পরিচয়ঃ নাম - সাকিবুল ইসলাম, পিতা – মৃত ওসমানুল হক্ব, মাতা – সালেহা বেগম । বয়স – ২০ বছর । আট ভাই - বোনের মধ্যে সবার ছোট এবং পিতামাতার একমাত্র ছেলে । সে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পলিটিকেল সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের প্রথম বর্ষের ছাত্র ।
কি হয়েছিল সেদিন ???
১৯ জানুয়ারী, ২০১৫ । রাত সাড়ে আটটার দিকে রিকশা যোগে টিউশনি থেকে ফেরার পথে কদমতলীর একটু আগে ফিলিং স্টেশনের সামনে দূর্বৃত্তদের ছোড়া ককটেলের আঘাতে সে ও রিকশা চালক মারাত্মক আহত হয় । আহত হওয়ার পরে প্রায় ৭ ঘন্টা নিখোঁজ থাকার পর রাত ৪ টার দিকে তার বড় বোনের ফোনে আসা কলের মাধ্যমে জানা যায় সে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ২৮ নং ওয়ার্ডে পুলিশী হেফাজতে আছে । পুলিশ দাবী করেছে সে ককটেল বহণ করছিল এবং রাজনীতির সাথে জড়িত । কোতোয়ালী থানা পুলিশ তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করে যার নম্বর হলো ৩০/১/১৫ । অথচ পরিবার থেকে বলা হয়েছে সে কোনো রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয় ।
বর্তমান অবস্থাঃ
মেডিকেলে আসার পর তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন দেখা যায় । জানা যায় তাকে আটক করার পর পুলিশ সীমাহীন নির্যাতন চালিয়েছে । আজ ষষ্ঠ দিনেও তার জ্ঞান ফিরেনি । গতকাল অবস্থার মারাত্মক অবনতি হলে তাকে একটি প্রাইভেট মেডিকেলে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয় । এখনো সে মৃত্যুপথযাত্রী । উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভালো হাসপাতালে নিতে চাইলেও পুলিশের গড়িমসির কারণে তা সম্ভব হচ্ছেনা । পুলিশ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তার চিকিৎসার পথে বাধা সৃষ্টি করছে ।
পুলিশী নির্যাতনে মৃতপ্রায় এই মেধাবী ভাইটি এখন মৃত্যুর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। একজন নিরপরাধ ছেলেকে অমানুষিক নির্যাতন করে মুমুর্ষু অবস্থায় পরিণত করা হয়েছে আর এরপর চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে !!!
এটি কোন ধরণের আইন ? কোন ধরণের মানবাধিকার ?
সাকিবের কিছু হয়ে যায় তাইলে এর দায়ভার কে নেবে ?
সাকিবের কিছু হয়ে যায় তাইলে এর দায়ভার কে নেবে ?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন