ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৫

সরকারের প্রতিহিংসামূলক আচরণ : রাস্ট্রীয় গনহত্যার আশংকায় বাংলাদেশ

মনে আছে শাপলা চত্তরে হেফাজত দমনের সরকারী কুটকৌশলের কথা? সারা দিন শান্তিপুর্ণ অবরোধের পর হেফাজত কর্মীরা শাপলা তত্ত্বরে সমবেত হলে প্রথমে ছাত্র-যুব লীগের ক্যাডাররা তাদের উপর আক্রমন করে। আক্রান্ত হয়ে তারাও কিছু ইট পাটকেল ছুড়ে প্রতিরোধের চেস্টা করেন। সরকারী দলের ক্যাডাররা পুলিশের সহায়তায় সেটাকেই ভয়াবহ তান্ডবে রুপ দিতে গাছ কাটা, গাড়ি ভাংচুর আর দোকানপাটে আগুন দেয়। অনুগত মিডিয়ার মাধ্যমে এই চিত্র এমনভাবে তুলে ধরা হয় যাতে শুধুমাত্র হেফাজত কর্মীদের জঙ্গী হিসেবে দেখা যায়। হেফাজতের পরিকল্পনা ছিল আল্লামা শফী উপস্থিত হয়ে আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসুচির সমাপ্তি ঘোষনা করবেন। কিন্তু সরকার তাকে সমাবেশে যেতে না দিয়ে কর্মীদের শাপলা চত্ত্বরে অবস্থানে বাধ্য করে। অন্যদিকে চলতে থাকে গোপন পরিকল্পনা। রাতের বেলা আলো নিভিয়ে, সকল টিভি ক্যামেরা সরিয়ে দিয়ে এমন ভয়াবহ আক্রমন করা হয় যে সেই আক্রমনে ক্ষতবিক্ষত ও আতংকিত হেফাজত আর ঘুরে দাড়াতে পারে নাই।
সেই একই পরিকল্পনা নিয়ে বি.এন.পিকে ধ্বংস করার জন্য সরকারের নেতারা দীর্ঘদিন ধরে উস্কানীমুলক কথা বলছেন যাতে খালেদা জিয়া ঐ ধরনের চুড়ান্ত কোন কর্মসুচি নিতে বাধ্যহন আর তাদের উপর ঐরকম ভয়াবহ আক্রমন করে চিরতরে শেষ করে দেয়া যায়। এটা বুঝতে পেরেই খালেদা জিয়া কখনই চুড়ান্ত কোন কর্মসুচী দিতে পারছেন না। ৫ জানুয়ারী তিনি একটা অতি স্বাধারণ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু দিনের বেলা সাধারণ সমাবেশ হলেতো হবে না – তাই সরকার বেগম জিয়াকে অবরুদ্ধ করে – আশা ছিল তার নেতা-কর্মীরা রাস্তায় নেমে আসবে বা তাকে মুক্ত করার জন্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেবে। কিন্তু সমস্যাহল বেগম জিয়ার কার্যালয় কুটনৈতিক পাড়ার খুবই কাছে, সেখানে ঐধরনের অপারেশন চালান ঝুকিপুর্ণ। তাই ১৮ তারিখ পুলিশ ও বালুর ট্রাকসহ সব অবরোধ তুলে নেয়া হয়। আশা ছিল বেগম জিয়া ১৯ তারিখ জিয়াউর রহমানের জন্মদিনে মাজারে ফুল দিতে যাবেন। সরকার তখন তার কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে তাকে রাস্তায় অবস্থান নিতে বাধ্য করত। ফলে নেতা কর্মী এবং সাবধারণ মানুষের একটা জমায়েত হত। রাতের আধারে সেই সমাবেশের উপর চালান হত ভয়াবহ আক্রমন। বেগম জিয়া সেটা আঁচ করতে পেরে কার্যালয় থেকে বের হননি।
সব চক্রান্ত ব্যার্থ হওয়ায় সরকার এখন মেতেছে সাধারণ মানুষ হত্যার মাধ্যমে বিরোধী জোটের উপর দোষ চাপানোর খেলায়। অচিরেই ঢাকার রাজপথে সাধারণ মানুষের উপর এ’ধরনের আক্রমনের মাত্রা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে আর তার সব দ্বায় আন্দোলনকারীদের ঘাড়ে চাপিয়ে বি.এন.পি জামাতের সক্রিয় সকল নেতা কর্মীকে খুন গুম গ্রেফতারের মাধ্যমে নিস্ক্রিয় করা হবে। এ’জন্য সম্প্রতি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্তাদের ডেকে সতর্ক করা হয়েছে। তার সাথে নিজেদের পরিচালিত মিডিয়াতো আছেই।
৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানী সামরিক জান্তা ঠিক এ’রকম একটি পরিকল্পনাই নিয়েছিল। কেন্দ্রীয় নেতা শেখ মুজিবকে জেলে ঢুকিয়ে সাধারণ মানুষের উপর চালান হয় ভয়াবহ নৃশংসতা। আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা পালিয়ে আশ্রয় নেন ভারতে। আতংকিত বিশৃংখ্যল সাধারণ মানুষের পক্ষে সেই অবস্থায় ঐরকম আক্রমনাত্মক একটা বাহিনীর বিরুদ্ধে দাড়ানোর কথা কল্পনা করাও ছিল অসম্ভব। কিন্তু তাদের পরিকল্পনায় বাঁধ সাধে বাঙ্গালী সেনা অফিসার আর পুলিশ। তারা বিদ্রোহ করে বসে, ফলে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। যদি সেদিন সেই বিদ্রোহ না হত তাহলে পাকিস্তান টিকে থাকত আরো বহু দিন। নেতৃত্বহীন বেসামরিক জনগনের পাক্ষে সংগঠিত হয়ে প্রতিরোধে নামতে লেগে যেত বহু সময়। আর আভ্যন্তরীন প্রতিরোধ ছাড়া ইন্ডিয়ার পক্ষেও পাকিস্তান আক্রমন করা সম্ভব হত না।
৯০ এর আন্দোলন মোকাবেলায় একই পরিকল্পনা ছিল হু.মো. এরশাদের। তিনিও চেয়েছিলেন সেনাবাহিনী দিয়ে জনসমাবেশের উপর স্টিম রোলার চালিয়ে অবাধ্য জনগনকে ঠান্ডা করে দিতে। কিন্তু সেখানে বাঁধ সাধেন তৎকালীন সেনা প্রধান নুরুদ্দীন। অন্যথায় শৈরাচার পতনেও দীর্ঘ সময় লাগত আর ক্ষয়ক্ষতিও হত অনেক বেশী।
সব সৈরাচার আর ফেসিস্ট সরকারেমত বর্তমান সরকারকেও একই পথে হাটতে দেখা যাচ্ছে। তোফায়েল আহমেদের সাম্প্রতিক দিল্লী সফরও একই ইঙ্গীত দেয়। বি.এন.পির কর্মীদের রাস্তায় সমবেত করে চুড়ান্ত আক্রমনের চেস্টাগুলি ব্যার্থ হওয়ার পর এখন তারা মরিয়া হয়ে সাধারণ মানুষের উপর আক্রমনের পরিকল্পনা করছে। তাদের নেতারা যে বলছেন এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে – এটাই তার আসল কারণ। এক সপ্তাহের মধ্যে দেশে নামিয়ে আনা হবে কবরের শান্তি – প্রতিবাদ প্রতিরোধ করারমত কেউ আর মুক্ত থাকবে না। তখন হয়ত সংসদে আবার শোনা যাবে 'কোথায় আজ সিরাজ সিকদার' এর অনুরূপ কোন দম্ভউক্তি। তাই আশংকা হচ্ছে ২৫ মার্চ ও ৫ মে এর মত আর এক কাল রাতের অপেক্ষায় কি বাংলাদেশ? ৭২ - ৭৫ এর মত আর এক রাস্ট্রীয় গনহত্যা কি শুরু হতে যাচ্ছে?
আসুন সবাই মিলে ধৈর্য, সতর্কতা ও আল্লাহর সাহয্য কামনার মাধ্যমে এই ভয়াবহ বিপদ মোকাবেলা করে দেশ ও জাতিকে রক্ষার চেস্টা করি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন