ইদানিং অধ্যাপক গোলাম আযমের অনেক নব্য প্রেমিকদের বলতে শুনা যায় জীবনে একটাই আফসোস যে জীবদ্ধশায় অধ্যাপর গোলাম আযম জাতীয় ঐক্যের কথা চিন্তা করে একটি বার হলে ও বাংলাদেশ ইস্যুতে তার ভূমিকার জন্য ক্ষমা চেয়ে যেতে পারতেন। এতে করে বাংলাদেশ জামাতে ইসলাম তথা ইসলামী ছাত্রশিবিরে অনেক লাভবান হতো। সত্যি বলতে একটা সময় আমি নিজেও এই ধারনার পক্ষে ছিলাম। কিন্তু বড় হয়ে যখন কোরান হাদিস চর্চা, বাংলাদশ নিয়ে কিছুটা জানা, এবং আজকের এই বাংলাদেশ দেখার সূযোগ হয়েছে তখন আমার এই ধারনা ভূল ছিলো বলে অনুতপ্ত হয়েছি আর মহান আল্লাহর কাছে এই মহান মানূষটির দোয়া করেছি। জীবনে যতবার তাকে কাছে থেকে দেখতে পেয়েছি, কথা বলার সূযোগ হয়েছে ততবারই ভিতরে ভিতরে চাপা কান্নায় বুকটা হাহাকার করে উঠেছে। এখন এই ভেবে আলহামদুলিল্লাহ বলি আর আরো বেশী দোয়া করি যে শহীদ অধ্যাপক গোলাম আযম এমন একটি মহা ভূল করে যাননি। কিভাবে উনি এই মহা মিথ্যার সাথে আপোষ করবেন! না কোরান, না রাসুলের জীবন কিংবা সাহাবী তাবই তাবইন এর জীবনে এরকম কোন উদাহরন খুঁজে পাওয়া যাবে যে একটি জাতিগত, কিংবা ধর্মীয় বৃহত্তর সার্থে কোন মিথ্যাকে গ্রহন করে নিয়েছেন অথবা গ্রহন করার ব্যাপারে আদেশ দেয়া হয়েছে।
জীবদ্ধশায় যতবারই বাংলাদেশ প্রসঙ্গে স্যারকে প্রশ্ন করা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ ততবারই তার ভূমিকার কথা স্পষ্ট করে বলেছেন। আজকের বাংলাদেশ সে ভোগান্তি প্রতিটি পদে পদে পোহাচ্ছে। আজকের যে ভারতীয় আধিপত্যবাদ, বিজাতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন, এবং সর্বোপরি একটি স্বাধীন নামে ভারতীয় আধিপত্যের পরাধীন রাস্ট্রের জন্ম হবে সেটি উনি ৪২ বছর আগেই বুঝতে পেরেছিলেন। আফসোস আমরা আজও বুঝতে পারিনি।
হে আল্লাহ তুমি আমাদের এই মহা সত্য যা অধ্যাপক গোলাম আযম ৪২ বছর আগে বুঝতে পেরেছিলেন তা বুঝার এবং আমল করার তাওফিক দাও আর এই আলোকিত মানূষটিকে জান্নাতের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যায়গা করে যাও। ফেসবুক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন