২৫ জানুয়ারি ২০১৫: দলীয় চেয়ারপারসনের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর জন্য নয়া পল্টনের কার্যালয়ে মিলাদ পড়তে চাইলেও পুলিশ অনুমতি দেয়নি বলে বিএনপি অভিযোগ করেছে। বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিলের জন্য কার্যালয়ের নিচতলায় অনুষ্ঠানের অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু পল্টন মডেল থানা পুলিশ বলেছে, অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। শনিবার দুপুরে মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে মারা যান আরাফাত কোকো। মুদ্রা পাচার মামলায় ছয় বছরের সাজা নিয়ে বিদেশে ছিলেন তিনি। বড় ভাই তারেক রহমানের মতো রাজনীতিতে যুক্ত হননি তিনি। মিলাদের অনুমতি না দেওয়া নিয়ে বিএনপির অভিযোগের পর এই বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি, একেক জন অন্যজনকে দেখিয়ে দেন। গত ৩ জানুয়ারি বিএনপির যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পুলিশ তুলে নেওয়ার পর সেখানে পুলিশ তালা লাগিয়ে দেয়।ওই রাতে বের হতে বাধা পাওয়ার পর খালেদা জিয়াও গুলশানে তার কার্যালয়ে রয়েছেন। অবরুদ্ধ অবস্থা থেকেই সারাদেশে লাগাতার অবরোধ ডাকেন তিনি। পরে কার্যালয় ঘিরে থাকা পুলিশ সরানো হলেও বিএনপি চেয়ারপার সন সেখানে অবস্থান করছেন। কার্যালয়ে থাকা অবস্থায়ই ছেলের মৃত্যুর খবর শোনেন তিনি। আরাফাতের মৃত্যুর পর বিকাল থেকে গুলশানের কার্যালয়ে পাশের একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা কোরআন তেলওয়াত হয়। সন্ধ্যার পর নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ বেলালী। বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মওদুদ আহমদ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, খন্দকার মাহবুব হোসেন, শাহজাহান ওমর, মুশফিকুর রহমান, রুহুল আলম চৌধুরী, মাজেদুল ইসলাম, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সানাউল্লাহ মিয়া, তৈমুর আলম খন্দকার, শফি চৌধুরী, আখতারুজ্জামান। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামালউদ্দিন সবুজ, সাংবাদিক মোহাম্মদ কামরজ্জামান, এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, আওয়াল ঠাকুর, আবদুল গাফফার মাহমুদ, আলিমুজ্জামান হারুন, আমিরুল ইসলাম কাগজী মোনাজাতে অংশ নেন।
উৎসঃ ঢাকার নিউজ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন