ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৩

অস্থির পুলিশে ‌’নিরাপদ বদলি’ আবেদনের হিড়িক

আহম্মেদ মুন্নি, এটিএন টাইমস, ঢাকা:২২/১২/২০১৩ জাতীয় নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই অস্থিরতা বাড়ছে পুলিশে। বাড়ছে সন্দেহ-অবিশ্বাস।শেষ সময়ে অনেকের আচরণকে ‘সন্দেহজনক’ মনে করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। পুলিশের এসব কর্মকর্তারা অভিযানিক নানা তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতদিন ধরে দাপটে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের অনেকে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় আঁড়ালে থাকার চেষ্টা করছেন সাম্প্রতিক সময়ে। সুবিধাবাদী এসব পুলিশের মধ্যে দেড় শতাধিক কর্মকর্তার একটি তালিকা দেয়া হয়েছে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে। অন্যদিকে গত ৫ বছরে ক্ষমতাসীন দলের হয়ে কাজ করেছেন এমন পুলিশ কর্মকর্তাদের একটি তালিকাও করেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সমর্থনপুষ্ট একটি চক্র। পাল্টাপাল্টি তালিকা তৈরির কারণে সন্দেহ-অবিশ্বাসের দোলাচালে দুলছে এখন পুলিশ বাহিনী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘পুলিশের চাকরি, যখন যে নির্দেশনা আসে- তা পালন করতে হয়। এক্ষেত্রে দায়িত্ব এড়ানোর কোন সুযোগ নেই। কারণ পুলিশ একটি শৃংখলাবাহিনী।’ তবে সব মিলিয়ে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে পুরো পুলিশ বাহিনীতে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ে চলছে বৈঠকের পর বৈঠক। গত ১৩ ডিসেম্বর বরিশাল ও খুলনায় পুলিশের পৃথক দু’টি মতবিনিময় সভায় পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার পুলিশ সদস্যদের প্রতি অতীতের ন্যায় আগামীতেও সুদৃঢ় মনোবল, প্রায়োগিক কর্মকৌশল ও প্রজ্ঞার সমন্বয় ঘটিয়ে যে কোন অপ্রীতিকর এবং নাশকতামূলক ঘটনা রোধে সজাগ থাকার আহবান জানিয়েছেন। ১৩ ডিসেম্বর সকালে বরিশাল পুলিশ লাইনে বরিশাল রেঞ্জ, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ, র‌্যাব, আরআরএফ, এপিবিএন এবং বিকালে খুলনাজেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে খুলনা রেঞ্জ, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ, র‌্যাব, আরআরএফ ও এপিবিএন এর সদস্যদের সঙ্গে পৃথক দুটি মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, গত পাঁচ বছরে রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতায় মাঠে থাকা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বিরোধী দলীয় জোট বিএনপি-জামায়াতের অসংখ্য নেতাকর্মীকে রাজপথে পেটানো হয়েছে। অতি উৎসাহী কিছু পুলিশ কর্মকর্তা বিরোধী দলকে দমনে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। এক্ষেত্রে তাদের একটাই উদ্দেশ্য ছিল সরকারকে খুশি রেখে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য হাসিল করা। কোন কোন পুলিশ কর্মকর্তা নেতাদের বাসায় বাসায় গিয়ে অহেতুক তল্লাশী ও হয়রানি করেছে। এ ধরনের অর্ধশত পুলিশক র্মকর্তার একটি তালিকা করেছে বিরোধীদলীয় জোটের ঢাকা মহানগরের ওয়ার্ডে থাকা নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে মাঠ পর্যায়ের ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ১৮ জনকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সূত্র জানায়, চলতি সপ্তাহেই সচিবালয়ের সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিএনপিপন্থী একটি সংগঠন ওই তালিকাটি বিরোধী দলীয় নেত্রীর কাছে দিয়েছে। তালিকায় থাকা সবাই পাঁচ বছরে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের দমনে মারমুখী অবস্থানে ছিলেন। তবে, ওই তালিকায় নাম থাকা একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘বিরোধী দলের নৈরাজ্য ঠেকাতে যতটুকু মোকাবিলা করা দরকার ততটুকই করা হয়েছে।’ সরকারী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এখন আমাদের গায়ে রাজনৈতিক কাদা লাগানো হচ্ছে। সূত্রটি বলেছে, সম্প্রতি রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এসব কর্মকর্তাদের অনেকেই কম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বদলি নিয়ে ‘সেভ পজিশনে’ চলে গেছেন। এসব কর্মকর্তাদের অনেকে বর্তমান সরকারের পাঁচ বছরে ঢাকা মহানগর পুলিশে গুরুত্বপূর্ণ অভিযানিক (অপারেশনাল) দায়িত্বে ছিলেন। মাঠ পর্যায়ে নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি, গ্রেফতার ও রাজপথে মোকাবিলা করা পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে ডিএমপির বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাম আগে উঠে এসেছে। নাম এসেছে কয়েকজন ডিসি এবং এডিসি পদমর্যাদার কর্মকর্তারও। মহানগরে থাকা থানাগুলোর মধ্যে বিশেষ একটি অঞ্চলের পুলিশ কর্মকর্তাদের নাম প্রাধান্য পেয়েছে ওই তালিকায়। সম্প্রতি সময়ে বর্তমান সরকারে আমলে বড় একটি সময় জুড়ে পল্টন থানার সাবেক এক ওসি ও এডিসির নাম রয়েছে তালিকার শীর্ষে। ওই ওসি ও এডিসি যে কোন আন্দোলন-সংগ্রামের আগে পল্টনে বিএনপি কার্যালয় পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখতেন। কিন্তু বর্তমানে তারা নিরাপদ দূরত্বে চলে গেছেন। বর্তমানে একজন আছেন পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) আর অপরজন ওয়ারী জোনে এডিসি হিসেবেই কর্মরত আছেন । তাদের মতো অনেকেই মহানগর পুলিশ সদর দফতরে অথবা সেফ জোনে পোস্টিং চেয়ে আবেদন করেছেন । এ ব্যাপারে ডিএমপি সদর দফতর সূত্র জানিয়েছে, পোস্টিং চেয়ে শতাধিক পুলিশ সদস্যে আবেদন করেছেন সদর দফতরের কাছে। তবে এসব আবেদন এখন পর্যন্ত আমলে নিচ্ছে না মহানগর পুলিশের হাইকমান্ড। এছাড়াও অতি সম্প্রতি খিলগাও থানার ওসির অসুস্থতার কথা বলে সপরিবারে বিদেশ চলে যাওয়াকে সেফ পজিশনে চলে যাওয়াই মনে করছেন। সবার এই সেফ পজিশনে যাওয়ার ও পুলিশে নিজেদের প্রতি সন্দেহ বাড়ার কারণ হিসেবে সম্প্রতি বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও জামায়াত-শিবির সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের উপর আক্রমণ ও হামলা এবং সর্বশেষ তারা পুলিশের মনোবল ভাঙতে এসএমএস বার্তা পাঠিয়েছে সকল থানা ও বিভিন্ন শাখার পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে। এতে সতর্ক করা হয়েছিল পুলিশ বাহিনীকে। তবে একাধিক পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ‘পুলিশের কাজ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা। রাজপথে নেমে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা রক্তপাত বা নাশকতা চালালে পুলিশ বসে থাকতে পারে না। এ অবস্থায় জনগণের জানমালের রক্ষা ও সরকারি দায়িত্ব পালন করতে পুলিশ মারমুখী হতে হয়।’ পুলিশের উপর সর্তক বার্তা প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র ও কমিশনার (ডিবি) মো: মনিরুল ইসলাম সম্প্রতি বলেছেন, ‘পুলিশ তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে। জানমালের নিরাপত্তা বিধানে পুলিশের যা করণীয় বিধান অনুযায়ী তাই করে থাকে পুলিশ। কেউ আক্রমণ করলে তাকে প্রতিরোধ করতে হবে। কারণ প্রতিরোধ না করলে জানমালের ক্ষতির আশংকা থাকে।’ তিনি আরো বলেন, ‘যারা শৃঙ্খলা বাহিনীতে থেকে শৃঙ্খলা অমান্য করবে তাদের শাস্তি পেতে হবে।বাহিনীতে থেকে শৃঙ্খলা অমান্যকারীদের তালিকা করে বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা আছে। এই তালিকা সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রদান করা হয়।’

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন