নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে ঢাকা সিএমএম আদালত।
বুধবার মামলার তদন্তকারী উপ-পুলিশ পরির্দশক আব্দুল বারেক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে সশস্ত্র বাহিনীকে উসকানি দেয়ার অভিযোগের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে সিএমএম আদালতে হাজির করেন।
মেট্রোপলিট্রন ম্যাজিস্ট্রেট মাহাবুবুর রহমান শুনানি শেষে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সোমবার ভোররাতে আটক হলেও পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনী আটকের খবর অস্বীকার করতে থাকলে তার পরিবার, নাগরিক ঐক্য ছাড়াও বিএনপি উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং খোঁজ চেয়ে বিবৃতি দেয়।
গুলশান থানার উপ-পুলিশ পরির্দক সোহেল রানা ‘পেনাল কোডের (ফৌজদারি আইনের) ১৩১ ধারায় গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই ধারায় সশস্ত্র বাহিনীকে বিদ্রোহে উসকানির কথা বলা হয়েছে, এই মামলায় অজ্ঞাত আরো একজনকে আসামি করা হয়েছে।
সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কিত অপরাধ বিষয়ক দণ্ডবিধির সপ্তম অনুচ্ছেদের ১৩১ ধারায় বলা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীতে বিদ্রোহ সংঘটনে কেউ উসকানি দিলে বা এই ধরনের কোনো কর্মকর্তা, নাবিক বা এয়ারম্যানকে তার আনুগত বা দায়িত্ব থেকে প্ররোচণার চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।পাশাপাশি জরিমানার বিধানও রয়েছে এই ধারায়।
গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে বনানীর একটি বাসা থেকে মান্নাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে একটি দল তাকে নিয়ে যায় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। পরিবারের লোকজন মঙ্গলবার দিনভর খোঁজ করেও জানতে পারেননি, তিনি কোথায় ছিলেন, কেমন ছিলেন।
দিনভর মান্নার খোঁজ পাওয়া না গেলেও রাত সাড়ে ১০টার দিকে আভাস পাওয়া যায় যে তাকে রাতের যেকোনো সময় থানায় হস্তান্তর করা হবে। শেষ পর্যন্ত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
এদিকে পুলিশের রমনা, মতিঝিল ও গুলশান বিভাগের ১১ থানায় মান্নার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, নাশকতা, লাশ ফেলাসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগে পুলিশ ২৪টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। আর পরিবারের পক্ষ থেকে মান্নাকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেয়ার কথা উল্লেখ করে তাকে ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে বনানী থানায় একটি জিডি করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপির নেতা সাদেক হোসেন খোকা এবং অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইল ফোনে মান্নার কথোপকথন নিয়ে গত সোমবার আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপর রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পক্ষে-বিপক্ষে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
London Bangla News
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন