ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৫

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতাগণ দেশের সংবিধান, আইন, আদালতের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে গুলি করে মানুষ হত্যার জন্য অব্যাহতভাবে উস্কানি দিচ্ছেন----------ডা: শফিকুর রহমান

তারিখঃ ২৭ জানুয়ারি ২০১৫
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী আসাদুল্লাহ তুহিনকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক হত্যা এবং দেশব্যাপী সরকারের জুলুম, নির্যাতন ও নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদ এবং চলমান শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান আজ ২৭ জানুয়ারী ’১৫ নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-
“সরকার মানুষের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু করেছে। সরকার ক্ষমতার মোহে জনগণের বুকে গুলি চালাচ্ছে। নিরীহ নাগরিকদের ধরে নিয়ে দেশের কারাগারগুলো ভর্তি করছে। সরকার আজ বাংলাদেশকে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দেশে পরিণত করেছে। দেশ আজ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার এক বিরাণভূমিতে পরিণত হতে চলেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতাগণ দেশের সংবিধান, আইন, আদালতের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে গুলি করে মানুষ হত্যার জন্য অব্যাহতভাবে উস্কানি দিচ্ছেন। সরকার পুলিশের ছত্রছায়ায় দলীয় ক্যাডারদের দ্বারা সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তা বিরোধী দলের উপর চাপিয়ে বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করার পথ প্রশস্ত করছে।
২৬ জানুয়ারী রাতে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী আসাদুল্লাহ তুহিনকে গ্রেফতার করার পর তাকে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। অথচ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই হত্যাকা-কে গাড়ি চাপার ঘটনা বলে জঘন্য মিথ্যাচার করে তাদের পেশাগত দায়িত্বকে কলঙ্কিত করেছে। রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মানুষ হত্যা করার পর প্রচার মাধ্যমে তার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার যে অপপ্রয়াস চালাচ্ছে জনগণ কিছুতেই তা মেনে নিবে না। প্রতিটি হত্যা, জুলুম এবং নির্যাতনের জবাব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই দিতে হবে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইসলামী ছাত্রশিবির নেতা আল-আমীন, সাজিদ হাসান ও শাহরিয়ার জামালকে গতকাল ২৬ জানুয়ারী আটক করেছে। আটকের ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে আদালতে সোপর্দ না করে পুলিশ হেফাযতে রাখার কারণে পরিবার-আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। পরিবারের আশঙ্কা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদেরকে হত্যা করতে পারে। তাদেরকে অবিলম্বে পরিবারের নিকট ফেরত দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
আজও গণঅবরোধ চলাকালে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে আইনÑশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে জামায়াতে ইসলামীসহ ২০ দলীয় জোটের ২ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আছেন রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও রাজশাহী জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর জনাব নাজমুল হক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মাওলানা সোহরাব আলী, গাজীপুর মহানগরী জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারী জনাব আফজাল হোসাইন, ফেনী শহর শাখা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জনাব ইলিয়াস। জামায়াতে ইসলামীসহ ২০ দলীয় জোটের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
সরকারের গণগ্রেফতার অভিযান, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, হত্যাকা- অগ্রাহ্য করে ২০ দলীয় জোটের ঘোষিত মিছিল, সমাবেশ ও গণঅবরোধ কর্মসূচী শান্তিপূর্ণভাবে অব্যাহত পালন রাখার জন্য আমি সংগ্রামী দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন