ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৫

অধ্যাপক ডা. গোলাম মুয়ায্যাম এর ইন্তেকাল

বিশিষ্ট মাইক্রোবায়োলজিস্ট অধ্যাপক ডা. গোলাম মুয়ায্যাম আজ (২২শে জানুয়ারি) বিকেল ৩ : ৪৫ ঘটিকায় তাঁর একমাত্র কন্যা ও বড় সন্তান অধ্যাপক ডা. নাঈমা মুয়ায্যাম এর গুলশানস্থ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহে রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বৎসর। তিনি প্রায় ১০ বৎসর যাবৎ আলজেইমার রোগে ভুগছিলেন। উল্লেখ্য, মরহুম ডা. মুয়ায্যাম বিশ্ববরেণ্য ইসলামী চিন্তাবিদ মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযম এর ছোট ভাই।
অধ্যাপক মুয়ায্যাম এদেশের একজন স্বনামধন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানী ছিলেন। ৪০ এর দশকের শেষে কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে স্বর্ণপদক পেয়ে ডাক্তারী পাস করার পর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ’ এ যোগদান করেন। পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি তিনি ইংল্যান্ড থেকে এমআরসিপ্যাথ (MRCPath) ডিগ্রি অর্জন করেন। দেশে ফিরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে পুনরায় যোগদান করেন। এরপর তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে অধ্যাপনা করেন। ১৯৬৬-৬৭ সালে তিনি লন্ডনস্থ Nuffield Foundation এর Fellow in Medicine ছিলেন। আইপিজিএমআর (বর্তমানে বিএসএমএমইউ) এর প্রতিষ্ঠালগ্নে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজী বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি সিলেট মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ও পরে প্রিন্সিপাল এবং পরবর্তীতে রংপুর মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল এর দায়িত্ব পালন করেন। ৭০ এর দশকে তিনি লিবিয়াস্থ আল ফাতাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্যাথলজীর অধ্যাপক ছিলেন। ৭০ এর দশকের শেষে এবং ৮০ এর দশকে তিনি Bahama Princess Margaret Hospital এবং Ghana University তে কমনওয়েল্থ এর এক্সপার্ট হিসেবে Prof of Pathology এর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকার ধানমন্ডিস্থ ইবনে সিনা ল্যাব এর প্রতিষ্ঠাতা ডাইরেক্টর। এছাড়া, কমনওয়েল্থ এর পরীক্ষক হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তিনি সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
একজন সফল চিকিৎসক এর পাশাপাশি তিনি একজন সফল লেখকও ছিলেন। ৫০ এর দশকে উনার লিখিত ‘কোরআন ও বিজ্ঞান’ বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানময় কোরআন নিয়ে লেখা একটি বিরল সৃষ্টি। ইসলামিক ফাউন্ডেশন রচিত "Scientific Indications in the Holy Quran" এর সংকলক ৫ জন সদস্যের তিনি অন্যতম।
মৃত্যুকালে ডা. মুয়াযযাম ১ মেয়ে, ২ ছেলে, ৮ নাতি-নাতনি এবং বহু গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমের মেয়ে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডা. নাঈমা মুয়ায্যাম ঢাকা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজী বিভাগের প্রধান ছিলেন। উনার বড় ছেলে, সোহায়েল মুয়াযযাম, স্বপরিবারে লন্ডনে এবং ছোট ছেলে ডা. ফায়সাল মুয়াযযাম (জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা) স্বপরিবারে কানাডা বসবাস করেন।
২৩ জানুয়ারি, শুক্রবার বাদ জুমা মগবাজার কাজী অফিস লেনস্থ বায়তুল কুরআন জামে মসজিদের সামনে মরহুমের জানাযার নামায অনুষ্ঠিত হবে। জানাযা শেষে মসজিদ সংলগ্ন মরহুমের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের জন্য দোআ চেয়ে দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন