ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৫

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় অতি উৎসাহী সদস্য ও শীর্ষকর্তাদের দায়িত্বহীন এবং রাজনৈতিক বক্তব্য দেশের সার্বিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে--------মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান

তারিখঃ ২৫ জানুয়ারি ২০১৫
২০ দলীয় জোটের সমাবেশে বাধাদানের প্রতিবাদ, ফ্যাসীবাদী সরকারের পদত্যাগ, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অবিলম্বে নির্বাচনের দাবিতে এবং অযৌক্তিভাবে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, দেশব্যাপী সরকারের নাশকতার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এবং ২০ দলীয় জোটের গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মু্িক্তর দাবিতে ৩৬ ঘন্টার হরতাল ও চলমান অবরোধে জনতার উপর পুলিশ ও আওয়ামী দৃষ্কৃতিকারীদের হামলা, শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচীতে বাধাদান ও অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ, গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি এবং সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে অবরোধ-হরতাল কর্মসূচী সর্বাত্মকভাবে সফল করায় সকল স্তরের নগরবাসীর প্রতি অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
এক বিবৃতিতে মহানগরী আমীর বলেন, সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের দেশের সর্বনি¤œ মুদ্রা ৫ টাকা হবে বলে ঘোষণায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এখনও দেশে .৫০ পয়সা মূল্যমানের জিনিষপত্র পাওয়া যায়। কিন্তু অর্থমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সময়ের ঘোষণার ফলে জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে যে, হয়তো .৫০ পয়সা মূল্যমানের জিনিষ এখন ৫ টাকায় কিনতে হবে এবং দেশে অস্বাভাবিকভাবে মূল্যস্ফীর্তি ও মুদ্রাষ্ফীর্তি ঘটবে। যা রীতিমত উদ্বেগ জনক। অর্থমন্ত্রী হলমার্ক কেলেঙ্কারীর ৪ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিকে যখন কিছুই মনে করনে না আর শেয়ার বাজারকে পটকা বাজার এবং বিনিয়োগকারীদের পটকাবাজ আখ্যা দেন তখন দেশের সাধারণ জনগণ তার কাছ থেকে কি-ই বা আশা করতে পারে। তিনি দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সরকারকে মিথ্যাচার ও অপরাজনীতির পথ পরিহার করার আহবান জানান।
তিনি বলেন, দেশে রেমিটেন্স প্রবাহ ও অভ্যন্তরীণ আহরণ যখন সর্বনিন্ম পর্যায়ে তখন সরকার নিজেদের লুটপাট ও উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার জন্যই সম্পূূর্ণ অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। যা অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত সাধারণ জনগণের জন্য গোদের উপর বিষফোঁড়া। সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ব্যাপকভাব হ্রাস পাওয়ায় প্রতিবেশীসহ বিশ্বের সকল দেশেই জ্বালানী তেলের মূল্য কমানো হয়েছে। কিন্তু গণবিরোধী সরকার তেলের দাম না কমিয়ে উল্টো বিদ্যুতের দাম ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য কার্যকর হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেবে। সকল ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচ ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাবে এবং মূল্যষ্ফীর্তিও ঘটবে অস্বাভাবিকভাবে। দেশের মানুষের ক্রয়্ক্ষমতা বৃদ্ধি না করে একের পর এক বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও দায়িত্বহীনতার পরিচয় বহন করে। মূলত আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানী তেলের মূল্য সমন্বয় করলেই বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির কোন প্রয়োজন হতো না। কিন্তু গণবিরোধী ও ফ্যাসীবাদী সরকার জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা না করেই নিজেদের দুর্নীতি ও লুটপাটের রসদ সংগ্রহের জন্যই সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করেছে। মূলত সরকার কুইক রেন্টালের নামে সীমাহীন লুটপাটের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতেই সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের মুল্য বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু জনগণ সরকারের এই হঠকারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে এসেছে। তারা টানা ৩৬ ঘন্টার হরতাল কর্মসূচীর ১ম দিন সর্বাত্মকভাবে সফল করে সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি সরকারকে অবিলম্বে বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের আহবান জানান। অন্যথায় জনগণের ক্ষোভ গণবিস্ফোরণে রূপ নেবে।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় অতি উৎসাহী সদস্য ও শীর্ষকর্তাদের দায়িত্বহীন এবং রাজনৈতিক বক্তব্য দেশের সার্বিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। ফলে যত্রতত্র নির্মম ও নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ চলছে। লাশের মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হতে দীর্ঘতর হচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় কথিত বন্দুকযুদ্ধ ও ক্রসফায়ারের নামে রাজধানীর রামপুরায় আবারও হত্যা করা হয়েছে ২ জনকে। বিজিবি ডিজি আবারও জনগণের বুকে গুলী চালানোর নির্দেশ দেয়ায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সরকার চলমান দুর্বার আন্দোলনকে নস্যাৎ ও ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় সারাদেশে নাশকতা সৃষ্টি, গণপরিবহনে পরিকল্পিতভাবে হামলা, অগ্নিসংযোগ, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে দায়ভার চাপানো হচ্ছে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের উপর। কিন্তু সরকারের সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে জনতার প্রতিরোধ আন্দোলন অব্যাহত আছে এবং তা ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। অবরোধের বিংশ দিন ও হরতালের ১ম দিনে বিক্ষুব্ধ জনতা রাজধানীর মিরপুর, মগবাজার, মোহাম্মদপুর, কামরাঙ্গীরচর তেজগাঁও, কোতয়ালী, বাড্ডা, ওয়ারলেস রেল গেইট, মালিবাগ, নয়াটোলা, মধুবাগ, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, কদমতলী, ডেমরাসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ও স্পটে জনতা স্বতঃস্ফূর্ত রাজপথে নেমে এসে অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচী সর্বাত্মকভাবে সফল করে গণবিরোধী সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। রাজধানীর শনির অখড়ায় অবরোধ ও হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করা হলে পুলিশ বিনা উস্কানীতে মিছিলের হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে গুরুতরভাবে আহত করেছে। যাত্রাবাড়ীতেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী দুস্কৃতিকারীদের তান্ডব অব্যাহত আছে। অবরোধ ও হরতাল চলাকালে পুলিশ শুরু মাত্র ঢাকা মহানগরী থেকেই ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। তিনি সরকারকে গণহত্যা বন্ধ, দলন-পীড়ন পরিহার ও গ্রেফতারকৃত জোট নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি ও গণদাবি মেনে নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের জোর দাবি জানিয়ে বলনে অন্যথায় জনতার দাবি জনগণ রাজপথেই আদায় করবে।
মাওলানা খান বলেন, সরকার গণআন্দোলন দমনের জন্যই ভাড়াটিয়া দুষ্কৃতিকারীদের দিয়ে যাত্রাবাড়ীতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামী করে মামলা দিয়েছে। মূলত সরকার জোট নেত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা দিয়ে গণদাবিকে পাশ কাটাতে চায়। কিন্তু তাদের সে ষড়যন্ত্র কখনোই সফল হবে না। তিনি জোট নেত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলার তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ, ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার, জনতার গণতান্ত্রিক কর্মসূচীতে বাধাদান, হামলা, গুম, খুন ও অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ, গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তির জোর দাবি, হরতাল কর্মসূচী ২৬ জানুয়ারি সোমবার সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত এবং পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত রাখতে কৃষক, শ্রমিক, মজুর, শিক্ষক-ছাত্র, ব্যবসায়ী, আইনজীবী, পেশাজীবী, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী মহল, বিচারক, ব্যাংকার, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি, পরিবহন মালিক-শ্রমিক, সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষসহ সর্বস্তরের নগরবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন