নিহত ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনি- ছবি বাংলামেইল |
খিলগাঁওয়ে মঙ্গলবার ভোররাতে গোয়েন্দা পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে। তার নাম নুরুজ্জামান জনি (৩০)। তিনি খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সেক্রেটারি।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বাবা ইয়াকুব আলী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এসে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন।
ইয়াকুব আলী জানান, সোমবার সকালের দিকে তার ছোট ছেলে মনিরুজ্জামান হীরাকে খিলগাঁও থানা পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। আদালতের মাধ্যমে হীরাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সোমবার বিকেলের দিকে জনি ছাত্রদল কর্মী মঈনকে নিয়ে ছোট ভাই হীরার সঙ্গে দেখা করতে কারাগারের গেটে যায়। সেখান থেকেই জনিকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। আজ সকালে পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি জনিকে গুলি করে মারা হয়েছে। এরপর মেডিক্যালের মর্গে ছুটে আসি। জনির লাশ পাওয়া গেলেও মঈনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ইয়াকুব আলী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, রাজনীতি সবাই করতে পারে। সে অধিকার সংবিধানেই দেয়া আছে। গুলি করে মেরে ফেলতে হবে, এ অধিকার কোথায় লেখা আছে। দোষ থাকলে তার বিচার হবে আদালতে।
তিনি বলেন, গতকাল বিকেলে ধরা হলো, আর রাতেই তাকে গুলি করা হলো, এটা কোন দেশে বাস করছি। এর সঠিক বিচার চাই। ওই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করব।
এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, খিলগাঁও থানাধীন জোড়াপুকুর সংলগ্ন এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সোমবার রাতে অভিযানে যায়। সেখানে ওত পেতে থাকা কয়েকজন সন্ত্রাসী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে একজন সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে খিলগাঁও থানার এসআই আলাউদ্দিনের মাধ্যমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উৎসঃ নয়াদিগন্ত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন