ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

আলোচনা সভায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগ এখনো দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, নয়াদিগন্ত, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩, রবিবার, বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) দু’বারের নির্বাচিত  সহসভাপতি আব্দুল কাদের মোল্লা একজন বুদ্ধিজীবী ছিলেন। মিরপুরের বিহারি কসাই কাদেরের দায় চাপিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে সরকার। তারা আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ’৭২-’৭৫ আমলে যেভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিল, বর্তমানেও একইভাবে দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করছে।   
গতকাল বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) নিজস্ব কার্যালয়ে এ সভার আয়োজন করে। সভায় সভাপতির বক্তৃতায় বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, আবদুল কাদের মোল্লা ঐক্যবদ্ধ ডিইউজের দু’বারের নির্বাচিত সহসভাপতি ছিলেন। তিনি একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন বলেই সাংবাদিকেরা তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন। মিরপুরের কসাই কাদেরের দোষ তার ঘাড়ে চাপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করতে আইন ও বিচারক পরিবর্তন করা হয়েছে। আবদুল কাদের মোল্লাকে জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, যারা ’৭১ এ রাজাকার নিয়োগ দিয়েছিল সেই মহিউদ্দিন খান আলমগীরদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বানিয়ে সরকার বিচারের নামে তামাশা করছে। ’৭২-’৭৫ আমলে অনেক মুক্তিযোদ্ধা হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, যারা মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে তাদেরও বিচার হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ শিকদার হত্যাকারীসহ সব হত্যাকারীর বিচার করতে হবে। ’৭১ সালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জাতি তাদের ইতিহাস জানতে চায়। সরকার গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা হরণ করেছে অভিযোগ করে গাজী বলেন, সরকারের পতন ছাড়া মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। দেশে বর্তমানেও বুদ্ধিজীবী হত্যা চলছে উল্লেখ করে বিএফইউজে মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, সরকারের সাথে ভিন্নমত হলেই তাকে রাজাকার বানানো হচ্ছে। বুদ্ধিজীবীদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদের সত্য কথা লিখতে দেয়া হচ্ছে না। বর্তমানে নতজানু সাংবাদিকতা চলছে বলেও অভিযোগ করেন এই সাংবাদিক নেতা। তিনি আরো বলেন, জহির রায়হান ’৭২ সালে নিখোঁজ হন। স্বাধীনতার পর কারা তাকে নিখোঁজ করেছিল তা জাতি জানতে চায়। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই ’৭১ এ বুদ্ধিজীবী হত্যায় কারা জড়িত ছিল তা বেরিয়ে আসবে।    
আবদুল কাদের মোল্লাকে জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে অভিযোগ করে ডিইউজে সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, একজনের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানো হয়েছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কবির চৌধুরী, মুনতাসির মামুন ও শাহরিয়ার কবিররা কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন? জহির রায়হান নিখোঁজের ঘটনা তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাকেও গুম করা হয়েছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার বুদ্ধিজীবী পরিবারগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করেছিল।     
বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ বলেন, উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে আবদুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। তিনি বুদ্ধিজীবী হত্যার প্রকৃত তদন্ত দাবি করে বলেন, ১৪ ডিসেম্বর রাজাকার, আলবদররা পালিয়ে বেড়াচ্ছিল, তারা কিভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করল? শেখ হাসিনা হাজার হাজার মানুষ হত্যা করে ভারতের স্বার্থে ক্ষমতায় থাকতে চান বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধানের সঞ্চালনায় আরো আলোচনা করেন, বিএফইউজের সহসভাপতি নুরুল আমিন রোকন ও আমিরুল ইসলাম কাগজী, জাতীয় প্রেস কাবের যুগ্ম সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, ডিইউজের সাবেক সহসভাপতি ছড়াকার আবু সালেহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুন্সি আব্দুল মান্নান, বিএফইউজে কোষাধ্যক্ষ মোদাব্বের হোসেন, দফতর সম্পাদক আহমদ মতিউর রহমান, দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক আব্দুল আউয়াল ঠাকুর, ডিইউজে যুগ্ম সম্পাদক শাহীন হাসনাত, ডিইউজে আমার দেশ ইউনিট প্রধান বাছির জামাল, সংগ্রাম ইউনিট প্রধান শহিদুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক রকিব উদ্দিন, খন্দকার গোলাম আজাদ প্রমুখ।   

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন