশ্ন হচ্ছে তাকে কিভাবে উদার, নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতির অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া যায়। কিন্তু সুশীলরা এই কাজ করতে রাজি নয়; এতে তাদের অর্থদাতারা নারাজ হবে। ইসলামপন্থীদের প্রতি তাদের অসহনশীলতার ভিত্তি মূলত বর্ণবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা। বৃহত্তর জনগোষ্ঠী থেকে সুশীলরা এর ফলে শুধু আলাদা হয়ে যায়নি, তাদের দুশমনে পরিণত হয়েছে। সুশীলদের মার্কিন-ইউরোপীয় প যদি ফ্যাসিবাদের বরকন্দাজ না হয়ে গণতান্ত্রিক রাজনীতির পে থাকতে চায়, তাহলে তাদের উচিত পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের জন্য আন্দোলনে সারা দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং আওয়ামী সুশীলদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। তাদের এই উপলব্ধি হলে নাগরিক ও মানবিক অধিকার রার প্রশ্নকে কেন্দ্রে রেখে ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে একটি জাতীয় গণতান্ত্রিক ঐক্যের কথা ভাবা যেতে পারে। যে উগ্রবাদী রাজনীতি তাঁরা পরিহার করতে চান তা কার্যকর করবার একমাত্র পথ হচ্ছে সমাজের বৃহৎ একটি অংশকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে বাইরে রাখা নয়, নাগরিক ও মানবিক অধিকারের মানদণ্ড অুণœ রেখে উদার রাজনৈতিক চর্চার পরিমণ্ডলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া। ইসলামের আতংকে ফ্যাসিবাদ ও ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার পে দাঁড়ানো নয়। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের রাজনীতি থেকে এই সুশীলদের বেরিয়ে আসতে হবে। এই েেত্র আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের ধারণা ইসলামকে আক্রমণ করার এই রাজনীতিই তাদের মতায় রাখবে। আসলে বিশ্ব ও আঞ্চলিক পরিস্থিতি যে দ্রুত বদলে যাচ্ছে, এটা তারা বুঝছে না। ফ্যাসিস্টরা দ্রুতই একঘরে হয়ে যাবে; যেতে বাধ্য। আওয়ামী সুশীল সম্পর্কে জনগণের তরফে এদের প্রতিরোধ করা ছাড়া বিশেষ আর কিছু বলার সুযোগ নাই। সুশীলদের দুই পরে মধ্যে বিরোধটা ততটাই মৌলিক যতটা বাংলাদেশ প্রশ্নে সম্প্রতি দিল্লি ও ওয়াশিংটনের পার্থক্য আমরা দেখছি। দিল্লি যেভাবেই হোক শেখ হাসিনা মতায় থাকুক এটাই চায়, তাদের অর্থনৈতিক ও প্রতিরা স্বার্থ ১৮ দল মতায় এলে টিকিয়ে রাখা যাবে না, এতে তারা নিশ্চিত। আওয়ামী সুশীলদের অবস্থান দিল্লির অবস্থান থেকে আলাদা কিছু নয়। ফলে বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদের বিরোধিতা মূলত দিল্লির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রারই লড়াই। আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে লড়াইটাই বাংলাদেশের সার্Ÿভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রার ভারকেন্দ্র। একে সামনে রেখে বৃহত্তর ঐক্য রচনার ওপরই গণতান্ত্রিক রাজনীতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। গতকাল ৫ জানুয়ারির এই তামাশার নির্বাচনের পর বিএনপি জনগণকে কিভাবে সংগঠিত করবে সেটা নিশ্চিত নয়। খালেদা জিয়া সুস্পষ্ট ভাবে ‘সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রা কমিটি’ গঠনের কথা বলেছেন। যদি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা তার রাজনীতি হয়ে থাকে, তবে সেটা বোঝা যাবে এই কমিটি গঠন করার আন্তরিকতা, দৃঢ়তা ও সাফল্যের ওপর। সময় এখানে গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক। বিএনপি যদি কেন্দ্রীয় ভাবে ও প্রতিটি জেলায় এবং সব উপজেলায় অবিলম্বে আন্দোলনের এই কাঠামো গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয় তাহলে বিপ্তি ও বিচ্ছিন্ন সহিংসতা দেশকে কোন যৌক্তিক পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে না। ৫ জানুয়ারি ২০১৪। farhadmazhar@hotmail.com

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন