ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৩

সরকার ক্ষমতার নেশায় অস্থির হয়ে পড়েছে: জামায়াত

“সরকার ক্ষমতার নেশায় অস্থির হয়ে পড়েছে। দেশের জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়ে ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্তে সরকার বেসামাল হয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে জনগণ ও আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করছে।”- এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। জনগণের লাশের উপর দিয়ে কেউ ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে পারেনি, আওয়ামী সরকারও পারবে না বলে সতর্ক করেছেন জামায়াতে ইসলামী। শনিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “সরকার গণহত্যা, গণনির্যাতন ও গণগ্রেফতার চালিয়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার ষড়যন্ত্র করছে। দেশের ১৬ কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে এ ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। ” ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “দেশের জনগণ সরকারের একদলীয় প্রহসনের নির্বাচন বয়কট করে গণতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের গণহত্যা, গণনির্যাতন ও নিপীড়ন উপেক্ষা করে দেশের জনগণ ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচী শান্তিপূর্ণভাবে পালন করছে। জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধে দিশেহারা হয়ে সরকার মানুষের ঘরবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটতরাজ করে গোটা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। সরকার ও দলীয় ক্যাডারদের নির্মম অত্যচারে সাতক্ষীরার হাজার হাজার মানুষ খোলা আকাশের নীচে করুণ জীবন যাপন করছে। জেলার অধিকাংশ উপজেলায় আওয়ামী ক্যাডারদের আগুনে মানুষের ঘরবাড়ি পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে।” বিবৃতিতে বলা হয়, “নির্বাচন কমিশন দিয়ে একদলীয় প্রহসনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে বাংলাদেশকে অচলাবস্থার দিকে ঠেলে দিয়েছে। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অভিব্যক্তিকে অগ্রাহ্য করে সরকার বাংলাদেশকে বিশ্বসম্প্রদায়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, সর্বশ্রেণীর পেশাজীবী সম্প্রদায়, সুশীল সমাজ ও সর্বস্তরের জনগণ একদলীয় প্রহসনের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এটি একটি প্রহসন। বিশ্ববাসীর নিকট এ নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য ও হাস্যকর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশে প্রহসনের নির্বাচনে কোন পর্যবেক্ষন না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাও বাংলাদেশে কোন নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। দেশীয় পর্যবেক্ষকরাও আসন্ন নির্বাচনে সক্রিয় হওয়ার ক্ষেত্রে অনিহা প্রকাশ করেছেন।” বিবৃতিতে দাবি করা হয়, আওয়ামী লীগের প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধ স্পৃহা জনগণের শান্তি, নিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্নিত করেছে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব সকল নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতার অপব্যবহার করে দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে লুণ্ঠন করে ডাকাতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। দেশের জনগণ রাষ্ট্রীয় ডাকাতদের হাত থেকে মুক্তি চায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন