ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৪

মুহাম্মদ (সঃ) জীবনের প্রতিটি ব্যাপারেই যেমন অনুকরনীয় আদর্শ, তেমনি রাজনৈতিক সংগ্রাম ও চেষ্টা সাধনায়ও একমাত্র তাঁর জীবনই আদর্শ

দ্বীন প্রতিষ্ঠাকে আল্লাহর পুরস্কার বলার মাধ্যমে কেউ যদি রসুল(সাঃ) এর সংগ্রাম, কঠোর পরিশ্রম, দক্ষতা, কুশলতা, প্রজ্ঞা ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতাকে অস্বীকার করতে চায়, তবে সে মস্ত বড় অবিচার করে। দুর্ভাগ্যবশত, রসূল (সাঃ) এর রাজনৈতিক দিকটা এত অস্পষ্ট রয়ে গেছে যে আজ তাঁর দাওয়াত ও লক্ষ্য সম্পর্কে সঠিক ধারনা পোষণ করা কঠিন হয়ে গেছে। অথচ এই দিকটা সমগ্র নবী জীবনী অধ্যয়নের সময় সামনে না থাকলে ধর্মের প্রচলিত সংকীর্ণ ধারনা ও দ্বীনের সর্বব্যাপী ধারনার মধ্যে যে বিরাট ব্যবধান রয়েছে সেটা বুঝা সম্ভব নয়। রসুল(সাঃ) একটা পুর্নাঙ্গ জীবন বিধান বা দ্বীন নিয়ে এসেছিলেন, সেই সত্য ও নির্ভুল দ্বীনের ভিত্তিতে সমগ্র জীবনের কার্যবিধি ও আচরণবিধি প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন, এবং আল্লাহর আইনকে বাস্তবায়িত ও কার্যকরী করতে এসেছিলেন। কাজেই আমাদের এটা উপলব্ধি করা চাই যে রসুল(সাঃ) পুর্নাঙ্গ ও সর্বাত্মক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের আন্দোলন চালাতে এসেছিলেন। আর এই আন্দোলন চালানোর জন্য তাঁর মধ্যে ছিল সর্বোত্তম‌‍ রাষ্ট্রনায়ক সুলভ প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা, মনীষা, অন্তর্দৃষ্টি এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক চেতনা ও বুদ্ধিমত্তা। অন্য কোন দিক দিয়ে যেমন রসূল (সাঃ) এর সমকক্ষ কেউ নেই, তেমনি রাজনৈতিক নেতৃত্বের ক্ষেত্রেও তাঁর সমতূল্য কেউ নেই। তিনি জীবনের প্রতিটি ব্যাপারেই যেমন অনুকরনীয় আদর্শ, তেমনি রাজনৈতিক সংগ্রাম ও চেষ্টা সাধনায়ও একমাত্র তাঁর জীবনই আদর্শ। রসুল(সাঃ) এর কীর্তি ও অবদান এই যে, তিনি সততার দাওয়াত দিয়েছেন, সত্য ও ন্যায়ের বিজয়ের জন্য সংগ্রাম চালিয়েছেন এবং একটা পুর্নাঙ্গ সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। ধর্মের সীমিত ও সংকীর্ণ ধারনার মধ্যে এত বড় ও বিশাল কাজের স্থান সংকুলান হতে পারে না। সুতরাং এটা ছিল দ্বীন তথা পুর্নাঙ্গ জীবনবিধান, নিছক ধর্ম নয়। এটা ছিল এক সর্বাত্মক আন্দোলন- নিছক কোন আধ্যাত্মিক যোগ সাধনা নয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন