ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৩

ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ ধ্বংসের ২২তম কালো দিবস আজ

ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ ধ্বংসের ২২তম কালো দিবস আজ ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার। শুধু হিন্দুস্তান ভূখণ্ডেরই নয়, গোটা মুসলিম উম্মাহর আরেকটি বেদনাবহ দিন। এই দিবসটি ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশধারী কট্টর হিন্দু মৌলবাদী ভারতের প্রকৃত চেহারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরে। এবার এমন এক সময় কালো দিবসটি হাজির হয়েছে যখন ভারতের জাতীয় নির্বাচনে কট্টর হিন্দুবাদী দলটি ক্ষমতাসীন হচ্ছে হচ্ছে ভাব এবং তারা বাবরী মসজিদের ওই স্থানটিতে রামমন্দির নির্মাণ করার আগাম ঘোষণা দিয়েছে। এতে করে বিশেষ করে স্থানীয় মুসলমানদের মনে নতুন করে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। বিগত ২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট বাবরী মসজিদের ভূমিকে দ্বিখণ্ডিত করে এক ভাগ রামমন্দিরের বলে বিভক্ত রায় দিয়ে নিন্দার ঝড় তুলে। ভারতীয় আদালতের একতরফা রায় বিশ্বের প্রতিটি মুসলমানের মনে আঘাত দেয়। অথচ দেশটির লিবারহান কমিশন তার রিপোর্টে বলেছে, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র ছিল নিখুঁত। এর জন্য তৎকালীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতা ও পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী, আরেক বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানী এবং সাবেক বিজেপি সভাপতি মুরলি মনোহর যোশীকে দায়ী করা হয়। ১৭ বছরে বিভিন্ন সরকার নানা অজুহাতে ৪৮ বার লিবারহান কমিশনের কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি করে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ১৯৯২ সালের আজকের দিনে ভারতের কংগ্রেস ক্ষমতাসীন থাকাকালে উগ্রবাদী হিন্দুরা উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা শহরে অবস্থিত ষোড়শ শতকের এই অনুপম মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শনটি ধ্বংস করে। হিন্দু শাস্ত্রীয় রামের জন্মস্থান ও মন্দিরের স্থলে সম্রাট বাবর মসজিদ নির্মাণ করেছেন মর্মে হাস্যকর অভিযোগ এনে কংগ্রেস সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এই নিন্দিত ধ্বংসকা- সংঘটিত হয়। ভারতের প্রথম মোঘল সম্রাট বাবর ১৫২৮ সালে অযোধ্যা শহরে এই মসজিদ নির্মাণ করেন। কিন্তু উনিশ শতকের গোড়া থেকেই নেতৃস্থানীয় হিন্দুরা তদস্থলে রামমন্দির ছিল বলে প্রোপাগা-া চালাতে থাকে। অব্যাহত প্রচারণার বদৌলতে অবস্থা এমন হয়, ১৯৪০ সালের পর থেকে সাধারণ হিন্দুরা বাবরী মসজিদের জায়গায় আগে রামের জন্মস্থানের স্মৃতিবাহী রামমন্দির ছিল বলে মনে করতে থাকে। বিভিন্ন সময়ে মৌলবাদী হিন্দুরা বাবরী মসজিদ ভেঙ্গে চুরমার করতে উদ্যত হলেও নানা কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে কট্টর হিন্দুবাদী কংগ্রেস সরকারের মদদে উগ্র হিন্দুরা এলাহাবাদ হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই এই অমার্জনীয় অন্যায় কাজে লিপ্ত হয়। সেদিন মুম্বাই, আহমেদাবাদ, বেনারস এবং জয়পুরসহ বিভিন্ন স্থানে রক্তক্ষয়ী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় দুই সহ¯্রাধিক মুসলমান শাহাদাত বরণ করেন। এ ঘটনায় সরকারকে বিবাদী করে মামলা পর্যন্ত হয়। ভারত সরকার মামলার রায় নিজেদের পক্ষে নিতে সর্বশক্তি প্রয়োগ ও সর্বকৌশল অবলম্বন করে। প্রতœ বিশারদগণ বাবরী মসজিদের স্থলে রামমন্দির থাকার দাবিকে বরাবরই ‘মনগড়া' ও ‘হাস্যকর' অভিহিত করেন। ঐতিহাসিক সত্যকে ভারতের কট্টর হিন্দুবাদী সরকার কখনোই আমলে নেয়নি। বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার দশ দিন পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরসীমা রাও ঘটনা তদন্তে লিবারহান কমিশন গঠন করলেও তাকে প্রভাবিত করার ব্যর্থ চেষ্টা অব্যাহত ছিল। লিবারহান কমিশনের সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার বিচারে পরিচালিত তদন্তে কার্যক্রমের রিপোর্ট ২০০৯ সালের ৩০ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের কাছে দাখিল করা হলেও সরকার তা প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকে। ঐ সময় লিবারহান কমিশনের রিপোর্টের বরাত দিয়ে ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস' ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ ধ্বংসের সরকারি ষড়যন্ত্রের কথা ফাঁস করে দিলে সমগ্র ভারতে তুমুল হৈ চৈ পড়ে যায়। সেই লিবারহান কমিশনের রিপোর্টকে পায়ে দলে ও মুসলমানদের আবেদন খারিজ করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এক হতবুদ্ধিকর রায় দেয়। ঐ রায়ে বাবরী মসজিদের জমি রাম জন্মভূমির দাবিদারদের দেয়া হয়েছে। উক্ত রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, মুসলমানরা বাবরী মসজিদ এলাকার এক-তৃতীয়াংশ ব্যবহার করতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন