২৮ জানুয়ারি ২০১৫: সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা ঠেকাতে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকদের আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সরকার। সম্প্রতি রাজ্যটির পেশোয়ারে একটি স্কুলে ভয়াবহ তালেবান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খবর এএফপির।
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলে তালেবানদের চালানো হামলায় ১৩২ শিক্ষার্থীসহ মোট ১৫০ জন নিহত হয়। ওই ঘটনার পর রাজ্যসহ পুরো দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঠেকাতে নিরাপত্তারক্ষীর পাশাপাশি শিক্ষক-কর্মকর্তাদেরও অস্ত্র প্রশিক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
খাইবার পাখতুনখাওয়ার শিক্ষামন্ত্রী আতিফ খান বলেন, ‘সব শিক্ষকের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার বাধ্যতামূলক নয়। তবে যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্র নিয়ে যেতে চান তাদের অনুমতিসহ তা সরবরাহ করা হবে।’
রাজ্যটির তথ্যমন্ত্রী মুশতাক গনি বলেন, ‘রাজ্যের ৩৫ হাজার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ নেই। তাই শিক্ষকদের আগ্নেয়াস্ত্র বহনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
গত সপ্তাহ থেকে শিক্ষকদের আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে প্রশাসন।
পেশোয়ার পুলিশ সদর দফতরের প্রশিক্ষক মোহাম্মদ লতিফ বলেন, ‘এটা দুই দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা। আমরা তাদের কীভারে অস্ত্র বহন ও ব্যবহার করতে হয় তার প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি।’
এদিকে সরকারের এ কর্মসূচির সমালোচনা করেছেন প্রাইভেট স্কুলস টিচার্স এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মালিক খালিদ খান। তিনি বলেছেন, ক্লাসে এক হাতে অস্ত্র ও অন্য হাতে কলম নিয়ে শিক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, অস্ত্র চালনা শিক্ষকদের কাজ নয়। এতে শিক্ষার্থীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও পুলিশ নামানো উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উৎসঃ ঢাকার নিউজ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন