১ ফেব্রুয়ারী ২০১৫: বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে শিবির নেতা এমদাদ উল্লাহকে(১৮) নির্মম ভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, পরিকল্পিতভাবে একর পর এক মেধাবী ছাত্র হত্যায় মেতে উঠেছে অবৈধ সরকার। কোন অভিযোগ ছাড়াই গতকাল ৩১ জানুয়ারী শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের ৬ নম্বরের বাসার সামনে থেকে মিরপুর থানা পুলিশ এমদাদ উল্লাহকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে তাকে নিয়ে বিভিন্ন মেসে অভিযান চালিয়ে আরো ৯ জনকে আটক করে। কিন্তু পুলিশ তাকে অভিযানের নামে গভীর রাতে কোন এক সময় গুলি চালিয়ে হত্যা করে দায় এড়াতে লাশ রুপনগর থানায় রেখে যায়। রুপনগর থানা কর্তৃপক্ষ তার লাশ ঢাকা মেডিকেলে রেখে চলে আসে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, অনার্স প্রথম বর্ষে অধ্যায়নরত নিরাপরাধ মেধাবী এই কিশোর ছাত্রকে নির্মম ভাবে হত্যা করে পুলিশ অমানবিক বর্বরতার পরিচয় দিয়েছে তাতে ছাত্রসমাজ বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে। এই নৃশংস হত্যাকান্ড সরাসরি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ছাড়া কিছু নয়।
সরকারকে হুশিয়ার করে দিয়ে শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, একের পর এক মেধাবী ছাত্রদের হত্যা করে সরকার নরঘাতকে পরিনত হয়েছে। এভাবে হত্যা করে অবৈধ সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। অবিলম্বে এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে। বার বার মেধাবী ছাত্রদের এভাবে হত্যা করতে থাকলে তখন জান-মাল রক্ষায় প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়া ছাত্রসমাজের আর কোন পথ খোলা থাকবে না। যত তারাতারি সম্ভব সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে শিবির নেতা এমদাদ উল্লাহকে হত্যাকারী পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে। অন্যাথায় ছাত্রশিবির ছাত্রসমাজকে সাথে কঠোর প্রতিরোধ আন্দোলন ঘোষনা করতে বাধ্য হবে।
নেতৃবৃন্দ হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং অগণতান্ত্রিক ও বেআইনি সকল আচরণ পরিহার করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন