ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৪

এই দেশ কি চেয়েছিলাম : তোমরা আমায় ক্ষমা করোঃ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন

পরম করুনাময় আল্লাহকে অশেষ শোকর । তিনি আমাকে তাঁর অশেষ কৃপায় এক দীর্ঘ জীবন দান করেছেন । তাঁর সীমাহীন করুনায় আজ আমি পঁচাত্তর পার হয়ে ছিয়াত্তরে পা দিলাম । শোকর গোজার করার ভাষা আমার নেই । তিনি অকৃপণভাবে আমাকে কেবলই দয়া করে আছেন । এখনো তাঁর অসীম রহমতে কিছুটা হলেও স্বাভাবিক জীবন যাপন করে যাচ্ছি। অবশ্য জীবনের দীর্ঘ কারা নির্যাতনের কারনে এখন শারীরিক ভাবে অনেকটাই অক্ষম হয়ে পড়েছি । চিরদিন অন্যায়ের বিরু্রে আপোষহীন ভাবে লড়েছি । এখন আর তা পেরে উঠি না । নিরবে নিভৃতে সর্বশক্তিমান কে কাতর প্রার্থনা জানাচ্ছি আমাদের দেশের দুঃখী, সরল ও ধর্মপরায়ণ মানুষগুলোর সব সমস্যা তুমি দূরীভুত করে দাও “ হে করুণাময় “। ১০ই জানুয়ারী আমার জন্মদিন। সেটি ছিল ১৯৩৯ সাল । এ দিনটিকে আমি কখনোই ব্যাক্তিগত ভাবে ঘটা করে উদযাপন করিনি । অতি নিকটতম কতিপয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও কয়েকজন সহকর্মী এ দিনটিকে অনেকদিন থেকে পালন করে আসছে । সকাল থেকে অনেক ফুল, মিষ্টি, কেক এবং প্রচুর খাবার দাবার সহ তারা আমার বাসায় উপস্থিত হয় সারাদিনের জন্য । একটি ক্ষেত্রে আমার কথা তাদের রাখতেই হয় । আমি কোন উপহার গ্রহন করিনা । কোন উপঢৌকন নয়। সেদিন আমার কোনও কথায় তারা কান দেয়না । আমাকেই তাদের সব কথা নিরবে শুনতে হয়। আজ ২০১৪ সালের ১০ই জানুয়ারী আমি নিরবে বিদ্রোহ করলাম । আজ কারো কথা শুনবো না। অতি প্রত্যুষে বাড়ি থেকে বের হয়ে পড়বো সকলের অগোচরে । ঢাকায় যে সকল মুরুব্বীদের দাফন করা হয়েছে যতটা সম্ভব সেগুলো জেয়ারত করবো এবং বনানী কবরস্থানে এসে আমার মরহুমা স¿ীর কবর জিয়ারাত করবো। তারপর সারাদিনের জন্য কোথাও নিভৃতে বসে জীবনের সব হিসাব মিলাবার চেষ্টা করবো। ১৯৫২ সালে আমি ঢাকা সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র । হঠাত্ করেই ভাষা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়লাম। সেন্ট গ্রেগরিজে পুর্বে কোন আন্দোলনের ছোঁয়া লাগেনি । আমি তাঁর সূচনা করলাম। জীবনের মোড় ঘুরে গেল। শৈশব থেকে মেধাবী ছাত্র হিসাবে পরিচিত ছিলাম বিধায় আমার অভিবাবকগন আমাকে গ্রামের স্কুল ছাড়িয়ে ঢাকার সবচাইতে নাম করা স্কুলটিতে ভর্তি করলেন যেন ভবিষ্যতে ভাল ফলাফল করতে পারি । আল্লাহর ইচ্ছা অন্যরকম বিধায় একটি বত্সর পার হতেই আমি ঝাপিয়ে পড়লাম ভাষা আন্দোলনে । স্কুলের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যে একজন আমাদের স্কুলের সেরা ফুটবলার আব্দুল ওয়াদুদ এবং অন্যজন বর্তমানে কানাডা প্রবাসী প্রখ্যাত চিকিত্সক জনাব আব্দুর রাকিব চৌধুরী। এ দুজন সহ বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারী আমি পুলিশের লাঠি চার্জে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার হলাম । ওয়াদুদ কিছুদিন পুর্বে পৃথিবীর সব খেলা ধুলা সম্ত্রন্ন করে পরপারে চলে গেছে । রাকিব ও আমি তাঁর সৃতি চারন করি । নবম শ্রেণীর ছাত্র , হাফ প্যান্ট পরা অবস্থায় সেই যে কারাগারে প্রবেশ করলাম তা আর শেষ হল না, জিবনভর এক ভাবেই চলল । এই সেদিন বৃ্র বয়সে এক কপালির কারনে এক সঙ্গে চার বত্সর কারাবাস করে এলাম । জীবনের অনেক গুলো বসন্ত আমার রু্র কারার অন্তরালে কেটেছে। বন্ধুরা নাম দিয়েছে “জেল বার্ড “। সে সময় তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তানে এমন কোন আন্দোলন ছিলো না যার সাথে সম্ত্রৃক্ত করে আমাকে বারং বার কারাগারে নিক্ষেপ না করা হয়েছে। হিসাব করলে মনে হয় জীবনের বিশটি বসন্ত আমার কেটেছে অন্ধকার প্রকোষ্ঠে । সকলে যখন স¿ী পুত্র পরিজন নিয়ে ঝাকিয়ে সংসার করেছে, আমার সে সময় গুলো কেটেছে কারাগারের বন্ধ প্রকোষ্ঠের অন্ধকারে মৃত্যুর সাথে লড়াই করে। জীবিত রাজনিতিকদের আর কেউ আমার চাইতে বেশি কারাভোগ করেছে বলে আমার জানা নেই। সান্তনা একটাই, কোনোদিন অন্য কোন অপরাধে জেল খাটতে হয়নি। জনগনের ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য, বাংলাদেশকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়ার জন্য , জন সাধারণের কল্যানের ব্রতে এবং সর্বোপরি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের কারনেই বারবার কারাভ্যন্তরে নিক্ষিপ্ত হয়েছি , কোন আফসোস নেই। সারাজীবনই মানুষের কল্যানের কাজে ব্যাস্ত ছিলাম। হয় দাবী আদায়ের সংগ্রামে , নয়তো সরকারে থেকে তাদের কল্যানে নানাবিধ গঠন মুলক কাজেই সময় কেটেছে। যখন রাজনৈতিক জীবন শুরু করি , ভাবতাম অনেক বড় কাজ করছি। আমরা একটা শান্তির দেশ তৈরি করবো । যেখানে মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপন করবে স্বাধীনভাবে ধর্মকর্ম করবে । অবাধে নিজের মত প্রকাশ করবে এবং স্বাধীনতার সত্যিকার স্বাদ গ্রহন করবে । কিন্তু আজ মনে হচ্ছে , আমরা কি করে গেলাম ? বা কি রেখে গেলাম ? শীঘ্রই মৃত্যুর শীতল হস্ত প্রসারিত হবে। বন্দরের কাল সমাপ্ত হয়ে এলো । শীঘ্রই ডাক আসবে । যার নিকট থেকে এসেছি , তাঁর নিকটই প্রত্যাবর্তন করবো। কিন্তু শান্তি বা স্বস্তি নিয়ে যেতে পারছি কই ! এমনি একটি দেশই কি আমরা তৈরি করতে চেয়েছিলাম ? সহচার্য্য পেয়েছি মহান নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ারদির , শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের , মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের , স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান কারী মেজর জিয়াউর রহমানের এবং আরও অসংখ্য নিবেদিত প্রান রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের। কারো অবদান খাটো করে দেখার কারন নেই । কেউ বেশী করেছেন , কেউ হয়তো কম। কিন্তু দেশ ও দেশের মানুষদের ভালবেসে তাদের কল্যানে তাদের কোন শৈথিল্য ছিলোনা। ব্যাতিক্রম যে ছিলোনা এমন নয় , কেউ কেউ নিজেদের আখের গুছিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে । রাজনৈতিক বিবর্তনে এমন টা হয়ে থাকে । কিন্তু আমরা আজ কি দেখে যাচ্ছি ? কি রেখে যচ্ছি এই ষোল কোটি মানুষের জন্য ? পুর্বেও রাজনৈতিক মতপার্থক্য হত, কোন কোন সময় অবাঞ্ছিত সংঘর্ষ বাধতো । কিন্তু আজকের মত এমনি রাজনৈতিক নির্যাতন নিপীড়ন কি কখনো কেউ প্রত্যক্ষ করেছে ? যখন পরাধীন ছিলাম মোনেম খান, টিক্কা খান, আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খানদের সঙ্গে লড়েছি। তারাই শেষ পর্যন্ত পরাভুত হয়েছে। আজ কার সাথে লড়াই ! এই রক্তাক্ত সংঘর্ষ আর জীবনপাত কার জন্য! পরদেশ মুখাপেক্ষী কারো সীমাহীন ক্ষমতার মোহের কারনেই আজ দেশের আপামর জনগন যারপরনাই কষ্টে নিমজ্জিত ! আজ বিদেশিরা নেই। দেশের মানুষই একে অন্যের বিরুদ্ধে হানাহানি করছে। পাখির মতো গুলি খেয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে । বিপক্ষ বা বিরোধীরা ঘর থেকে বের হতে পারছেনা। রাস্তায় নামলেই গ্রেপ্তার, প্রহার এবং মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার না হয় গুলি করে হত্যা। সুপ্রীম কোর্ট, প্রেস ক্লাবও রেহাই পাচ্ছেনা । এমনি একটি দেশের জন্য কি লড়াই করে ছিলাম সারা জীবন ? আজ মানুষের জীবনের কোন মুল্য নেই। গ্রেপ্তার , মামলা , হামলা, গুম খুন প্রতিদিনের বিষয় । কোন বিদেশী শাসকেরাও এমন করেনি। বিরোধী দলের সভা সমাবেশ চলবে না । তাঁর কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয় । গ্রেফতার আতঙ্কে নেতা কর্মীরা নিজের বাসায় থাকতে পারছেনা । কর্তৃপক্ষের অনুমতি না হলে সভার সমাবেশের অনুমতি মেলেনা । প্রশাসন তাঁর বহুবিধ শাখা বিস্তার করে দেশের মানুষকে অসহায় করে ফেলেছে । হামলা মামলা দিয়ে বিরোধী নেতা কর্মীদের কোন ঠাসা করে ফেলা হয়েছে । সরকারি দলের কারো কারো বক্তব্য শুনলে মনে হয়, তারা যা খুশি করতে পারে , সম্ত্রুর্ণ দেশটা তাদের মুঠোয় বন্দি । সংবাদ পত্রের কণ্ঠ রুদ্ধ। সাংবাদিকরা নির্যাতনের শিকার । পত্রিকা ও টেলিভিশন তাদের পুর্ণ নিয়ন্ত্রনে । অন্যথা করলেই বন্ধ করে দেওয়া হয় । অকুতোভয় সাংবাদিক মাহমুদুর রাহমান দীর্ঘ দিন কারাবন্দী । দেশের প্রবীণতম সাংবাদিক এ বি এম মুসা গ্রেফতার আতঙ্কে অসহায় হয়ে পড়েছেন । আলেম সমপ্রদায় মাঠে নামতে পারেন না । মুসলমানদের এই দেশে কোথা থেকে ইবলিশের বংশধররা এসে পবিত্র কোরআন পুড়িয়ে দেয় । আলেম ওলামাদের রক্তে শাপলা চত্তর লাল হয়ে যায় । এখন ওটা “শাহাদাত্ চত্তর “ । চার দিকে কেবল অন্ধকার আর অন্ধকার। বাংলাদেশের উপর পুর্ণ আধিপত্য বিস্তাারের ফর্মুলায় এদেশের অভ্যন্তরের কিছু বশংবদ সৃষ্টি করে তারা তাদের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করছে । বিরোধী দলের নেত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং সর্ববৃহত্ একটি রাজনৈতিক দলের চেয়ারপার্সন কে প্রায় গৃহ বন্দী করে রাখা হয় । প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর , জল কামান ও বালুর গাড়ি দ্বারা তাঁর গৃহ অবরুদ্ধ । ইতি পুর্বে এ ধরনের দৃশ্য কেউ দেখেনাই বা শুনেও নাই । “ গনতন্ত্রের অভিযাত্রায় “ বাংলাদেশের পতাকা হাতে তিনি গাড়ীতে উঠে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেন । তাকে যেতে দেওয়া হয়না । শুধু তাই নয় , এক বিশেষ জেলার জনৈক নারি পুলিশ তাকে বিদ্রুপাত্মক কটাক্ষ করে । তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকটি কথা বলেন সেই জেলার নাম করে, মনে হয় , ভীমরুলের চাকে ঢিল পড়েছে । ক্ষমতাধরার সাঙ্গপাঙ্গরা হেন ভাষা নেই যা দারা তাঁর মুণ্ডু পাত করেনি । এটা রাজনৈতিক শিষ্টাচার নয় । আমরা কি ক্রমশ জাহেলিয়াতের দিকে ফিরে যাচ্ছি ! ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার । ভোট নাই , ভোটার নাই , শতকরা নব্বই জন লোক এবং শত করা নব্বই ভাগ দল যে প্রহসনের ভোট কে প্রত্যাখ্যান করেছে তাকে নিয়েই কত কত লমম্ফঝমম্ফ। শিখণ্ডী নির্বাচন কমিশন এর এত টুকু লজ্জা হয় না । ভোটার বিহীন ভোট অনুষ্ঠানের সক্ষমতার জন্য, অর্ধেকের বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগেই বিজয়ী হওয়ার কৃতিত্বের জন্য এবার গিনিজ বুক অফ রেকর্ডসে বিষয়টি সংযোজিত হতে পারে। বঙ্গবন্ধুকে যারা সেদিন “ইল্লিটারেড গ্র্যাজুয়েট “ আখ্যা দিয়ে ছিল সেই সব বামপন্থী সুযোগ সন্ধানীদের কথা বোধগম্য , ছিস্কে চোর রেলওয়ের কালো বিড়ালের কথা ও বোধগম্য । সরকারি আমলা , এমনকি যারা মুক্তি যুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের জন্য রাজাকার আলবদর রিক্রুট করেছে তাদের কথাও বুঝা যায় । কিন্তু যখন একজন রাজনীতিতে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত এবং বঙ্গবন্ধুর অতি নিকটের লোক এই নির্বাচন কে সফল ‘ বলে সেটা বোধগম্য হয়না । বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামীলীগকে খতম করার জন্য যারা গণবাহিনী “ গঠন করে ছিল তাদের একজন বঙ্গবন্ধুর তনয়ার মন্ত্রী সভার সদস্য । মোহময় গদি ; তুহু মম শ্যামা সম । আর এক খেলা দেখালেন বহুরুপি এরশাদ সাহেব । বেটা-ই এক খান। নির্বাচন করলে মানুষ বেঈমান বলবে , মুখে থুথু দেবে ইত্যাদি ইত্যাদি কত কথা , কত লম্ত্র ঝম্ত্র । শেষ পর্যন্ত পুনঃমুশিক ভব ।স¿ীকে দিয়ে ভাইকে দিয়ে মন্¿িত্যের জন্য টেন্দেলদের দিয়ে সব ব্যাবস্থা পাকা করে নাটকের শেষ অঙ্কে আর্মি হাসপাতালে গিয়ে শুয়ে পড়লেন । বললেন , আমি আটক । কিন্তু গলফ খেলছেন এবং নির্বাচন ও করছেন । এত ভঙ্গ বঙ্গদেশ তবু রঙ্গে ভরা ; কাদম্বিনী মরিয়া প্রমান করেছিলো সে মরে নাই । কাজী জাফরও ষ্টিতীয় বার এরশাদ কে প্রত্যাখ্যান করে প্রমান করলেন এরশাদ পরিত্যাজ্যই বটে। বাসনা ছিল আল্লাহর ইচ্ছা হলে এবার হয়তো জীবনের সর্বশেষ নির্বাচন করতে পারি , যেন জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত আমাদের জনগনের প্রতিনিধিত্ব করে তাদের কথা বলতে পারি । কিন্তু সৃষ্টি কর্তার ইচ্ছা তা নয় , শেষ নির্বাচন হলনা আর আমার দ্বারা তা হবে বলেও মনে হয় না । আল্লাহর ইচ্ছাই পুর্ণ হোক । এমনি যখন দেশের অবস্থা, সে সময় এই দেশটির মানুষের ন্যায়ানুগ অধিকার , ভাষার স্বীকৃতি এবং স্বাধীনতার জন্য জীবন ভর ত্যাগ স্বীকার করা একজন কর্মী আমি নীরবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি - এবার জন্মদিন পালন নয় । বন্ধুরা সহকর্মীরা, কর্মীরা অনেকেই কারাগারে । বিগত পাঁচটি বছর কেটেছে দুর্নীতির এক মহোত্সবে । এমন স্থান নেই যেখানে ঘুষ, চাঁদাবাজি ও দখলদারি থাবা পড়েনি। দেশবাসী কায়েমনবাক্যে পরিবর্তন কামনা করেছিল। মানুষের আজ সীমাহীন দুঃখ দুর্দশা। সর্বত্র খুন, জখম, গুম, জেল জুলুম ,হামলা মামলা হাজার রকমের হয়রানি আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমার অক্ষম প্রতিবাদ, “আজ আর ফুল নয়, নয় কোন উপহার, হবেনা কেক কাটা, পরিধান করব না নতুন কোন বস্ত্র।” “তোমরা সবাই আমায় ক্ষমা করো “ লেখক: মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন