বর্তমানে সারা পৃথিবীতে মুসলমানের সংখ্যা ১৬০ কোটি তন্মধ্যে বাংলাদেশ চতুর্থ স্থানে। ইন্দোনেশিয়ায় ২১ কোটি, পাকিস্তানে ১৮ কোটি, ভারতে ১৭ কোটি ও বাংলাদেশে ১৫ কোটি মুসলমান রয়েছে। পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম স্থানে রয়েছে মিশর, নাইজেরিয়া ও ইরান। মুসলিমের সংখ্যায় এর পরে রয়েছে তুরস্ক,আলজেরিয়া ও মরক্কো। বিশ্বের ১২০টির বেশি দেশে রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলমান। এর মধ্যে ৩৫ টিরও বেশি দেশে মুসলমানের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। ২৯টি দেশে মুসলমানরা সংখ্যালঘু হলে তারা অত্যন্ত প্রভাবশালী। ২৮ টি দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। এসব রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশ, ইরান, ইরাক, মিশর, কুয়েত, মরক্কো, পাকিস্তান ও সৌদিআরব অন্যতম।
১৯৮০ সালে বিশ্বে মুসলমানের সংখ্যা ছিল প্রায় ৮০ কোটি যা ২০০৪ সালে ১৩০ কোটিতে পৌঁছে। ১৯৯৫ সালের পর থেকে মুসলমানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় চীন ও ভারতে। চীন ও ভারতের পর মুসলমানের সংখ্যা বৃদ্ধির দিক থেকে শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া ও বাংলাদেশ। মুসলমানদের সংখ্যা দিনদিন বাড়তে থাকায় পাশ্চাত্যের অনেক রাষ্ট্র আতঙ্কিত। ঐসব রাষ্ট্রগুলো ইসলাম সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করায় মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াকে ভয় পাচ্ছে। মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির উচ্চহারের কারণ হল বেশির ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত রাষ্ট্রে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় নবজাতক ও শিশু মৃত্যুর হার ব্যাপক মাত্রায় হ্রাস পেয়েছে। একই কারণে মুসলমানদের গড় আয়ূ ক্রমেই বাড়ছে। তুলনামূলকভাবে মুসলমানরা বিয়ে, সংসার, পরিবার ও সন্তান পালনকে বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকে। পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রগুলো মুসলমানদের জনসংখ্যা উচ্চ হারে বৃদ্ধির কারণের কথা উল্লেখ না করে কেবল মুসলমানদের ঘরে বেশি সংখ্যক শিশু জন্ম নিচ্ছে প্রচার করছে। বিভিন্ন দেশে মুসলমান জনসংখ্যা সম্পর্কে তথ্য ও উপাত্ত প্রচারের ক্ষেত্রে পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রগুলোকে দ্বিমূখী ভূমিকা পালনে দেখা যায়। তাদের দৃষ্টি অনুযায়ী মুসলমানের সংখ্যা নির্ধারণের ক্ষেত্রে কেবল তাদেরকেই মুসলমান হিসেবে গণ্য করা হয় যারা নিয়মিত আল্লাহ হুকুম পালন করেন এবং নবী (সঃ) তরিকায় চলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন