রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী |
’08 Jan, 2014 রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী বলেছেন, একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে যে সংসদ গঠিত হয়েছে তা একটা ‘রাবার স্ট্যাম্প’ পার্লামেন্টের ভূমিকা পালন করবে। সরকারি দল যা ভাববে এবং করবে, তার বৈধতা দেবে সংসদ। নির্বাহী বিভাগের পূর্ণ অধীনস্থ একটা আইনসভা হিসাবেই কাজ করবে এই সংসদ। এবারের পার্লামেন্ট কোনো ভাবেই ফাংশনাল হবে না। আর বিরোধী দলতে হতে যাচ্ছে গৃহপালিত। এমনকি সব দল থেকে মন্ত্রীপরিষদ গঠন করার কথাও শোনা যাচ্ছে। তাহলেতো আইনসভা বা সংসদ কাজই থাকবে না। একটা স্বৈরতান্ত্রিক সরকার গঠিত হবে। আর জনগণ যেহেতু ম্যান্ডেট দেয়নি সেহেতু ব্যাপক নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়ে টিকে থাকতে হবে এই সরকারকে। যা দেশের রাজনীতিকে অস্থিরতার দিকে নিয়ে যাবে। মানবজমিন অনলাইনকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, এই সংসদ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আইন বিভাগের কাজ করতে ব্যর্থ হবে। সংসদে জনমতের প্রতিফলন পাওয়া যাবে না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামোয় আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগ হচ্ছে তিনটি আলাদা খুটি। এর মধ্যে সংসদ বা আইনসভা যদি নির্বাহী বিভাগের অধীনস্থ হয়ে যায় তাহলে তা আর গণতান্ত্রিক থাকে না। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই অধ্যাপক আরও বলেন, রাষ্ট্রের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা ও অবস্থা বিচারে আইনসভার বিভিন্ন ভাগ করা হয়। যেমন, ১. সার্বভৌম আইসভা। ২. নির্বাহী বিভাগের প্রভাবাধীন আইনসভা। ৩. নির্বাহী বিভাগের কর্তৃত্বাধীন আইনসভা এবং ৪. নির্বাহী বিভাগের অধীনস্থ আইনসভা বা রাবার স্ট্যাম্প পার্লামেন্ট। এবারের পার্লামেন্টকে এই চতুর্থ পর্যায়ে ফেলা যায়। অতীতে বাংলাদেশের ১৯৭২-৭৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এবং ১৯৯১-২০০৬ সালের আইনসভাগুলোতে নির্বাহী বিভাগের প্রভাব ছিল কিন্তু এমন অবস্থা ছিল না। আর ১৯৭৫ জানুয়ারি-আগস্টের বাকশাল আমল এবং ১৯৮৬-৯০ সালের এরশাদের আইনসভা নির্বাহী বিভাগের কর্তৃত্বাধীন ছিল। উৎসঃ মানবজমিন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন