শেখ মুজিবুর রহমান |
ডাকসু ভিপি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম |
১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি ছাত্রদের প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে মতিউল ইসলাম ও মির্জা কাদের নামের দুই ছাত্রকে হত্যা ও সাংবাদিক সহ আরো ছয়জনকে গুরুতর আহত করার প্রতিবাদে পল্টন ময়দানে জাতির পিতা খেতাবটি সেই একই ব্যাক্তি প্রতাহর করে নেন
বঙ্গবন্ধু’ উপাধি এবং তার আজীবন ডাকসুর সদস্যপদও বাতিল করা হয়েছিল স্বাধীনতার পরপরই। ৩রা জানুয়ারী পল্টন ময়দানে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন আয়োজিত এক সভায় ইউনিয়নের নেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ঘোষণা করেন, “দরকার হলে আরো রক্ত দেব। তবুও সাম্রাজ্যবাদের লেজুড় সরকারকে উৎখাত করে সমাজতন্ত্র কায়েম করবই।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ থেকে শেখ মুজিবর রহমানকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন। এবং সদস্যপদ বই থেকে সংশ্লিষ্ট পাতাটি জনসভায় ছিঁড়ে কুটি কুটি করে ফেলেন। রাজনীতির পরিহাস, ১৯৭২ সালের ৬ই মে এই ছাত্রনেতাই শেখ মুজিবর রহমানকে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ দেবার গৌরব অর্জন করেছিলেন। জনাব সেলিম ডাকসুর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবর রহমানকে প্রদত্ত ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিও প্রত্যাহার করে সাবধান বাণী উচ্চারণ করেন, “সংবাদপত্র, টিভি ও বেতারে শেখ মুজিবের ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি ব্যবহার করা চলবে না।” তিনি বাড়িতে, অফিস-আদালতে ও দোকানে টানানো শেখ মুজিবর রহমানের ছবি নামিয়ে ফেলারও আহ্বান জানান।
বাংলার বাণীতে প্রকাশিত খবরে জানা যায় যে, শেখ মুজিবের ছবি নামিয়ে ফেলার দায়ে এক ব্যক্তির কান কেটে দেয়া হয়েছে। পরদিন ঐ একই পত্রিকা খবর ছাপে যে, একই কারণে রংপুরে দুই ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
আজকে যারা মুজিবকে বঙ্গবন্দু বলে সম্মুধন করেন তারা মূলত মুজিবকে বড় করতে গিয়ে ছোটই করছেন এবং এই শব্দটা প্রকৃত অর্থে হাস্যকর মনে হয়। সুতরাং শেখ মুজিবুর রহমানকে মরনত্তোর রাজাকার খেতাব দেয়ার যথার্থতাই এখনকার বিবেচ্য। আমি শুধু তথ্য তুলে ধরব। সিদ্দান্ত নেয়ার ভার পাঠকের।
এক পণ্ডিত বলেছেন ছাত্রদের পক্ষ থেকে তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দিয়েছিলেন। ছাত্রদের পক্ষ থেকে হলে ছাত্রবন্ধু উপাধি দেয়া উচিত ছিল। যা ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তোফায়েল আহমেদ কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদত্ত হয়েছিল।
উৎসঃ ফেইসবুক
উৎসঃ ফেইসবুক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন