রাজধানীর রামপুরায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আরো দুই যুবক নিহত হয়েছে। গত শনিবার রাত আড়াইটার দিকে পূর্ব রামপুরার বনশ্রী এলাকার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের রাস্তার পাশে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে গতকাল রাত পর্যন্ত নিহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এর আগে মতিঝিল ও খিলগাঁওয়ে নিহত হয়েছেন দুইজন। রামপুরা থানার এসআই টিপু সুলতান জানান, শনিবার গভীর রাতে র্যাব-৩ এর সদস্যদের সাথে ওই দুই ব্যক্তির বন্দুকযুদ্ধ হয় বলে র্যাব থেকে তারা জানতে পারেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই দুইজনকে রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তবে র্যাবের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সুরতহাল রিপোর্টের বরাত দিয়ে হাসপাতাল সূত্র জানায়, নিহতদের মধ্যে একজনের বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর হবে। তার পরনে সাদাকালো ফুল শার্ট, জিন্সের প্যান্ট ও জ্যাকেট রয়েছে। নিহতের বুকের বামপাশে দু’টি, ডান পাশে একটি, পিঠে তিনটি ও বগলের নিচে একটিসহ মোট সাতটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। অপরজনের বয়স প্রায় ৪০ বছর। তার মুখে ফ্রেঞ্চকাট দাঁড়ি রয়েছে। পরনে রয়েছে চেকশার্ট, জিন্সের প্যান্ট ও জ্যাকেট রয়েছে। তার শরীরে ১৬টি গুলির চিহ্ন রয়েছে। এর মধ্যে বুকের ডান পাশে দু’টি, বাম পাশে একটি, পেট ও আশপাশে সাতটি এবং কোমরের নিচে পাঁচটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। সূত্র আরো জানায়, নিহতের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে বন্দুকযুদ্ধে দুইজনের মৃত্যুর খবর শুনে স্বজন হারানো অনেকেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ছুটে যাচ্ছেন। নিহতরা তাদের কেউ না হওয়ায় আবার ফিরে যাচ্ছেন। এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি রাতে মতিঝিলে ডিবি পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে জামায়াতের নেতা ও নড়াইল পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইমরুল কায়েস নিহত হন। ২০ তারিখ খিলগাঁওয়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান ওরফে জনি।
উৎসঃ নয়াদিগন্ত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন