22 Jan, 2015 বাংলাদেশের রাজনৈতিক সহিসংতা গত কয়েক দিনে চরম আকার ধারণ করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের দক্ষিণ এশীয় বিষয়ক প্রতিনিধি দল। সংঘাত এড়াতে দ্রুত সংলাপে বসার তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার ব্রাসেলস থেকে পাঠানো এক বার্তায় কমিটি প্রধান জি ল্যাম্বার্ট এ আহ্বান জানান। বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকার, সমাবেশ, ব্যক্তি, বাক এবং চলাচলের স্বাধীনতা সব পক্ষকে নিশ্চিত করা উচিত।
চলমান সংকট উত্তরণে সরকার এবং বিরোধী পক্ষকে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছাতে দ্রুত কার্যকর সংলাপ প্রয়োজন বলে মনে করে ইইউ দক্ষিণ এশীয় বিষয়ক কমিটি প্রধান।
এদিকে, বর্তমান চরম অবস্থা থেকে দ্রুত উত্তরণে সরকারকে আন্দোলনরত দলগুলোর সঙ্গে অর্থবহ সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন।
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মাহবুব এ আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বিচারে গণগ্রেফতারের বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব বলেন, সরকারের সব হুংকার, দমন-নির্যাতন, গণহারে আন্দোলনরত দলগুলোর নেতাদের গ্রেফতারের মুখেও অবরুদ্ধ ২০-দলীয় জোটের নেত্রী গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালাতে দৃঢ় রয়েছেন।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি বলেন, খালেদা জিয়ার ডাকে বাংলাদেশের মানুষ সাড়া দিয়ে সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করছে। তাই এ সংকট উত্তরণের একটি মাত্র পথ হলো সব দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বৈধ সরকার গঠন।
খন্দকার মাহবুব বলেন, যেকোনো মূল্যে ক্ষমতায় টিকে থাকতে ক্ষমতাসীন দলের একগুঁয়েমি মনোভাব দেশকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাবে। এ জন্য তাদের চরম মূল্য দিতে হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বর্তমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সংলাপের সম্ভাবনা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রবীণ সাংবাদিক জনাব সাদেক খান। তিনি রেডিও তেহরানকে বলেন, দু'পক্ষই এখন যে পথে এগুচ্ছে তাতে মনে হয় তৃতীয় কোন পক্ষ বা সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা দিয়ে শেখ হাসিনা সরে যাবেন এবং বিএনপি সেটাকে মন্দের ভালো হিসেবে মেনে নেবে।
এদিকে, বাংলাদেশ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, “আজকে অনেকে আলোচনার কথা বলেন, আলোচনার আলোও তো দেশে নেই।"
বৃহস্পতিবার দুপুরে শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় কামরুল বলেন, তারেক রহমানের ইশারায় দেশে সন্ত্রাস চালাচ্ছে বিএনপি। আই এস সহ আন্তর্জাতিক জঙ্গিদের সঙ্গেই হাত রয়েছে তারেক জিয়ার। বহির্বিশ্বে যেমন ওই জঙ্গিদের সঙ্গে আলোচনা হয় না তেমনি বাংলাদেশেও বিএনপির মতো সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।
উৎসঃ রেডিও তেহরান
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন