ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৫

চট্টলার ঐতিহ্যবাহী রাঙ্গুনিয়া থানার ইছাখালি রহমানিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসায় হামালা, ভাংচুর ও তান্ডব

দেখে মনে হবে বুঝি ফিলিস্তীনের কোন ছবি কিংবা বার্মা,সিরিয়া,ভারতের।নাহ,এটা কথিত ৯০% মুসলিমের বাংলারই ছবি।আরো অবাক হবেন এ তান্ডব কোন ইয়াহুদি,খৃষ্টান,বৌদ্ধ কিংবা কোন হিন্দু চালায় নাই।
বরং আমাদেরই কিছু বিপথগামী সুন্নী নামধারী দ্বীনি ভাই এ নৃশংস বর্বরতা চালিয়েছে রাতের আঁধারে।
চট্টলার ঐতিহ্যবাহী রাঙ্গুনিয়া থানার ইছাখালি রহমানিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসায় ঢুকলে আপনি হতবুদ্ধি হয়ে পড়বেন,আপনি কি বাংলার কোন অঞ্চলে নাকি যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকে প্রবেশ করেছেন? অথবা সিরিয়ায়?

মসজিদের প্রতিটা জানালার ছবি,মেঝেতে রক্তের দাগ আগেই দেখেছেন।
মসজিদ সংলগ্ন শিক্ষকদের কামরা,ছাত্রাবাসের একটা দরজা-জানালা আস্ত নাই,যেন কোন দৈত্য প্রবল আক্রোশে এগুলো খুবলে নিয়েছে।
বইয়ের তাক থেকে প্রতিটা বই নিক্ষেপ করা হয়েছে মাটিতে।
মাঠে থাকা গাড়িতে আগুন ধরানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে কুরআন শরীফ!  একাজ কোন সুস্থ মুসলমানের পক্ষে সম্ভব?
একজন বিবেকবান হিন্দুও কুরআনের অবমাননা করতে সঙ্কোচ করবে মুসলমান হয়ে,সুন্নী দাবি করে তারা কুরআনে,হাদিস-ফিকাহর কিতাবে কিভাবে আগুন দিল?
মসজিদের মাইক নামিয়ে দুমড়ে-মুচড়ে পিছনের দামি ধাতব অংশটা ডাকাতি করা হয়েছে।নিয়ে গেছে ছাত্রদের কম্বল,জামাসহ অন্যান্য সরন্জামাদি।
গরীব-এতিম অসহায় ছাত্ররা এগুলো পুনরায় কোত্থেকে জোগাড় করবে?
সিলিং ফ্যান খুলে নামিয়ে ধ্বংস করেছে এমনকি পানির চাপকল পর্যন্ত আক্রোশ থেকে বাঁচে নাই,ছবিতেই দেখবেন।
আল্লাহর অশেষ রহমত!
আগামী মঙ্গলবার বার্ষিক সভার প্রস্তুতি উপলক্ষে মাদ্রাসা বন্ধ ছিল নাহলে কত নিরীহ ছাত্র যে শহীদ হত।দুয়েকজন শিক্ষকের সাথে পার্শ্ববর্তী সুখবিলাস মাদ্রাসার একজন মেহমান ছিলেন উনাকে মাঠে নিয়ে জবাইয়ের মুহূর্তে পায়ে ধরে কোনমতে জান বাঁচান।পাশের ছাত্রাবাসে একজন প্রতিবন্দ্বী ছাত্র ছিল,সেও রেহাই পায় নাই।
মাদ্রাসায় ঢুকলে বর্বরতা দেখলে আপনি চোখের পানি ধরে রাখতে পারবেন না। কিন্তু...
আল্লামা শাহ আহমদ শফি দাঃ বাঃ'র নির্দেশে যাওয়া প্রতিনিধিদল এবং মাদ্রাসা সংশ্লিষ্টরাও কষ্টের মাঝে নূরের ঝলকানি দেখছেন।
কারণ এ ধারা নতুন নয়।
পটিয়া মাদ্রাসা সুন্নীয়তের নামে পোড়ানো হয়েছে।হাটহাজারী মাদ্রাসায় অতীতে অনেকবার হামলা হয়েছে।
সেই ধূলিস্মাত পটিয়া আজ বিশ্ব চেনে।যে বিদআতপন্থীরা বেড়ার তৈরী পটিয়া জ্বালিয়েছিল পরবর্তীতে তারাই হিদায়াতের আলোয়া পটিয়াকে পাকা করেছে।হাটহাজারীতো বর্তমানে জীবন্ত কিংবদন্তী!
সুতরাং ইছাখালী রহমানিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসাও ধ্বংসস্তুপ থেকে অচিরেই এ হামলাকারীদের দ্বারাই অন্ধকারাচ্ছন্ন,বর্বর রাঙ্গুনিয়ায় হাটহাজারী,পটিয়ার মত হিদায়াতের আলোক বর্তিকা প্রজ্বলন করবে,করবেই!
ইনশা-আল্ল-হ!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন