ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৫

৭১' শিশু মুক্তিযোদ্ধা কোকো বড় অভিমান নিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে- রাকেশ রহমান


আরাফাত রহমান কোকোর অকাল মৃত্যুতে আমি শোকাহত তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহ্‌ যাকে ভালোবাসেন তাকেই বার বার কষ্ট দিয়ে পরীক্ষায় ফেলেন। ঠিক তারই একটি পরীক্ষিত নমুনা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বাংলাদেশের ইতিহাসে ত্যাগের বিরল উদাহরণ হিসেবে খালেদা জিয়ার নাম লিখা থাকবে স্বর্ণাক্ষরে। যিনি গণতন্ত্রের লড়াইয়ে পরিবার পরিজন ছেড়ে একাই যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীতে কেউই চিরস্থায়ী হতে পারেনা। আর ক্ষমতা চিরস্থায়ী হবে তা তো অনেক দূরের কথা। একটি দেশের গণতান্ত্রিক বিজয় একদিনে আসে না। এই বিজয়ের পিছনে গাঁথা থাকে বহু প্রানের ত্যাগ ও বিসর্জন। ৯০' এর গণঅভ্যুত্থান সুদীর্ঘ বছরের হলেও এবারের কষ্ট গুলো অনেক গুন বেশি পেতে হচ্ছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। ৭ টি বছর বেগম জিয়া রয়েছে একা, পরিবারের সেবা যত্ন থেকে দূরে। জিয়া পরিবারের উপর বয়ে যাচ্ছে একের পর এক অমানবিক অত্যাচার। 
" কোকো একজন শিশু মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। প্রায় ১ বছর বয়সে পরিবারের সাথে তাকেও বন্দী হতে হয়েছিলো পাক হানাদারদের হাতে। ৫ মাস বন্দী থেকে ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে মুক্তি পান এই ক্ষুদে মুক্তিযোদ্ধা " 
কোকো একজন অরাজনৈতিক ও অমায়িক ব্যক্তিত্বের মানুষ ছিলেন। শুধুমাত্র জিয়া পরিবারের সন্তান হওয়াতেই ১/১১ তে কারাবরণের ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল শুধুমাত্র বাংলাদেশেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কোকোর উপর মামলা ও শারীরিক নির্যাতন করা হয় এবং এতে প্রমাণিত হয় জিয়া পরিবারের মানবধিকার থাকা অন্যায়।
চিকিৎসার জন্য ২০০৭ এ চলে যান থাইল্যান্ড এবং পরবর্তীতে মালায়েশিয়া অবস্থান করেন।
যেদেশের শিশু মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কোকো আবার সেই দেশেই রয়ে গিয়েছিলেন তার অতি প্রিয় মা বেগম খালেদা জিয়া। সেই গণতন্ত্রের যোদ্ধা মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়েই বেশি দুশ্চিন্তাই দিন কাটাতে হত কোকোর। দিনে একবার মা'র সাথে কথা না বলে থাকতে পারতেন না। আর সেই মা'কে একা ফেলে এবং যে দেশের জন্য শিশু মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিলেন সেই বাংলাদেশের প্রতি বড় অভিমান নিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। 
আরাফাত রহমান কোকো'র একমাএ স্নেহের বড় ভাই তারেক রহমান । যার প্রতি ভাই হিসেবে তার রয়েছে অগাত ভালবাসা,ছেলে বেলা থেকেই তাদের দুই ভাইয়ের একে অপরের প্রতি রয়েছে অগাত ভালোবাসা ও সম্মান,একই সাথেই বেড়ে উঠেছে দুইভাই। তারেক রহমানের দুচোঁখে মনি হচ্ছেন ভাই আরাফাত রাহমান কোকো ৷ বাংলাদেশের যৌথ ও সুখী পরিবারের জন্য তারা ছিলো একটি বড় উধাহরন। 
নির্যাতন নিপীড়ন ও মৌলিক অধিকার হরণ হওয়া কোকো চিকিৎসারত অবস্থায় শুধু ভাবতো কোন দেশে তার জন্ম হল ; যে দেশ নিজ বাড়ি ,নিজ পরিবার ও নিজ মাতা'র কাছে থাকার ন্যূনতম অধিকার টুকু কেড়ে নিয়েছে। প্রতিনিয়ত হুমকি হয়রানি গৃহবন্দীর ভিতরে জীবন অতিবাহিত করছে তাঁর মা। 
বাংলাদেশের রাজনীতিতে কখনো কোন দিনও কোকোর আগ্রহ ছিল না। নিজ কেন্দ্রিক জগতেই ব্যস্ত থাকতেন। মা প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায়েও কখনো কোন দিনও কোকোর কোন প্রভাব কেউ দেখেওনি। 
আহারে! দেশের জন্য গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ ৭ বছর পরিবার নিয়ে মায়ের সেবা করে কাটাতে পারলেন না। বড় অভিমান নিয়ে চলে গেলেন কনিষ্ঠ জিয়া।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন