ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১৪

এমপি রণজিত রায়ের অভিযোগ- আওয়ামী লীগ নেতা ও হুইপ ওহাবের কর্মীরাই যশোরে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালিয়েছে

 বিএনপি জামায়াতকে দায়ী করেছেন জেলা প্রশাসক আওয়ামী লীগের এমপি ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা রণজিত রায় অভয়নগরে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের হুইপ শেখ আব্দুল ওহাবের কর্মীরা তাকে ভোট না দেয়ায় সংখ্যাঘলুদের বাড়িঘরে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে। এবারের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছেন শেখ আব্দুল ওহাব। তারই জের হিসেবে সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলা করা হয়েছে। অবশ্য মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে যশোরের জেলা প্রশাসক হামলার জন্য জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করেছেন। রোববার ভোট গ্রহণ শেষে অভয়নগর উপজেলার চাপাতলা গ্রামের মালোপাড়ার ১০/১২টি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর করে মালামাল ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে শতাধিক জামায়াত-বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। গত সোমবার সংঘটিত এ ঘটনার সরেজমিন অনুসন্ধানকালে ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘুরা কোনভাবেই মুখ খুলছে না। তবে অভয়নগরের আওয়ামী ঘরানার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা গেছে জাতীয় সংসদের হুইপ ও বিদায়ী এমপি শেখ আব্দুল ওহাব এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি। তার পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন বাঘারপাড়ার অধিবাসী রণজিত রায় এমপি। এনিয়ে একমাস যাবত দুই নেতার সমর্থকের মধ্যে চলছে প্রকাশ্য সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা। একে অপরের সমর্থকদের মারপিট, হত্যা চেষ্টা, অফিস পোড়ানোসহ নানা সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে কয়েকদিনে। নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন রণজিত রায় এবং কলস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন বিদ্রোহী প্রার্থী হুইপ শেখ আব্দুল ওহাব। এই নির্বাচনে হিন্দু অধ্যুষিত মালোপাড়ার ভোটাররা তাদের নিজ এলাকা অভয়নগরের প্রার্থী শেখ আব্দুল ওহাবকে ডিঙ্গিয়ে বাঘারপাড়ার বাসিন্দা রণজিত রায়ের নৌকা প্রতিকে ভোট দেয়। এতে পরাজিত শেখ আব্দুল ওহাব ও তার সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে মালোপাড়ায় হামলা চালায়। এ প্রসঙ্গে এমপি রণজিত রায় বলেছেন, ঐ এলাকায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার সাথে তার প্রতিপক্ষ শেখ আব্দুল ওহাবের সমর্থকরা জড়িত। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে তারা দিশেহারা হয়ে প্রতিশোধ পরায়ণ মনোভাব নিয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। উলে¬খ্য, শেখ আব্দুল ওহাবের বিরুদ্ধে অভয়নগরে নিজে সন্ত্রাসী বাহিনী লালন ও তাদের মাধ্যমে সাংবাদিক হত্যা চেষ্টাসহ বহু সমাজ বিরোধী কর্মকা-ের অভিযোগ রয়েছে। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে যশোর কালেক্টরেট সভাকক্ষে এ ব্যাপারে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, ঘটনার সাথে জামায়াত-শিবির এবং তাদের সহযোগীরা জড়িত। হিন্দুদের এ দেশ থেকে বিতাড়নের ধারাবাহিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে। অচিরেই জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ ও খাদ্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং এটা অব্যাহত থাকবে। তাদের নিরাপত্তার জন্য এলাকায় একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। সাংবাদিকরা এমপি রণজিত রায়ের বক্তব্য সম্পর্কে প্রশ্ন করলে জানান হয়, কে কি বলল সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমরা তদন্তে যা পেয়েছি সেভাবেই মামলা করেছি। সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এবং পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্রসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন