আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠ দখল আর বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে দমনে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের
মনোবল চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে ‘পুরস্কার’ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে
সরকার। ‘পুরস্কার’ দেয়া হবে দেড় শত কোটি টাকার। পুলিশের যেসব কর্মকর্তা,
সদস্য নির্বাচনের মাঠে দায়িত্ব পালনে এর মধ্যে অনীহা প্রকাশ করেছেন, তাদের
‘উৎসাহ’ যোগাতে ওই ‘পুরস্কারের’ কথা ভাবা হচ্ছে।
নির্বাচনে নাশকতা প্রতিরোধে গোয়েন্দা তৎপরতা, প্রতিদিনের কার্যক্রমের খরচ
বাবদ নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রায় দেড়শ কোটি টাকা চেয়েছে পুলিশ। এ টাকা
নির্বাচনের আগে দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবকে চিঠি দিয়েছে পুলিশ হেড
কোয়ার্টার্স। একই চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছে। একাধিক সূত্র
এসব তথ্য জানায় প্রিয় দেশ ডটনেটকে।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে অতিরিক্ত ডিআইজি (ফিন্যান্স ও বাজেট) আবু হাসান
তারিকের স্বাক্ষরিত ওই চিঠি গত বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিব ড. মোহাম্মদ
সাদিকের কাছে পৌঁছায়। কমিশন এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
বিরোধী দলের আন্দোলন, হামলার মুখে যেসব পুলিশ কর্মকর্তা নির্বাচনের দায়িত্ব
পালন করবেন, মূলত তাদেরকে ‘প্রেpriyodesh.net pic police action.রণা’ দিতে
পুরস্কার হিসেবে ৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা দেয়ার প্রস্তাব করেছে পুলিশ
হেডকোয়ার্টার্স। চিঠিতে নির্বাচনী কাজের জন্য ১৪৭ কোটি ৭২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৪৩
টাকা আগাম দেয়ার জন্য কমিশনকে অনুরোধ জানানো হয়। এর মধ্যে নির্বাচনী
গোয়েন্দা তৎপরতায় ১০ কোটি টাকা আর কোনো খাত উল্লেখ ছাড়াই (অন্যান্য খরচ
হিসেবে) ৩১ কোটি ১২ লাখ ১৪ হাজার ৭৭৭ টাকা ব্যয় হবে বলে জানানো হয়। বাকি
টাকা যাতায়াত, যানবাহনের জ্বালানি, মেরামত ও অন্যান্য খাতে ব্যয় করবে
পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক প্রিয় দেশ
ডটনেটকে বলেন, ‘সব নির্বাচনে আইনশৃংখলা বাহিনী বরাদ্দের টাকা আগাম চেয়ে
থাকে। এবারও চেয়েছে। তাদের চাওয়া বেশি। অতীত নির্বাচনগুলোর সঙ্গে সঙ্গতি
রেখে আমরা তাদের বাজেট কাটছাট করে বরাদ্দ দেব। এ সংক্রান্ত বৈঠকে বরাদ্দ
দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
ইসির তিন কর্মকর্তা প্রিয় দেশ ডটনেটকে জানান, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়
আগামী ১৩ ডিসেম্বর শেষ হবে। এরপর আইনশৃংখলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা,
নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইসির বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে চাহিদা, গোয়েন্দা
প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে কোন এলাকায় আইনশৃংখলা বাহিনীর কত সদস্য
প্রয়োজন, তা ঠিক হবে। এরপর তাদের মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হবে। ওইসব প্রক্রিয়া
শেষ করার আগেই আগাম টাকা চেয়েছে পুলিশ।
তথ্যমতে, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব মিলিয়ে প্রায় ১৬৬ কোটি টাকা খরচ হয়।
আর এবার শুধু পুলিশ বাহিনী চেয়েছে প্রায় ১৪৮ কোটি টাকা। এর বাইরে সশস্ত্র
বাহিনীর জন্য বড় বাজেট রাখতে হচ্ছে। আগামী নির্বাচনে সব মিলিয়ে ৫০০ কোটি
টাকা বাজেট নির্ধারিত আছে। এ বাজেটের ওপর আপত্তি জানিয়ে খরচ কমানোর
পরামর্শও দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালালয়।
গত নির্বাচনের তুলনায় এবার বেশি টাকা চাওয়ার কারণ হিসেবে চিঠিতে বলা হয়েছে,
২০০৮ সালের নির্বাচনের তুলনায় এবার ভোটকেন্দ্র, জনবল বেড়েছে। যাতায়াত খরচ
আড়াইগুণ আর পিওএল ও আনুষঙ্গিক খরচ দ্বিগুণ বেড়েছে।
উৎসঃ প্রিয়দেশ
ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স
লেবেল
- খবর
- মতামত- বিশ্লেষণ
- বিবৃতি
- রাজনীতি
- প্রেস বিজ্ঞপ্তি
- আন্তর্জাতিক
- প্রচ্ছদ
- আইনশৃঙ্খলা
- শোক সংবাদ
- বিবিধ
- স্মৃতি
- আইন-আদালত
- জাতীয় সংসদ নির্বাচন
- শিক্ষা
- ডেমোক্রেসি
- ইসলাম
- স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিজ্ঞান
- অর্থনীতি
- ইসলামী আন্দোলন
- সাহিত্য-সংস্কৃতি
- হাদীসের বাণী
- শীতবস্ত্র বিতরণ
- সভ্যতা
- ইতিহাস
- গল্প
- মিডিয়া
- শোকবাণী
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- IIUC News
- চিঠি
- কৃষি
- দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
- প্রবাস
- গবেষণা
- আবিস্কার
- কুরআন
- সম্পাদকীয়
- বাণী
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
- সাইবার ক্রাইম
- দারসুল কুরআন
- ব্রেকিং নিউজ
শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৩
নির্বাচনের মাঠ দখলে রাখতে পুলিশকে দেড়শ কোটি টাকা পুরস্কার!
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন