ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৩

গোঁফ নামাতে শুরু করেছে সরকার

 Bangladeshi24.com, Saturday, 21 Dec 2013 বিরোধী দলের লাগাতার আন্দোলন এবং আর্ন্তজাতিক চাপের মুখে সরকার গোঁফ নামাতে শুরু করেছে। সরকার প্রধান থেকে শুরু করে বিভিন্ন মন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এতদিন গোঁফ উঁচিয়ে বলেছেন বিরোধী দলের সাথে সমঝোতার আর কোন সুযোগ নেই। আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হবেই। তারাই এখন বোল পাল্টিয়ে, সুর অনেকটা নরম করে, গোঁফ নামিয়ে কথা বলছেন। সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে গণভবনে এক বক্তব্যে সমঝোতা হলে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন দেয়ার কথা বলেছেন। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এর আগে বলেছিলেন দশম সংসদ ৫ বছরের জন্য হচ্ছে। সেই তথ্যমন্ত্রী গতকাল বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের সাথে আলোচনার পথ সব সময় খোলা আছে। অন্যদিকে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন তথ্যমন্ত্রী দশম সংসদের মেয়াদ ৫ বছর বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, এটা তার ব্যক্তিগত মতামত। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু আওয়ামী লীগের কেউ নন। তিনি সর্বদলীয় সরকারের একজন মিত্র মাত্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলের কাছে বৃহস্পতিবার যে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছেন সেটাই সর্বদলীয় সরকারের বক্তব্য। মোহাম্মদ নাসিমও আগে বলেছিলেন, দশম সংসদ তার পূর্ণ মেয়াদ পূরণ করবে। যোগাযোগমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর তার বক্তব্যও এখন অর্থহীন হয়ে পড়েছে। আগামী ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে সরকারের এখন লেজে গোবরে অবস্থা। নির্বাচনকে ঘিরে সারাদেশে যে গণআন্দোলন শুরু হয়েছে তাতে ৫ জানুয়ারি নির্বাচন করা খুবই কঠিন হবে। নির্বাচন কমিশন সেনা মোতায়েনের কথা বললেও সেনাবাহিনী থেকে এখনো এ ধরনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোন রকম বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিরোধী দল ছাড়া একতরফা নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথাও জানিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে সুশীল সমাজসহ দেশের বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল এ নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার কথা বলছে। কূটনৈতিক মহল থেকেও নির্বাচনের তফসিল বাতিল করে নতুন তফসিল ঘোষণা করে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করার বিষয়টি জোরালোভাবে বলা হচ্ছে। সরকারপ্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটকে বাদ দিয়ে জাতীয় পার্টিকে নিয়ে নির্বাচনের যে ছক এঁকেছিল তাও ভেস্তে গেছে। এরশাদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়ার পর এ সরকার একেবারেই বেকায়দায় পড়ে যায়। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে থাকলে ন্যূনতম গ্রহণযোগ্যতার যে সম্ভাবনা ছিল তাও এখন আর নেই। নির্বাচন এখন একেবারে হাস্যকর বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ৫ তারিখে নির্বাচন করলে এটা আওয়ামী লীগের ললাটে একটা কলঙ্কের তিলক হয়ে আজীবন জ্বলজ্বল করে জ্বলবে। এ অবস্থায় দলটি নির্বাচন থেকে সরে আসার জন্য নিরাপদ পথের সন্ধান করছে। আর এজন্যও তাদের নেতাদের বক্তব্যের ধরনও কিছুটা পাল্টাতে শুরু করেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন