ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৫

বাংলাদেশে কি ইয়াহিয়া-টিক্কা-নিয়াজীদের প্রেতাত্মারা ফিরে এসেছে হাসিনা-শহীদুল-বেনজীর-আজীজদের মাধ্যমে?! -- পুস্পিতা


ঠিক যেন ১৯৭১ সাল ফিরে এসেছে স্বাধীন বাংলাদেশে। ১৯৭১ সালের হানাদার ইয়াহিয়া, টিক্কা খান, নিয়াজীদের প্রেতাত্মারা ফিরে এসেছে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী হাসিনা, পুলিশ প্রধান শহীদুল, বিজিবি প্রধান ও শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফের আপন বড় ভাই আজীজ এবং র‌্যাবের প্রধান গোপালগঞ্জী পুলিশ কর্মকর্তা বেনজীরের মাধ্যমে। ইয়াহিয়া, টিক্কা খান, নিয়াজীরা যে স্টাইলে এদেশের মানুষের উপর নির্যাতন চালাতো একই স্টাইলে স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণ উপর ঝাপিয়ে পড়ছে এদেশেরই পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব! পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা, গুম, ক্রসফায়ার নাটক, বাড়ি-ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়া, ভাংচুর করা, বুলডোজার দিয়ে ঘর-বাড়ি গুড়িয়ে দেয়া, নারী-শিশুদের উপর নির্যাতন সবকিছুতেই সেই ১৯৭১ এর ছোয়া! ছবি দেখুন এবং কোন পার্থক্য কি আছে?!
ইয়াহিয়া-ভুট্টোরা যেমন ক্ষমতার নেশায় এদেশের জনগণের উপর ১৯৭১ সালে লেলিয়ে দিয়েছিল টিক্কা খান, নিয়াজীদের হাসিনাও ২০১৫ সালে সেই ক্ষমতার নেশায় অসভ্য শহীদুল, বেনজীর ও আজীজদের লেলিয়ে দিয়েছে এদেশের জনগণের উপর। ঠিক ২০১৫ সালে করছে তা নয়, হাসিনা ইয়াহিয়া স্টাইলে এদেশের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ২০১২ সাল থেকে। ২০১৩ সালে তা চরম পর্যায়ে নিযে গিয়েছিল। সাতক্ষীরা থেকে নিয়ে নোয়াখালী, কক্সবাজার পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকায় হাসিনার নির্দেশ র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি নেমে পড়েছিল মানুষ হত্যার উম্মত্ত নৃত্যতে। ২০১৫ সালে জনগণ যখন আবারও ইয়াহিয়ার প্রেতাত্মা হাসিনার অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে তখন এবারও হাসিনা সেই ইয়াহিয়া স্টাইলে জনগণের উপর লেলিয়ে দিয়েছে কুলাঙ্গার পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি কর্মকর্তাদের। তার প্রমাণ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মহদিপুর গ্রাম। শত শত নারী-পুরুষ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে চলে যাচ্ছে নিজের বাড়ি-ঘর ছেড়ে হাসিনার বাহিনীর ভয়ে!
টিক্কা খানরা যে স্টাইলে হুমকি দিতো হাসিনার কুলাঙ্গার বাহিনীর কর্মকর্তারাও এদেশের জনগণকে হুমকি দিচ্ছে, আর যদি হাসিনার অবৈধ সরকার বিরোধী কোন আন্দোলন হয় "তাহলে তাহলে এ গ্রামের অস্তিত্বই রাখব না।" এদেশের জনগণের টাকায় নিজেরদের চৌদ্দগুষ্টির জীবন যাপনের খরচ চালিয়ে এদেশেরই জনগণকে হানাদার স্টাইলে হুমকি দিচ্ছে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির দলবাজ কর্মকর্তারা! বাংলাদেশ কি আবারও পরাধীনতার কবলে পড়েছে? হাসিনা কি ভারতের সহযোগীতায় এদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে?! হাসিনা কি চাচ্ছে এদেশের মানুষ ১৯৭১ এর মতো আবারও অস্ত্র ধরুক?! তা না হলে হাসিনা ও তার কুলাঙ্গার বাহিনী প্রধানদের এত দুঃসাহস হয় কি করে যে ১৯৭১ এর হানাদারদের মতো হুমকি দেয়?! বাংলাদেশ কি শেষ পর্যন্ত হাসিনার হাতেই পরাধীন হয়ে গেলো?! জনগণ কি এখনও জেগে উঠবে না?!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন