“স্বৈরাচারী সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বে-আইনীভাবে ব্যবহার করে দেশে বিনা বিচারে মানুষ হত্যা করে গণহত্যা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
আজ শুক্রবার ২৭ ফেব্রুয়ারী এক বিবৃতির মাধ্যমে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারের দলীয় সন্ত্রাসীরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় দেশের মানুষকে অপহরণ ও গুম করছে। সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা বাসে ও ট্রাকে পেট্রলবোমা হামলা চালিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা এবং আহত করছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের গ্রেফতার করা সত্ত্বেও বিচার না করে ছেড়ে দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সরকার নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে বিচার করার পরিবর্তে ২০ দলীয় জোটের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের জনগণ এখন অনেক বেশী সজাগ ও সচেতন। কাজেই ২০ দলীয় জোটের বিরুদ্ধে তথ্য সন্ত্রাস চালিয়ে স্বৈরাচারী সরকার পার পাবে না।
দেশবাসী ভাল করেই জানে যে, স্বৈরাচারী সরকার দেশে বিরোধীদলের কোন অস্তিত্ব মানতে রাজী নয়। সরকার নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকেই ঠেলে দিচ্ছে। স্বৈরাচারী সরকারের গণহত্যা ও মনবতাবিরোধী অপরাধের কারণে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং সরকারকে আলোচনার মাধ্যমে বিরাজমান রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার পরামর্শ দিচ্ছে।
কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত না করে দেশকে রাজনীতি শূন্য করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সরকারের এ আত্মঘাতি সর্বনাশা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সকলকেই রুখে দাঁড়াতে হবে।
সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য আজও রাজধানী ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন জেলায় গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে জামায়াতে ইসলামীসহ ২০ দলীয় জোটের দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। এভাবে গ্রেফতার করে গণআন্দোলন দমন করা যাবে না।
গণহত্যাকারী স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ২০ দলীয় জোটের ঘোষিত দেশব্যাপী গণঅবরোধ ও হরতালসহ সকল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সফল করে গণআন্দোলন আরো তীব্র করে সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশের জনগণকে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন